Child Health: বিরল জেনেটিক রোগে আক্রান্ত শিশুদের খুঁজে বের করতে কলকাতা পুরসভার নতুন উদ্যোগ
প্রতি ২০ জনের মধ্যে ১ জন শিশু এক বিরল জিনগত রোগের স্বীকার, খোঁজ নিতে এবার দুয়ারে কলকাতা পুরসভা।
অনেক শিশু জন্ম থেকেই কেউ দাঁড়াতে পারে না। অনেকটা কাটা গাছের কাণ্ডের মতো বিছানাতেই একধারায় শুয়ে থাকে। শিশুদের 'দি ক্রিয়েটাইন ফসফোকিনেস আইসো এনজাইম' বা CPK মাত্রা পরীক্ষা করলেই এই বিরল ও জেনেটিক রোগটি ধরা পরে। শিশুদের প্রভাবিত এই রোগটিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)বিরল রোগ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।
সম্প্রতি রাজ্যে এর ওপর এক সমীক্ষা করা হয়েছিল। সেই সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে গড়ে সাত বছর বয়সে শিশুদের এই বিরল রোগ ধরা পড়ে। অর্থাৎ শিশুর জন্মের ৭ বছর কেটে যাওয়ার পর এই রোগ ধরা পড়ার ফলে চিকিৎসা শুরু হতেও দেরি হয়। স্বাভাবিক ভাবে যদি আগে থেকে চিকিৎসা শুরু করা গেলে হয়তো জটিলতা অনেকটাই এড়ানো সম্ভব হত।
এবার পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য দফতর থেকে সেই জটিলতা এড়াতেই তৈরি হচ্ছে নতুন কমিটি। ইন্ডিয়ান প্রেডার উইল সিন্ড্রোম অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের বৈঠক হয়েছে। ইন্ডিয়ান প্রেডার উইল সিন্ড্রোম অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শিখা মেথারামানি জানিয়েছেন, নতুন কমিটিতে থাকবেন পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ তথা ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ।
সম্প্রতি এবিষয়ে যুব তৃণমূল নেত্রী শ্রীমতি প্রিয়দর্শিনী ঘোষ জানিয়েছেন, কলকাতা পুরসভার প্রাইমারি হেল্থ কেয়ার সেন্টার প্রতিটি ওয়ার্ডেই রয়েছে। এই আরবান প্রাইমারি হেল্থ সেন্টারগুলি তাদের নিজস্ব আশাকর্মী, নার্সের সহায়তায় পোলিও-সহ শিশুদের একাধিক টিকাকরণের কাজ করে থাকে। তারা যদি পুরসভার অন্তর্গত ১৪৪টি ওয়ার্ডের প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নেয় এই বিরল অসুখে কোনো শিশু আক্রান্ত কি না, সেক্ষেত্রে একটি ডেটাবেস তৈরি করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি বিরল রোগে আক্রান্ত শিশুর খোঁজ মিললে চিকিৎসাও দ্রুত শুরু করা যাবে। ইতিমধ্যেই পিজি হাসপাতালে জেনেটিক টেস্টিং শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বাস্থ্যসাথী সাহায্য করছে বিরল রোগে আক্রান্ত শিশুদের। ইতিমধ্যেই রাজ্যের ৬ বিরল রোগাক্রান্ত শিশুর অস্ত্রোপচার হয়েছে স্বাস্থ্যসাথীতে।
- Related topics -
- স্বাস্থ্য
- শিশু
- লাইফস্টাইল
- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
- কোলকাতা
- কলকাতা পুরসভা