২০২৭ সালের মধ্যে ভারত বিশ্বের তৃতীয় অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে বলে দাবি করছেন মর্গ্যান স্ট্যানলি

Wednesday, November 9 2022, 4:37 pm
highlightKey Highlights

প্রথম ধাপ এগোলো ডিজিট্যাল ইন্ডিয়া, মার্কিন সংস্থা মর্গ্যান স্ট্যানলি ভবিষ্যদ্বাণী করেছে ২০২৭ সালের মধ্যে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে ভারত।


মার্কিন সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে স্টক মার্কেটের তৃতীয় বৃহত্তম কেন্দ্রে পরিণত হবে ভারত। মর্গ্যান স্ট্যানলি একটি প্রতিবেদনে দাবি করেছে, ভারতের দ্রুত অর্থনৈতিক বৃদ্ধি হচ্ছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই এক বিলিয়নেরও বেশি জনসংখ্যার দেশ ভারত বিশ্বের কাছে উদাহরণ তৈরি করতে চলেছে।

ভারতের জিডিপি বৃদ্ধি পাবে,তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ, আয়ের বন্টনে হতে পারে পরিবর্তন

মর্গ্যান স্ট্যানলির ভারতীয় শাখার প্রধান ইক্যুইটি স্ট্র্যাটেজিস্ট রিধাম দেশাই বলেন, অর্থনীতির দিক থেকে বিশ্বে ভারত নিজের অবস্থান আরও পাকা করতে চলেছে। তিনি বলেন, কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতি বিভিন্ন সংস্থার শীর্ষস্থানীয় আধিকারিকরা বাড়িতে বসে কাজ করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন। বিদেশী সংস্থার বহু কর্মচারী ভারতে থেকে কাজ করতে পছন্দ করছেন। দেশাই বলেন, আগামী কয়েক দশকের মধ্যেই দেশের বাইরে কর্মরত ভারতীয়দের সংখ্যা বেড়ে যাবে।

মর্গ্যান স্ট্যানলির তরফে একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ৩.৫ ট্রিলিয়ন অর্থনীতির দেশ থেকে ২০৩১ সালের মধ্যে ৭.৫ ট্রিলিয়ন অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে। যেখানে BSE ১১ শতাংশ বার্ষিক বৃদ্ধি হবে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। আগামী ১০ বছরের মধ্যে ভারতের অর্থনীতি ১০ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের জিডিপির ২১ শতাংশ বৃদ্ধি হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। ২০২২ সালে ভারতের জিডিপির ১৫.৬ শতাংশ বৃদ্ধি হহয়েছে।

দেশাই জানিয়েছেন, ভারত এখনও নিম্ন আয়ের দেশ হিসেবে পরিচিত। কিন্তু আয়ের বন্টন আগামী দশকে পাল্টে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। ২০২২ সালে ভারত ২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থনীতির দেশ। তিনি মনে করছেন, চলতি দশকের শেষের দিকে এই সংখ্যা দ্বিগুনের বেশি হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। চলতি দেশের শেষের দিকে ভারত ৪.৯ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থনীতির দেশে পরিণত হতে পারে। তিনি বলেছেন, আগামী বছরগুলোতে সব থেকে বেশি লাভ হতে পারে পোশাক, খুচরো ব্যবসা, বিনোদন, গৃহস্থলীর বিভিন্ন পরিষেবা থেকে।

ভারত ইউটিলিটিস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়ালস বিশ্লেষক গিরিশ আচিপালিয়া বলেছেন, তিনি মনে করেন, মূলধন বিনিয়োগের বৃদ্ধি দেশের অর্থনীতিকে আরও বেশি করে চাঙ্গা করবে। যার জেরে কর্মসংস্থান বাড়বে। আয় ও সঞ্চয়ের পরিবর্তে বিনিয়োগ বাড়বে বলে তিনি মনে করছেন। অর্থনীতি বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, এক দশকেরও বেশি আগে আধারপ্রকল্প চালু হয়। এই আধারকার্ড ভারতে বসবাসকারীর পরিচিতি পত্র বলা যেতে। তাঁরা মনে করছেন, সেটাই ডিজিট্যাল ইন্ডিয়ার প্রথম ধাপ। পরিচয় পত্রে বায়োমেট্রিকই ভারতকে ডিজিট্যালের দিকে অনেকটা এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে।




পিডিএফ ডাউনলোড | Print or Download PDF File