উৎসব ২০২৪

Navratri 2024 | নবরাত্রির ষষ্ঠ দিনে পূজিত হন দেবী দুর্গা পূজিত হন ‘কাত্যায়নী’ রূপে, এই রূপেই দেবী মহিষাসুর বধ করেন

Navratri 2024 | নবরাত্রির ষষ্ঠ দিনে পূজিত হন  দেবী দুর্গা পূজিত হন ‘কাত্যায়নী’ রূপে, এই রূপেই দেবী মহিষাসুর বধ করেন
Key Highlights

যোগশাস্ত্র ও তন্ত্র অনুযায়ী, দেবী কাত্যায়নী আজ্ঞা চক্রের অধিষ্ঠাত্রী দেবী। আজ্ঞা চক্রে মনোনিবেশ করতে পারলে তাঁর আশীর্বাদ পাওয়া যায়। আবার তন্ত্র অনুসারে, শিবের ছয়টি মুখের মধ্যে উত্তর মুখ থেকে উদ্ভব হয়েছিল দেবী কাত্যায়নীর। মনের মত স্বামী পাওয়ার প্রার্থনায় একমাস ধরে উপবাস করে কাত্যায়নী ব্রত পালন করা হয়। এই একমাস দেবীকে চন্দন, ধূপ, দীপ ইত্যাদি দিয়ে পূজা করা হয়। মূর্তিতত্ত্ব তন্ত্রসারে কাত্যায়নীকে দশভুজা মহিষাসুরমর্দিনী রূপেই বর্ণনা করা হয়েছে।

আজ নবরাত্রি ২০২৪ (Navratri 2024) এর ষষ্ঠ দিন। নবরাত্রি জুড়ে দেবী দুর্গাকে পুজো করা হয় নয়টি বিশেষ রূপে। প্রত্যেক তিথিতে, অর্থাৎ প্রতিপদ থেকে নবমী পর্যন্ত এক এক তিথিতে দেবী দুর্গা পূজিত হন এক এক রূপে। নবরাত্রি (Navratri) এর ষষ্ঠী তিথিতে দেবী দুর্গা পূজিত হন ‘কাত্যায়নী (Katyayani)’ রূপে। এই রূপেই দেবী মহিষাসুর বধ করেন।

দেবী কাত্যায়নী । Katyayani Devi :

বিশ্বাস করা হয়, মা কাত্যায়নী, রোগ, শোক, যন্ত্রণা, ভয় ইত্যাদি ধ্বংস করেন। দেবী কাত্যায়নী (Katyayani) চতুর্ভুজা। তিনি মধু পছন্দ করেন। ভক্তদের রোগ, শোক, দুঃখ, ভয়কে দূর করার আশীর্বাদ দেন। পতঞ্জলির মহাভাষ্য অনুযায়ী, দেবী মহাশক্তিরই আদি রূপ এই কাত্যায়নী। শাক্ত মত অনুযায়ী, দেবী কাত্যায়নী মহাশক্তির এক ভয়ংকর রূপ। তিনি দেবী চণ্ডী বা দেবী ভদ্রকালীর মতই যুদ্ধের দেবী হিসেবেই পূজিতা হন।

যোগশাস্ত্র ও তন্ত্র অনুযায়ী, দেবী কাত্যায়নী আজ্ঞা চক্রের অধিষ্ঠাত্রী দেবী। আজ্ঞা চক্রে মনোনিবেশ করতে পারলে তাঁর আশীর্বাদ পাওয়া যায়। আবার তন্ত্র অনুসারে, শিবের ছয়টি মুখের মধ্যে উত্তর মুখ থেকে উদ্ভব হয়েছিল দেবী কাত্যায়নীর। মনের মত স্বামী পাওয়ার প্রার্থনায় একমাস ধরে উপবাস করে কাত্যায়নী ব্রত পালন করা হয়। এই একমাস দেবীকে চন্দন, ধূপ, দীপ ইত্যাদি দিয়ে পূজা করা হয়। মূর্তিতত্ত্ব তন্ত্রসারে কাত্যায়নীকে দশভুজা মহিষাসুরমর্দিনী রূপেই বর্ণনা করা হয়েছে। স্কন্দ, বামন এবং কালিকা পুরাণ অনুযায়ীও মহিষাসুর বধের জন্য দেবতাদের ক্রোধতেজ থেকে দেবী কাত্যায়নীর জন্ম হয়েছিল। বামন পুরাণে দেবী কাত্যায়নীর উদ্ভবের কাহিনি বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, দেবী কাত্যায়নীর হাতেই মহিষাসুরকে বধের জন্য অস্ত্র তুলে দিয়েছিলেন দেবতারা। আবার, মার্কণ্ডেয় পুরাণের দেবী মাহাত্ম্যম্ এবং দেবীভাগবত পুরাণেও দেবী কাত্যায়নীর দিব্যলীলার কথা বলা আছে।

শাস্ত্রমতে দেবী কাত্যায়নের কন্যা দেবী কাত্যায়নী। আবার, কালিকা পুরাণ অনুযায়ী, মহর্ষি কাত্যায়ন প্রথম কাত্যায়নী পূজার প্রচলন করেছিলেন। দেবী দিব্যাবরণভূষিতা। তিনি হারশোভিতাসর্বাঙ্গী, তিনি মুকুটোজ্জ্বলভূষণা। দেবীকে 'কাত্যায়নী স্তূয়সে ত্বং বরমগ্রে প্রযচ্ছসি অষ্টাদশভুজা, দিব্যাবরণ ভূষিতা, সর্বাঙ্গে হারশোভিতা, উজ্জ্বল মুকুট ভূষণা' এই বর্ণনায় আবাহন করা হয়েছে। নবরাত্রিতে দেবীর এই ষষ্ঠ রূপের গায়ের রং সূর্যের মতই লাল। আর, সেই কারণে ষষ্ঠীতে লাল পোশাক পরা ভক্তদের জন্য শুভ বলে ধরা হয়।

প্রদোষকাল অর্থাৎ গোধূলিকালে দেবী কাত্যায়নীর পুজো করা উত্তম বলে মনে করা হয়। কাত্যায়নী দেবীকে পান মধুর সঙ্গে অর্পণ করা শুভ বলে মনে করা হয়। যাঁরা মা দুর্গার ষষ্ঠ শক্তি দেবী কাত্যায়নীর আরাধনা করেন, তাঁরা বিবাহের জন্য ভালো জীবনসঙ্গী পান। স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে চলমান সমস্যাও মিটে যায়।