Panchayat Election | পঞ্চায়েতে সবুজ ঝড়! ২০টি জেলা পরিষদই তৃণমূলের! ভোটে মৃতদের পরিবারকে চাকরি-সহ ক্ষতিপূরণ!
২০২৩ এর পঞ্চায়েতেও তৃণমূলের জয়। ৫১শতাংশ ভোট তৃণমূলের। বিজেপি পিছিয়ে ২৩ শতাংশ ভোট নিয়ে। নির্বাচনে অশান্তিতে মৃতদের পরিবারকে ২লক্ষ করে ক্ষতিপূরণ সহ চাকরি দেওয়ার ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর।
২৩ এর পঞ্চায়েতে (Panchayat Election 2023) ফের গ্রামে উড়লো সবুজ আবির। ২০টি জেলা পরিষদই তৃণমূলের দখলে। গ্রাম পঞ্চায়েতে ২,৬৩৪ ভোটে , ৩১৭ ভোটে পঞ্চায়েত সমিতিতে এবং ২০ ভোটে জেলা পরিষদে জয় পেয়েছে শাসক দল তৃণমূল (Trinamool)। গত শনিবার এক দফায় রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়। যদিও রাজ্য জুড়ে সংঘর্ষ, বোমাবাজি, অশান্তির ঘটনায় মৃত্যু হয় প্রায় ১৮ জনের। ফলে ফের সোমবার পুননির্বাচন হয় একাধিক বুথে। ভোটের গণনা শুরু হয় মঙ্গলবার থেকে যা শেষ হয় আজ অর্থাৎ বুধবার।
গণনা শেষে ভোট শতাংশের নিরিখে বিরোধীদের বহু আগে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট ৫১ শতাংশ। বিজেপির (BJP) প্রাপ্ত ভোট মাত্র ২৩ শতাংশ। অন্যদিকে বামেদের প্রাপ্তি ১৩ শতাংশ ভোট, কংগ্রেসের ৬ শতাংশ । অন্যান্য দলের প্রাপ্তি ৭ শতাংশ ভোট।
উল্লেখ্য, বিধানসভায় বাম ও কংগ্রেসের (Congress) শূন্য আসন নিয়ে কটাক্ষ করেছিল বিজেপি। তবে এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যের ১৩টি জেলায় শূন্য বিজেপি। দক্ষিণবঙ্গে ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, উত্তর চব্বিশ পরগণা, দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান এবং উত্তরবঙ্গে আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুরে বিজেপি শূন্য।
তবে এই ভোটে হার জিতের থেকেও বেশি শিরোনামে উঠে এসেছে মৃত্যুর এবং অশান্তির খবর। নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা থেকে শুরু থেকেই রাজ্য জুড়ে শুরু হয় অশান্তি। ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হলেও লাভ হয়নি কিছুই। কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) এবং রাজ্য পুলিশ (State Police) একসঙ্গে মোতায়েন করা হলেও রাজ্যের অধিকাংশ বুথ থেকেই মিলেছে সংঘর্ষের খবর। এই নিয়ে রীতিমত কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং নির্বাচন কমিশনের (State Election Commission) ভূমিকা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। ইতিমধ্যেই রাজ্যে আসে বিজেপি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। হিঙ্গলগঞ্জে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে যায় এই দল।
ভোট শেষ হলেও ক্রমাগত উঠে এসেছে অশান্তি এবং মৃত্যুর খবর। মঙ্গলবার রাতে গণনা শেষে আচমকাই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ভাঙরে। পুলিশ ও আইএসএফ সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কাঠালিয়া। সেই ঘটনায় মৃত্যু হয় তিনজনের। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন পুলিশ সুপার সহ আরও দুই পুলিশকর্মী। পাশাপাশি দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এক তৃণমূল কর্মীকে খুন, মালদায় কংগ্রেস কর্মীকে পিটিয়ে খুনের মত একাধিক মৃত্যুর খবর উঠে আসে ভোট গণনার দিনই। এখনও পর্যন্ত মনোনয়ন পর্ব থেকে শুরু করে রাজ্যে ৩৫ দিনে ভোট সংক্রান্ত অশান্তিতে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৪৭ জনের।
ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েতে মৃতদের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Chief Minister Mamata Banerjee)। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, নিহতদের পরিবারের একজনকে হোমগার্ডের চাকরি ও ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। তবে এই বিষয়ে বিরোধীদেরও তোপ দেগেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তার কথায় ভাঙরে যা ঘটেছে তা উচিত হয়নি। যেই খুন করুক না কেন তার শাস্তি হবে বলেও আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী।
- Related topics -
- রাজনৈতিক
- পঞ্চায়েত নির্বাচন
- নির্বাচন কমিশনার
- নির্বাচনের ফলাফল
- তৃণমূল কংগ্রেস
- বিজেপি
- সিপিএম
- মমতা ব্যানার্জী
- কেন্দ্রীয় বাহিনী
- রাজ্য