স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে নবান্নের পক্ষ থেকে নেওয়া হল বড় সিদ্ধান্ত, বদল ঘটেছে টাকা মেটানোর নিয়মে
স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। এবার থেকে বিমা সংস্থাগুলিকে আর এই প্রকল্পের আওতায় রাখতে চাইছে না সরকার।
স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পতে বিমা সংস্থা থাকায় বেশ কিছু জটিলতা তৈরি হচ্ছিল। বিশেষ করে প্রতি মাসে বেসরকারি হাসপাতালের পাওনা মেটানো থেকে শুরু করে বিপুল হারে ক্লেম বাড়ছিল। এর জেরে বিমা সংস্থাগুলি পরোক্ষভাবে সরকারের উপরেই চাপ সৃষ্টি করছিল। কিন্তু এবার বিমা সংস্থাকেই এই প্রকল্প থেকে সরিয়ে দিতে চাইছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
নতুন নিয়ম আরোপ করা হয়েছে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প নিয়ে, জানুন কী কী বিষয়ে পরিবর্তন করা হয়েছে
স্বাস্থ্যসাথীতে টাকা মেটানোর ক্ষেত্রে অ্যাশিয়োরেন্স ও ইনশিয়োরেন্স এই দুটি মোড চালু ছিল। অ্যাশিয়োরেন্স মোডে সরকার সরাসরি টাকা মিটিয়ে দেবে। ইনশিয়োরেন্স মোডে ছিল বিমা সংস্থাটি। এই পদ্ধতিটি আপাতত বন্ধ রেখে অ্যাশিয়োরেন্স মোড চালু রাখার পথে হাটতে চলেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। নবান্নে আশা এর ফলে বেসরকারি হাসপাতালগুলির টাকা সঙ্গে সঙ্গে মিটিয়ে দেওয়া যাবে। বেশি দিন টাকা বকেয়া হয়ে থাকবে না।
জুন মাসের একটি প্রশাসনিক বৈঠকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড প্রত্যাখ্যান করা নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরুলিয়ার প্রশাসনিক বৈঠকে তিনি সাফ জানিয়েছিলেন, হাসপাতাল চিকিৎসা না করালে এফআইআর করান। স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা সাধারণ মানুষ ঠিকঠাক পাচ্ছেন কিনা, তা জানতে রাজ্য এবং জেলা স্তরে নজরদারি দল তৈরি করেছিল সরকার৷
স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে চিকিৎসা পেতে রোগীদের কোনও সমস্যা হলে খতিয়ে দেখবেন নজরদারি দলের সদস্যরা। কোন কোন হাসপাতাল বা নার্সিং হোমে পরিদর্শন করলেন সেই রিপোর্ট আপলোড করতে হবে স্বাস্থ্য সাথীর পোর্টালে। কোনও হাসপাতালের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের মাধ্যমে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে অভিযোগ উঠলে আইন মেনে পদক্ষেপ করবে নজরদারি দল। জানা গিয়েছে, নজরদারি দলকে হাসপাতাল পরিদর্শনের টার্গেট বেঁধে দিয়েছে রাজ্য সরকার। প্রতি অন্তত ছ'টি হাসপাতালে পরিদর্শন করতে হবে তাদের৷
- Related topics -
- মমতা ব্যানার্জী
- স্বাস্থ্য সাথী'
- রাজ্য