রাজ্য

Media Adiction | মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট আসক্তি ছাড়াতে উদ্যোগ! দেশের দ্বিতীয় ক্লিনিক চালু কলকাতায়!

Media Adiction | মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট আসক্তি ছাড়াতে উদ্যোগ! দেশের দ্বিতীয় ক্লিনিক চালু কলকাতায়!
Key Highlights

মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট আসক্তির ক্লিনিক চালু কলকাতায়। মল্লিকবাজারে চালু ক্লিনিক।

বর্তমান যুগে আট থেকে আশি সকলের হতে মোবাইল ফোন, ইন্টারনেটের সুযোগ সুবিধে। এই দুই বস্তুর উদ্ভাবন হয়েছে মানব সমাজকে উন্নত করার জন্যে। কিন্তু বর্তমানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় মোবাইল ফোন, অনলাইন গেম এবং ইন্টারনেটের আসক্তির ঘটনা। বয়সে ছোট হোক কিংবা বৃদ্ধ, অনেকেই বলতে গেলে সমাজের অধিকাংশ জনতাই মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট আসক্ত। এর ফলে মানসিক সমস্যা থেকে শুরু করে, প্রতারণার মত নানান দুর্ঘটনা ঘটে। এবার বিষয় মাথায় রেখেই মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটে আসক্তির চিকিৎসায় দেশের দ্বিতীয় ক্লিনিক চালু হলো কলকাতায় (Kolkata)।

গতকাল অর্থাৎ শনিবার ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সে  চালু করা হয় এই ক্লিনিক। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা এবং মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা। এদিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সঙ্গে আয়োজন করা হয় একটি সেমিনারেরও। মূলত কম বয়সীদের মধ্যে মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটের প্রতি আসক্তি বেশি দেখা যায়। এই আসক্তি কী ভাবে এবং কেন বাড়ছে সেই সম্পর্কেই আলোচনা করা হয়।

উল্লেখ্য, স্মার্ট যুগে মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটে আসক্তির ঘটনা প্রায়শই দেখা যায়। এই প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই আসক্তি শারীরিক ও সামাজিক নানাবিধ সমস্যা ডেকে আনে। দেখা দেয় অপরাধপ্রবণতাও। কিন্তু আধুনিক প্রযুক্তির প্রতি এই আসক্তি দূর করা কঠিন। এই প্রেক্ষিতে মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটে আসক্তদের চিকিৎসায় মল্লিকবাজারের ইন্সটিটিউট অফ নিউরো সায়েন্সেসে (Institute of Neuro Sciences) চালু হল ক্লিনিক ফর ইন্টারনেট গেমিং অ্য়ান্ড মিডিয়া অ্য়াডিকশন (Clinic For Internet Gaming and Media Addiction)।

প্রসঙ্গত, মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটে আসক্তির চিকিৎসায় এটি দেশের দ্বিতীয় ক্লিনিক। এই চিকিৎসা কেন্দ্র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যে সেমিনার আয়োজিত হয় তাতে আলোচনায় প্রাথমিকভাবে উঠে আসে, মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটে আসক্তির কারণ এবং কীভাবে তা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাইরের দুনিয়া, বিশেষত প্রকৃতির মাঝে সময় কাটানো মোবাইল ও ইন্টারনেটে আসক্তির অভ্যাস কাটাতে সাহায্য করতে পারে। প্রত্যেক দিন কী ঘটছে, তার খতিয়ান ফোনে অন্য কাউকে না শুনিয়ে তার জার্নাল লিখে রাখলেও এই আসনটি কাটতে পারে। এতে নিজের কাছে নিজের মনের ভাব স্পষ্ট হবে। কোনও শখ বা ইচ্ছা থাকলে, সেটি নিয়ে নাড়াচাড়া করার কথাও বলা হয়। গান, নাচ, ছবি আঁকা বা ছবি তোলার মতো 'হবি'-র পাশাপাশি গার্ডেনিং, গ্লাস পেন্টিং বা কোনও বাদ্যযন্ত্র শেখা- যে কোনও ইচ্ছাপূরণে ফাঁকা সময়টা কাটাতে পারেন। পাশাপাশি ফিটনেসের দিকে নজর রাখা জরুরি। বিশেষত ঘাম ঝরানো এক্সারসাইজ শরীর ও মন দুই তরতাজা রাখে, মনোযোগ ও ঘুমের মান ভাল হয়।