ইতিহাস

National Youth Day 2023 : স্বামীজির ১৬১ তম জন্মদিনে দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে জাতীয় যুব দিবস

National Youth Day 2023 : স্বামীজির ১৬১ তম জন্মদিনে দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে জাতীয় যুব দিবস
Key Highlights

"যে মানুষ নিজের দুঃখ কে সাহসের সাথে জয় করে তার কাছে অসম্ভব কার্য ও সম্ভব।" - স্বামী বিবেকানন্দ

১২ই জানুয়ারী, সর্বশ্রেষ্ঠ দার্শনিক এবং আধ্যাত্মিক নেতা স্বামী বিবেকানন্দের জন্মবার্ষিকী হিসেবে গোটা ভারতজুড়ে 'জাতীয় যুব দিবস' উদযাপন করা হয়। এই দিনটি যুব দিবস নামেও পরিচিত, কারণ এটি যুবকদের কীভাবে কঠোর পরিশ্রম করা উচিত এবং তাদের মূল্যবোধকে সমুন্নত রেখে তাদের দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে অবদান রাখা উচিত সে সম্পর্কে তার ধারণাগুলিকে চিহ্নিত করে।

জেগে ওঠো, সচেতন হও এবং লক্ষ্যে না পৌঁছনো পর্যন্ত থেমো না।

স্বামী বিবেকানন্দের উক্তি

জাতীয় যুব দিবসের ইতিহাস | The history of National Youth Day

১৯৮৪ সালে, ভারত সরকার দেশের যুবকদের অনুপ্রাণিত, প্রজ্বলিত এবং ক্ষমতায়নের প্রয়াসে স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনকে জাতীয় যুব দিবস হিসাবে উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নেয়। বিবেকানন্দ ভারতে এবং সারা বিশ্বের অগণিত যুবকদের জন্য অনুপ্রেরণা।

মানুষের সমস্থ জ্ঞান তার ভিতর অন্তর নিহিত, কেবল মাত্র এর উনমোচন সঠিক ইছা প্রয়োজন ।

তরুণদের জন্য স্বামী বিবেকানন্দের উক্তি

জাতীয় যুব দিবসের গুরুত্ব | Significance of National Youth Day

শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসের অনুসারী হওয়ার কারণে, তিনি তার বক্তৃতার মাধ্যমে সারা দেশে তরুণ চেতনা বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছিলেন। ১৮৯৩ সালে শিকাগোতে বিশ্ব ধর্ম পার্লামেন্টে তাঁর বিখ্যাত বক্তৃতার জন্য বিবেকানন্দ সারা বিশ্বে সুপরিচিত ছিলেন, যেটি এখনও "আমেরিকার বোন ও ভাই" নামে পরিচিত৷ এমনকি আজও, বিবেকানন্দের শিক্ষাগুলি অসংখ্য বইয়ে তালিকাভুক্ত এবং ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় রয়েছে।

নারীর জীবনের প্রাকৃত উদ্যেশ কখনো বিবাহ বন্ধনে সীমিত থাকা নয়, বরং নিজেকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করা ও গর্বের সাথে পূরুষের সাথে তাল মিলিয়ে চলা।

নারীদের জন্য স্বামী বিবেকানন্দের উক্তি

স্বামীজীর জীবনী | Swamiji's Biography:

উনিশ শতকের মহাপুরুষ স্বামী বিবেকানন্দ ১৮৬৩ সালের ১২ই জানুয়ারি ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির শিমলার সুপরিচিত উচ্চ শ্রেণীর হিন্দু কায়স্থ দত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তবে পাড়ার সবাই আত্মীয়স্বজনের কাছে 'বিলে' বা 'বীরেশ্বর' নামেই চিনতেন। তাঁর বাবা বিশ্বনাথ দত্ত কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী ছিলেন এবং তাঁর মায়ের নাম ভুবনেশ্বরী দেবী। স্বামীজি পরমেশ্বর ভগবান শ্রী রামকৃষ্ণের প্রিয় ছিলেন।

জীবনে এমন কোন জিনিসের অভ্যাস করবে না, যেগুলি তোমায় শরীরিক ও মানসিক ভাবে দুর্বল করে ।

স্বামী বিবেকানন্দ

স্বামীজীর শিক্ষা জীবন | Swamiji's educational life:

বিবেকানন্দের প্রথম জীবনে গৃহশিক্ষকের কাছে প্রারম্ভিক শিক্ষা অর্জনের পরে মেট্রোপলিটন ইন্সটিটিউশন থেকে প্রথম বিভাগে প্রবেশিকা পাশ করে প্রেসিডেন্সী কলেজে ভর্তি হন।  তারপর তিনি স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে এফ এ পাশ করে দর্শনশাস্ত্র নিয়ে বিএ-তে ভর্তি হন। এই কলেজ হতেই দর্শনশাস্ত্র নিয়ে তিনি স্নাতক হন৷ 

প্রতিদিন নিজের সঙ্গে অন্তত একবার কথা বলো, অন্যথায় হারাতে হবে জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তির সংসর্গ৷

স্বামী বিবেকানন্দ

স্বামীজীর মিশন ও শ্রদ্ধা | Swamiji's Mission and Reverence:

তিনি ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দে 'রামকৃষ্ণ মিশন' তৈরি করেন এবং ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে 'বেলুড় মঠ' প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর এই অমর কাজ সারা বিশ্ব থেকে বহু খ্যাতি এনে দিয়েছে। বিবেকানন্দ মেরিটকাম স্কলারশিপ তাঁর নামের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দেওয়া হয় এবং তাঁর মহানুভবতার স্বীকৃতিস্বরূপ ভারতের দক্ষিণ প্রান্তে 'স্বামী বিবেকানন্দ মেমোরিয়াল হল' প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

যারা তোমায় সাহায্য করেছে, তাঁদের কখনও ভুলে যেও না। যারা তোমাকে ভালোবাসে, তাদের কোনওদিন ঘৃণা করো না। আর যারা তোমাকে বিশ্বাস করে, তাদের কখনও ঠকিয়ো না।

স্বামী বিবেকানন্দ

স্বামীজীর মৃত্যু | Swamiji's last breath:

১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে বিবেকানন্দ দ্বিতীয়বার আমেরিকা সফর করেন। সেখানে তিনি ১৯০০ সালে প্যারিসে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ধর্ম সম্মেলনে যোগদান করেন। সেখান থেকে খারাপ স্বাস্থ্য নিয়ে ফিরে আসার পর, ৪ঠা জুলাই ১৯০২ সালে রাত ৯টা বেজে ৫০ মিনিটে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

উঠে দাঁড়াও, শক্ত হও, দৃপ্ত হও। যাবতীয় দায়িত্ব নিজের কাঁধে নাও। আর এটা সবসময় মাথায় রেখো, তুমিই তোমার নিয়তির স্রষ্টা। তোমার যে পরিমাণ শক্তি প্রয়োজন, সবটা তোমার মধ্যেই রয়েছে। সুতরাং নিজের ভবিষ্যত্‍‌ নিজেই তৈরি করে নাও।

স্বামী বিবেকানন্দ