Second Brain | জীবনের চাপে সব ভুলে যাচ্ছেন? আপনার জন্য ৫০০ বছর ধরে ডকুমেন্ট বা ছবি স্টোর করে রাখবে দ্বিতীয় মস্তিষ্ক! খরচ শুরু মাসে ৫৬০ টাকা থেকে!
সেকেন্ড ব্রেন বা দ্বিতীয় মস্তিষ্ক হলো ক্লাউড বেসড ডেটা স্টোরেজ সিস্টেম। অ্যাপ ডাউনলোড হলেই সেকেন্ড ব্রেনের কাজ শুরু করবে। বিভিন্ন ছবি ও ডেটা স্টোর করা যাবে এখানে। যার খরচ শুরু মাসে ৫৬০ টাকা থেকে।
কাজের চাপ, অফিসের মিটিংয়ে ঠিক হওয়া প্রজেক্ট প্ল্যান, পরিবার সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য, প্রিয় মানুষের জন্মদিনের তারিখ,ফোন নম্বর, বিবাহ-বার্ষিকী, বাজারের লিস্ট, গুচ্ছের পাসওয়ার্ড, অফিস ওয়ার্ক-আরও কত কী! এতো কিছু মনে রাখা একটা মাথা দিয়ে সম্ভব নাকি! তাই তো মানুষের কাজ আরও সহজ করতে বাজারে এলো দ্বিতীয় মস্তিষ্ক (Second Brain)। না, এআই বা কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার (artificial intelligence) কথা বলছি না। এই নয়া প্রযুক্তি আসলে এক ডিজিট্যাল নথি। এ এমন এক জিনিস যা কোনও ডকুমেন্ট বা ছবি স্টোর করে রাখত পারে অন্তত ৫০০ বছরের জন্য। এই মস্তিষ্ক পাওয়ার জন্য আবার নেটফ্লিক্স, হটস্টারের মতো ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জন্য যেভাবে সাবস্ক্রিপশন নেন সেভাবে এই মস্তিষ্কের জন্য সাবস্ক্রিপশন নিতে হবে। কিন্তু এই মস্তিষ্কের জন্য কি অপারেশন করতে হবে? জেনে নেওয়া যাক কীভাবেই বা কাজ করবে এই ব্রেন।
সেকেন্ড ব্রেন কী?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই দ্বিতীয় মস্তিষ্ক (Second Brain) মূলত ক্লাউড বেসড ডেটা স্টোরেজ সিস্টেম (cloud-based data storage system )। অ্যাপের মাধ্যমে অ্যাক্টিভেট রাখতে হবে এই ক্লাউড ডেটা (Cloud Data)। অ্যাপ ডাউনলোড হলেই সেকেন্ড ব্রেনের কাজ শুরু করবে। এতে বিভিন্ন ছবি ও ডেটা স্টোর করা যাবে। এতে বিভিন্ন ছবি ও ডেটা স্টোর করা যাবে। এটাকে ডেটা স্টোরেজ বলা যেতে পারে। কিন্তু, অ্যাপ সংস্থাগুলো বলছে হিউম্যান মেমোরি। সেকেন্ড ব্রেন ডেটা স্টোর করছে বটে, আসলে তারা স্মৃতিকে ধরে রাখছে ক্লাউড ডেটা (Cloud Data) এর মাধ্যমে একেবারে মানব মস্তিষ্কের মতোই।
কীভাবে কাজ করে সেকেন্ড ব্রেন?
ওয়াকিবহাল মহলের মতে সেকেন্ড ব্রেনের আইকিউ বেশ ভাল। এটি নিজের বুদ্ধিতে চলতে পারে। কোন কোন তথ্য আপনার স্টোর করা উচিত সে বিষয়েও নিয়মিত মোবাইলে আপনাকে অ্যালার্ট দিতে থাকবে এই সেকেন্ড ব্রেন। সমীক্ষা বলছে গড়ে একজনের মাথা থেকে ৩০ থেকে ৫০টি তথ্য মুছে যায়। আইনস্টাইনের মতো যাদের আইকিউ তাঁদের ক্ষেত্রে এই হার কিছুটা কম। তবে দ্রুত মুছে যায় ফোন নম্বর, পাসওয়ার্ড, পরিচিতের সঙ্গে প্রথমবার পরিচয়ের পর তাঁদের নাম, এপ্লয়ি আইডি, ব্যাঙ্ক আইডি সহ অনেক তথ্য। মুছে যায় এমন অনেক তথ্য যা আপনি কারও সঙ্গে শেয়ার করতে চান না। সে ক্ষেত্রেই মুশকিল আসান করতে পারে সেকেন্ড ব্রেন। এক্ষেত্রে অনেকে ভাবতে পারেন, সেকেন্ড ব্রেন কী ডিজিটাল ডিভাইসের মতো। আসলে তা নয়। সেকেন্ড ব্রেনের আইকিউ বেশ ভালো। নিজের বুদ্ধিতে চলতে পারে। কোন কোন তথ্য আপনার স্টোর করা উচিত সে বিষয়েও নিয়মিত মোবাইলে আপনাকে অ্যালার্ট দেবে এই সেকেন্ড ব্রেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন সেকেন্ড ব্রেনে বিভিন্ন ছবি ও ডেটা স্টোর করা যাবে। এর জন্য খরচ শুরু মাসে ৫৬০ টাকা থেকে। আপনি ডেটা স্টোরেজ বলতেই পারেন কিন্তু অ্যাপ সংস্থাগুলি বলছে হিউম্যান মেমোরি। তাঁদের দাবি সেকেন্ড ব্রেন ডেটা স্টোর করছে বটে, আসলে তাঁরা স্মৃতিকে ধরে রাখছে। এক্কেবারে মানব মস্তিকের মতোই। বলে রাখা ভালো, আপনি কী ধরনের সেকেন্ড ব্রেন চাইছেন তা বেছে নিতে পারবেন আপনি নিজেই। এর জন্য প্লে স্টোর (play store) থেকে ডাউনলোড করতে হবে কিছু অ্যাপ। নোশন (Notion), এভারনোট (Evernote), ওয়ান নোট (OneNote), ওবসিডিয়ানের (Obsidian) মতো অ্যাপে রয়েছে সেকেন্ড ব্রেন। সব অ্যাপেই ক্লাউডে ডেটা স্টোর হবে।
উল্লেখ্য, সেকেন্ড ব্রেন নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়েছিল ২০০৮ সালে। বিজ্ঞানীরা তখন বলেছিলেন মনে রাখাটা মস্তিকের প্রধান কাজ নয়। প্রধান কাজ নতুন নতুন চিন্তা-ভাবনা করা। মনে রাখার জন্য অন্য ব্যবস্থা প্রয়োজন। তারই ফল সেকেন্ড ব্রেন।
- Related topics -
- অন্যান্য
- প্রযুক্তি
- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
- টেকনোলজি