National Science Day and CV Raman | জাতীয় বিজ্ঞান দিবসের নেপথ্যে ‘রমন এফেক্ট’! পড়ুন পদার্থবিজ্ঞানে ভারতের সর্বপ্রথম নোবেল জয়ী সিভি রমনের জীবনী!
কিংবদন্তি বিজ্ঞানী সি ভি রমন বা চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রমন বর্ণালীবিদ্যায় অত্যন্ত বিরল আবিষ্কার করেছিলেন। যা তাঁর নামে নামকরণ করা হয়েছিল ‘রমন এফেক্ট’ বা ‘রমন স্ক্যাটারিং’। এই আবিষ্কারকে উৎসাহিত করার জন্যই প্রতিবছর ২৮ সে ফেব্রুয়ারি জাতীয় বিজ্ঞান দিবস পালন করা হয় ভারতে।
সময়ের দৌড়ের সঙ্গে সঙ্গে এগিয়ে চলেছে বিজ্ঞানও। ক্রমশ উন্নত হচ্ছে বিজ্ঞান। আর সেই সঙ্গে সহজ হচ্ছে মানুষের কাজও। এক সময়ে যা ছিল সুদূর স্বপ্ন তা আজ সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গী করে তুলছে এই বিজ্ঞান। বিশ্ব জুড়ে অসংখ্য বিজ্ঞানী রোজ কিছু না কিছু 'নতুনে'র জন্য বা উদ্ভাবনের জন্য খেটে চলেছেন। এই যাত্রায় পিছিয়ে নেই ভারতীয় বিজ্ঞানীরাও। তবে কেবল আজ বলে নয়, বহু সময় ধরেই বহু ভারতীয় বিজ্ঞানী এবং তাদের উদ্ভাবন (Indian scientists and their inventions) সমাজকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে চলেছেন। এই সকল বিজ্ঞানীর মধ্যেই এক কিংবদন্তি বিজ্ঞানী হলেন সি ভি রমন (CV Raman) বা চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রমন (Chandrasekhara Venkata Raman)। তিনি বর্ণালীবিদ্যায় অত্যন্ত বিরল আবিষ্কার করেছিলেন। যা তাঁর নামে নামকরণ করা হয়েছিল ‘রমন এফেক্ট’ বা ‘রমন স্ক্যাটারিং’। এই আবিষ্কারকে উৎসাহিত করার জন্যই প্রতিবছর ২৮ সে ফেব্রুয়ারি জাতীয় বিজ্ঞান দিবস (National Science Day) পালন করা হয় ভারতে।
জাতীয় বিজ্ঞান দিবস । National Science Day :
১৯৮৬ সালে ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি কমিউনিকেশন (National Council for Science and Technology Communication) কেন্দ্রকে জাতীয় বিজ্ঞান দিবস পালনের অনুরোধ জানায়। আর জাতীয় বিজ্ঞান দিবসের তারিখ (National Science Day date) হিসেবে ২৮ সে ফেব্রুয়ারি দিনটি বেছে নেওয়া হয়। প্রতি বছর আলাদা আলাদা ভাবনা নিয়ে পালন করা হয় এই দিনটি। ২৮ সে ফেব্রুয়ারি তারিখে জাতীয় বিজ্ঞান দিবস পালনের কারণ একটি বিখ্যাত আবিষ্কার। সেই আবিষ্কার করেন ভারতীয় বিজ্ঞানী চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রমন। তাঁর নামেই ওই আবিষ্কার বিখ্যাত। মূলত ২৮সে ফেব্রুয়ারিতে এই বিখ্যাত আবিষ্কার হয় বলেই এই দিনটিকে জাতীয় বিজ্ঞান দিবসের তারিখ (National Science Day date) হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, এই আবিষ্কারের জন্য ১৯৩০ সালে নোবেল পুরস্কারও পান সি ভি রমন।
জাতীয় বিজ্ঞান দিবস ২০২৪ :
২০২৪ সালে জাতীয় বিজ্ঞান দিবসের জন্য একটি বিশেষ ভাবনা নির্বাচন করা হয়েছে। আর তা হল 'ইনডেজেনিয়াস টকনোলজিস ফর বিকশিত ভারত’ (Indigenous Technologies for Developing India)। ভারতের বিজ্ঞানক্ষেত্রকে আরও পোক্ত করতে এই উদ্যোগ। ইতিমধ্যে ইসরো একের পর এক সাফল্যের শিখর ছুঁয়েছে। আর সেই গবেষণাকেই আরও উৎসাহ জোগাতে এই ভাবনাকে বেছে নেওয়া হয়েছে ২০২৪ সালে।
সিভি রমনের জীবনী । CV Raman Biography :
