ওমিক্রন আতঙ্কে সতর্কতা অবলম্বন করছে বাংলাদেশ Bangladesh warns of Omicron panic
কোভিড-১৯ ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আতঙ্ক ছড়িয়েছে, ব্যতিক্রম নয় বাংলাদেশও।
কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্তের হার বর্তমানে প্রায় দুই শতাংশের নিচে নেমেছে। এ অবস্থায় নতুনভাবে দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হওয়া কোভিড-১৯ ভাইরাসের নতুন রূপ শঙ্কা জাগাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই নতুন রূপের নাম দিয়েছে ওমিক্রন।
করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় শঙ্কা দেখা দিয়েছে
ওমিক্রনকে সবচেয়ে বেশি বার জিন বদলানো সংস্করণ বলে ধরা হচ্ছে, তাই ইতোমধ্যেই এই রূপ বা ভ্যারিয়েন্টকে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ হিসেবে ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। দক্ষিণ আফ্রিকা ছাড়াও বতসোয়ানা, ইসরায়েল, বেলজিয়াম ও হংকংয়ের ১০৪টি নমুনায় এই ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করা হয়েছে। তাই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে ইতিমধ্যেই সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে।
সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে?
বিভিন্ন দেশে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। তাই সংক্রমণ ঠেকাতে আফ্রিকার সঙ্গে যোগাযোগ স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এছাড়াও দেশের প্রবেশপথগুলোতে সতর্কবার্তা জারি করার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম রোববার এ প্রসঙ্গে জানান, "নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট প্রতিরোধে ‘সব ধরনের প্রস্তুতি’ নিচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এ বিষয়ে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে। আমরাও পোর্ট অব এন্ট্রিগুলোয় সতর্কবার্তা দিয়েছি।"
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম বলেন," আমাদের পরামর্শক কমিটির বৈঠক হবে খুব দ্রুতই। সেখানে করণীয় বিষয়ে আলোচনা হবে। সেই আলোচনার সিদ্ধান্ত আমরা জানাব ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে। ভ্যারিয়েন্ট যাই হোক না কেন, সেটা থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় কিন্তু একটাই; স্বাস্থ্যবিধি মানা। একই সঙ্গে সবাইকে জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে।"
- Related topics -
- আন্তর্জাতিক
- বাংলাদেশ
- কোভিড ১৯
- ওমিক্রন