দেশ

Chandrayaan 3 | দিন কয়েক পরেই ফের ইসরোর চন্দ্রাভিযান! আগামী মাসের শুরুতেই লঞ্চ করবে 'চন্দ্রযান ৩'!

Chandrayaan 3 | দিন কয়েক পরেই ফের ইসরোর চন্দ্রাভিযান! আগামী মাসের শুরুতেই লঞ্চ করবে 'চন্দ্রযান ৩'!
Key Highlights

চন্দ্রাভিযান ২ এর অসফলতার পর ফের চাঁদে রকেট পাঠাতে চলেছে ইসরো। আগামী মাসের শুরুতেই লঞ্চ হবে চন্দ্রযান ৩।

ফের সাফল্যের পালক জুড়তে চলেছে ভারতের (India) মুকুটে। মাত্র কয়েকদিন পর চাঁদে তৃতীয় অভিযান পাঠাতে চলেছে ভারতের মহাকাশ গবেষণার সংস্থা (Indian Space Research Organization) অর্থাৎ ইসরো (ISRO)। এই বিষয় গতকাল অর্থাৎ বুধবার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়।

ইসরোর তরফ থেকে জানানো হয় আগামী ১৩ জুলাই শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার (Satish Dhawan Space Center, Sriharikota) থেকে জিএসএলভি মার্ক ৩ (GSLV Mark 3) লঞ্চ ভেহিকল থেকে উৎক্ষেপণ হবে তৃতীয় চন্দ্রভিযানের রকেট। ৩০ মিনিটে উৎক্ষেপণ হবে চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3)। জানা গিয়েছে এই রকেট বানাতে খরচ পড়েছে মোট ৬১৫ কোটি টাকা। চন্দ্রযান ৩ এ চন্দ্রযান২ এর মত থাকবে একটি ল্যান্ডার (Lander) এবং রোভার (Rover)। এমনকি এগুলির নাম ও রাখা হয়েছে একই ল্যান্ডার বিক্রম (Lander Vikram) এবং রোভার প্রজ্ঞান (Rover Pragyan)। তবে এবার চাঁদের চারিদিকে ঘোরার জন্য কোনো অরবিটার রাখা হচ্ছে না। বরং এবার থাকছে স্পেকট্রো পোলরিমেট্রি অফ হ্যাবিটেবল প্ল্যানেট আর্থ (Shape) নামের একটি পেলোড। উল্লেখ্য এই সরঞ্জামটি চাঁদের কক্ষপথ থেকে পৃথিবীকে নিরীক্ষণ করে তার সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রেরণ করবে ইসরো বিজ্ঞানীদের।

প্রসঙ্গত এই নিয়ে তৃতীয়বার চাঁদে পাড়ি দিতে চলেছে ইসরোর রকেট। এর আগে ২০১৯ সালের চন্দ্রযান ২ (Chandrayaan 2) এর অভিযান সফল হয়নি। লঞ্চ করার পর চাঁদের চারপাশে ঘুরপাক খেলেও ল্যান্ডার বিক্রমকে নিরাপদে চাঁদের মাটিতে নামানো যায়নি। চাঁদের বুকে আজকে পড়ে ল্যান্ডারটি। তবে এবার চন্দ্রভিযান নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী ইসরো। জানা গিয়েছে নিরাপদে চাঁদের মাটিতে রোবট চালিত রোভারকে নামানোর সমস্ত রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

ইসরো সূত্রে খবর, আগেরবারের মতো যাতে কোন বিপদ না হয় তার জন্য এবার দীর্ঘ সময় ধরে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানো হয়েছে। এই চন্দ্রাভিযানে কি কি ঝুঁকি থাকতে পারে তা খতিয়ে দেখা হয়েছে। পাশাপাশি আগের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার নিরাপত্তাতেও বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। তৃতীয়বার চন্দ্র অভিযানের একটি মূল সংযোজন হল ব্যাসযোগ্য প্ল্যানেট আর্থ (শেপ) পেলোডের স্পেকট্রো পোলারিমেট্রি (Spectropolarimetry of the Diameter Able Planet Earth Payload) অন্তর্ভুক্ত করা। ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার বিজ্ঞানীদের সম্পূর্ণ আস্থা এই সরঞ্জামটি দিয়ে চাঁদের কক্ষপথ থেকে পৃথিবীর বর্ণালী এবং পোলারি মেট্রিক পরিমাপ অধ্যায়ন করা সম্ভব হবে। ফলে এই চন্দ্র অভিযান সফল হলে পৃথিবী সম্পর্কে মূল্যবান তথ্য পেতে পারি আমরা।