জাতীয় বিজ্ঞান দিবস পালনের উদ্দেশ্যই হল, বিজ্ঞানের গুরুত্বের কথা সবার সামনে তুলে ধরা। পাশাপাশি দৈনন্দিন জীবনের বিজ্ঞানের ব্যবহারের দিকটি প্রচার করা। বিশেষ করে, রমন এফেক্ট আবিষ্কার উদযাপন এবং বিশ্বের কাছে ভারতীয় বিজ্ঞানীদের কৃতিত্ব প্রচার করা হয় এদিন। বলা বাহুল্য, ভারতীয় বিজ্ঞানী যারা নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন (Indian scientists who won Nobel Prize) তাদের মধ্যে অন্যতম সিভি রমন। জাতীয় বিজ্ঞান দিবসে জেনে নেওয়া যাক সিভি রমনের জীবনী (CV Raman Biography) এবং বিখ্যাত আবিষ্কার রমন এফেক্ট সম্পর্কে।
প্রারম্ভিক জীবন, শিক্ষা এবং পরিবার :
ডাঃ সিভি রমন ৭ই নভেম্বর, ১৮৮৮ সালে তামিলনাড়ুর তিরুচিরাপল্লীতে একটি দক্ষিণ ভারতীয় ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা চন্দ্রশেখর রামনাথন আইয়ার ছিলেন বিশাখাপত্তনমের একটি কলেজে গণিত ও পদার্থবিদ্যার প্রভাষক। তাঁর মায়ের নাম ছিল পার্বতী আম্মাল। চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রমন (Chandrasekhara Venkata Raman) শৈশব থেকেই একজন বুদ্ধিমান ছাত্র ছিলেন। মাত্র ১১ বছর বয়সে সিভি রমন একটি বৃত্তি পেয়ে তাঁর ম্যাট্রিকুলেশন এবং ১২তম শ্রেণী পাস করেন। এরপর ১৯০২ সালে, তিনি প্রেসিডেন্সি কলেজে যোগদান করেন এবং ১৯০৪ সালে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। সেই সময়ে, তিনিই একমাত্র ছাত্র যিনি প্রথম বিভাগ পেয়েছিলেন। এরপর আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়ে তিনি একই কলেজ থেকে পদার্থবিদ্যায় স্নাতকোত্তর লাভ করেন। উল্লেখ্য, শিক্ষা লাভের পর ১৯০৭ সালে, সিভি রমন লোকসুন্দরী আম্মালকে বিয়ে করেন এবং চন্দ্রশেখর ও রাধাকৃষ্ণান নামে দুটি পুত্রের জন্ম দেন।
সিভি রমনের কর্মজীবন :
পিতার আগ্রহের কারণে, সিভি রমন ফিনান্সিয়াল সিভিল সার্ভিসেস (FCS) পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন এবং উল্লেখযোগ্যভাবে শীর্ষস্থান লাভ করেন। এরপর পদার্থবিদ্যায় স্নাতকোত্তর লাভ করে ১৯০৭ সালে তিনি কলকাতায় যান এবং সহকারী হিসাবরক্ষক জেনারেল হিসেবে যোগদান করেন। কিন্তু অবসর সময়ে তিনি ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর কাল্টিভেশন অফ সায়েন্সে (Indian Association for Cultivation of Science) গবেষণার জন্য গবেষণাগারে যেতেন। বিজ্ঞানের প্রতি তাঁর মূল আগ্রহের কারণে তিনি সেখানে রাতে তাঁর গবেষণা কাজ চালিয়ে যেতেন।যদিও ল্যাবরেটরিতে উপলব্ধ সুযোগ-সুবিধা খুবই সীমিত ছিল, তবুও তিনি তাঁর গবেষণা চালিয়ে যেতেন এবং 'নেচার', 'দ্য ফিলোসফিক্যাল ম্যাগাজিন', 'ফিজিক্স রিভিউ' ইত্যাদি-সহ নেতৃস্থানীয় আন্তর্জাতিক জার্নালে তাঁর ফলাফল প্রকাশ করতে থাকেন। উল্লেখ্য, সেই সময়ে তাঁর গবেষণার মূল লক্ষ্য ছিল কম্পন এবং ধ্বনিবিদ্যা নিয়ে।
এরপর সিভি রমন ১৯১৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যার প্রথম পালিত অধ্যাপক হিসেবে যোগদানের সুযোগ পান। ১৫ বছর কলকাতায় থাকার পর, তিনি ১৯৩৩ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত ব্যাঙ্গালোরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সে অধ্যাপক হিসেবে এবং ১৯৪৮ সাল থেকে ব্যাঙ্গালোরের রমন ইনস্টিটিউট অফ রিসার্চের পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন সিভি রমন।
সিভি রমনের কাজ ও আবিষ্কার :
চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রমন ১৯২৬ সালে ইন্ডিয়ান জার্নাল অফ ফিজিক্স (Indian Journal of Physics) প্রতিষ্ঠা করেন যেখানে তিনিই সম্পাদক ছিলেন। এরপর তিনি ইন্ডিয়ান অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস (Indian Academy of Sciences) প্রতিষ্ঠার পৃষ্ঠপোষকতাও করেছিলেন। এর শুরু থেকেই রাষ্ট্রপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন সিভি রমন। পাশাপাশি তিনি বেঙ্গালুরুতে বর্তমান বিজ্ঞান সমিতির সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব লাভ করেন, যা কারেন্ট সায়েন্স (ভারত) প্রকাশ করে। এরপর তিনি হ্যান্ডবুচ ডের ফিজিকের 8ম খণ্ডের জন্য বাদ্যযন্ত্রের তত্ত্বের উপর একটি নিবন্ধ লিখেন। ১৯২২ সালে "আলোর আণবিক বিচ্ছুরণ" এর উপর তাঁর কাজ প্রকাশ পায় যার ২৮সে ফেব্রুয়ারী, ১৯২৮ তারিখে তাঁর বিকিরণ প্রভাবের চূড়ান্ত আবিষ্কার হয়েছিল এবং ১৯৩০ সালে তিনি পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। উল্লেখ্য, তিনি প্রথম ভারতীয় হিসেবে নোবেল পুরস্কার পান।
ডাঃ সিভি রমন দ্বারা পরিচালিত অন্যান্য গবেষণাগুলি ছিল-অতিস্বনক এবং হাইপারসনিক ফ্রিকোয়েন্সিগুলির শব্দ তরঙ্গ দ্বারা আলোর বিচ্ছুরণ এবং সাধারণ আলোর সংস্পর্শে আসা স্ফটিকগুলিতে ইনফ্রারেড কম্পনের উপর এক্স-রে দ্বারা উত্পাদিত প্রভাবগুলির উপর। ১৯৪৮ সালে, তিনি স্ফটিক গতিবিদ্যার মৌলিক সমস্যাগুলিও অধ্যয়ন করেছিলেন। তাঁর গবেষণাগারটি হীরার গঠন এবং বৈশিষ্ট্য এবং মুক্তা, এগেট, ওপাল ইত্যাদির মতো অসংখ্য ইরিডিসেন্ট পদার্থের গঠন এবং অপটিক্যাল আচরণ নিয়ে কাজ করেছিল। এছাড়াও তিনি কলয়েডের অপটিক্স, বৈদ্যুতিক এবং চৌম্বকীয় অ্যানিসোট্রপি এবং মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির শারীরবৃত্তেও আগ্রহী ছিলেন। সংক্ষেপে বর্ণিত হিসাবে তিনি 'রমন প্রভাব' বা আলোর বিচ্ছুরণ সম্পর্কিত তত্ত্ব আবিষ্কারের জন্য সর্বাধিক পরিচিত। তিনি দেখিয়েছিলেন যে আলো যখন একটি স্বচ্ছ বস্তুকে অতিক্রম করে, তখন কিছু বিচ্যুত আলো তার তরঙ্গদৈর্ঘ্য পরিবর্তন করে।
রমন এফেক্ট :
ভারতীয় বিজ্ঞানী এবং তাদের উদ্ভাবন (Indian scientists and their inventions) এর মধ্যে অন্যতম সিভি রমন এবং রমন এফেক্ট। ১৯৩০ সালে রমন এফেক্ট আবিষ্কার করার জন্য সি ভি রমনকে নোবেল পুরস্কার দ্বারা সম্মানিত হন। রমন এফেক্ট একটি স্বচ্ছ পদার্থের ভৌতধর্মের কথা বলে। এর মধ্যে আলো পাঠালে দেখা গিয়েছে, আলো বিভিন্ন তরঙ্গে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এই তরঙ্গগুলির একেকটির একেকরকম তরঙ্গ দৈর্ঘ্য। সিভি রমন দেখিয়েছিলেন এই ছড়িয়ে পড়া আলোকতরঙ্গগুলি মূল তরঙ্গের থেকে দুর্বল। পাশাপাশি গ্যাসীয়, তরল ও কঠিন পদার্থের মধ্যে দিয়ে আলোর প্রতিসরণ বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে আলাদা। রমন এফেক্টের আবিষ্কারে দেখা যায়, নতুন তৈরি হওয়া তরঙ্গগুলির দৈর্ঘ্যের মূলটির থেকে হয় কম নয় বেশি হয়।
১৯২৮-এর ফেব্রুয়ারির ২৭সে তারিখ রমন ঠিক করেন বর্ণালীবীক্ষণ যন্ত্রের (spectroscope) সাহায্যে আলোর বিক্ষেপণে পরিবর্তিত বর্ণালী পর্যবেক্ষণ করবেন। এসোসিয়েশানের ল্যাবোরেটরিতে আশুবাবু সারাদিন ধরে যন্ত্রপাতি সেট করেন। তবে সবকিছু ঠিকঠাক করতে করতে সূর্য ডুবে যায়। পরদিন ২৮ সে ফেব্রুয়ারি সকালে সূর্য ওঠার পর পরই শুরু হলো পর্যবেক্ষণ। একটু পরেই দেখা যায় নির্দিষ্ট বর্ণের আলোর বর্ণালীর পাশে আরেকটি ভিন্ন বর্ণের আলোক রেখা – “রামন রেখা”। আবিষ্কৃত হলো ‘রামন এফেক্ট’। পরদিন ১৯২৮ সালের ২৯সে ফেব্রুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সারা পৃথিবী জেনে গেলো ‘রামন এফেক্ট’ এর কথা। সংবাদপত্রে প্রকাশিত হলো ‘নিউ থিওরি অব রেডিয়েশান’। মার্চের ৮ তারিখে নেচার জার্নালে পাঠানো হলো ‘রামন ইফেক্ট’ সংক্রান্ত নোট। এরপর ১৯২৯ সালে ব্রিটিশ সরকার সি ভি রমনকে 'নাইট' খেতাব দিলে রমন নামের আগে ‘স্যার’ যুক্ত হয়। স্যার সি ভি রামন দ্রুত হয়ে ওঠেন ভারতীয় বিজ্ঞানের জগতের জীবন্ত কিংবদন্তী।
সিভি রমনের প্রাপ্ত পুরস্কার ও সম্মাননা :
ভারতীয় বিজ্ঞানী যারা নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন (Indian scientists who won Nobel Prize) তাদের মধ্যে সিভি রমন বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। কারণ সাধারণত বিজ্ঞানের যে কোন আবিষ্কারের পর অনেক বছর লেগে যায় তার স্বীকৃতি পেতে। বিশেষ করে নোবেল পুরষ্কারের মত পুরষ্কার পাবার ক্ষেত্রে। কিন্তু রমনের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা ঘটে গেলো মাত্র দু’বছরের মধ্যেই। ১৯৩০ সালেই ‘রমন এফেক্ট’ আবিষ্কারের জন্য নোবেল-পুরষ্কার পান স্যার সি ভি রমন। এর আগে ১৯২৪ সালে, তিনি তাঁর কর্মজীবনের প্রথম দিকে রয়্যাল সোসাইটির একজন ফেলো হিসাবে নির্বাচিত হন এবং ১৯২৯ সালে নাইট উপাধি লাভ করেন। ১৯৪১ সালে ফ্র্যাঙ্কলিন পদক পেয়েছিলেন। ১৯৫৪ সালে ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ভারতরত্ন দেওয়া হয়েছিল সিভি রমনকে। পাশাপাশি ১৯৫৭ সালে, তিনি লেনিন শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হন। ১৯৯৮ সালে আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটি এবং ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অফ সায়েন্স রমনের আবিষ্কারকে আন্তর্জাতিক ঐতিহাসিক রাসায়নিক ল্যান্ডমার্ক হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
১৯৭০ সালে গবেষণাগারে কাজ করার সময় হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হন সিভি রমন। ১৯৭০ সালের ২১ সে নভেম্বর রমন রিসার্চ ইনস্টিটিউটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
ডাঃ সিভি রমন ছিলেন ভারতের একজন মহান কিংবদন্তি, যার কঠোর পরিশ্রম এবং দৃঢ় সংকল্প ভারতকে গর্বিত করে। তিনি প্রমাণ করেছেন যে, একজন ব্যক্তি যদি তাঁর ইচ্ছাকে অনুসরণ করতে চায় তবে কেউ বাধা দিতে পারে না। তিনি সর্বদা একজন মহান বিজ্ঞানী, পদার্থবিদ এবং নোবেল বিজয়ী হিসাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন এবং তাঁর যুগান্তকারী আবিষ্কার আলোক তরঙ্গের অজানা পথ খুলে দিয়েছে। শক্তির স্তর এবং অণু ও পরমাণুর গঠন বুঝতে অনেক সহায়তা করেছে রমন-এফেক্ট। এখনও পদার্থবিজ্ঞানের অনেক শাখায় রমন এফেক্ট কাজে লাগছে। জীববিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাবিজ্ঞানেরও অনেক শাখায় রমন এফেক্ট কাজে লাগিয়ে অনেক নতুন নতুন গবেষণা হচ্ছে। যার ফলে এই আবিষ্কারকে স্মরণ করার পাশাপাশি সিভি রমন এবং ভারতীয় বিজ্ঞানীদের এবং তাদের কাজকে সম্মান জানাতেই প্রতি বছর ২৮সে ফেব্রুয়ারি ভারতে পালন করা হয় জাতীয় বিজ্ঞান দিবস।