Tulsi Anti-aging Toner: তুলসি অ্যান্টি এজিং টোনার দিয়ে আপনার ত্বকের যত্ন নিন
কেমিক্যেল দেওয়া কসমেটিক আর নয়। আপনার ঝুলে যাওয়া ত্বককে করুন টানটান। বাড়িতে বসেই সহজে বানান তুলসি অ্যান্টি এজিং টোনার।
বর্তমানে আমরা ত্বকের যত্ন নিতে নানা রকমের প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকি। বয়স ৩০ ছুঁই ছুঁই হতে না হতেই শুরু হয় নামি দামি অ্যান্টি এজিং ক্রীম, টোনার কেনা। কিন্তু চিন্তায় ফেলে দেয় এইসব কসমেটিকে থাকা একাধিক জানা অজানা কেমিক্যেল (Cosmetic Chemical)। আয়ুর্বেদিক কসমেটিকের ক্ষেত্রেও দেখা যায় একই ব্যাপার। এবার এই চিন্তা থেকে মুক্তি পেতে বাড়িতে থাকা তুলসি গাছ থেকে সহজেই বানান অ্যান্টি এজিং টোনার (Tulsi Anti-aging Toner)।
তুলসি গাছের (Tulsi) উপকারিতা শুরু করলে শেষ হয়না। সর্দি, কাশি থেকে রক্ষা করা তো বটেই, এমনকি অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল হিসেবে কাজ করে এই ভেষজ উদ্ভিদ। কেবল শরীর স্বাস্থ্যই নয়, ত্বকের স্বাস্থ্যও ভালো করতে সক্ষম এই গাছ। তুলসি গাছের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সাহায্য করে ব্রণ ও ত্বকের বার্ধক্য জনিত সমস্যা মেটাতে। তাহলে ঝটপট দেখে নিন কীভাবে বানাবেন তুলসি থেকে অ্যান্টি এজিং টোনার।
তুলসি অ্যান্টি এজিং টোনার বানাতে লাগবে- তুলসি পাতা, গোলাপ জল (Rose Water) ও গ্লিসারিন (Glycerine)। প্রথমে একটি পাত্রে এক গ্লাস জল নিয়ে ফুটিয়ে নিন। জল ফুটতে শুরু করলে তাতে বেশ কয়েক ধোয়া তুলসি পাতা দিয়ে গ্যাসের আঁচ কমিয়ে পাত্রটি ঢেকে দিন। এরপর ১০ মিনিট পর গ্যাস বন্ধ করে ছাকনি দিয়ে ফোটানো জলটা ছেঁকে নিন। জলটা ঠান্ডা হলে একটা স্প্রে বোতলে ঢেলে তার মধ্যে অর্ধেক গোলাপ জল এবং এক চামচ গ্লিসারিন মেশালেই তৈরী আপনার তুলসি অ্যান্টি এজিং টোনার।
এই টোনার আপনার ত্বককে করে তুলবে প্রাণোজ্জ্বল। কুঁচকে যাওয়া ত্বক টানটান করতে, ত্বককে হাইড্রেটেড এবং ময়শ্চারাইজ রাখতে, ব্রণ দূর করতে ম্যাজিকের মতো কাজ করবে এই টোনার। নিয়মিত ব্যবহারে এই টোনার আপনাকে দিতে পারে পরিষ্কার, সুস্থ, তরুণ, গ্ল্যামারাস ত্বক।
তবে কীভাবে এবং কখন ব্যবহার করবেন এই টোনার? ফেস ওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়ার পর একটি নরম তোয়ালে দিয়ে আপনার মুখ আলতো করে মুছে নিন। মুখ শুকিয়ে যাওয়ার পর টোনার স্প্রে বোতল থেকে সরাসরি মুখে স্প্রে করুন অথবা তুলোর মধ্যে সামান্য টোনার দিয়েও ব্যবহার করতে পারেন। এরপর টোনারটি পুরো মুখে আঙ্গুল দিয়ে আলতো করে ম্যাসাজ করুন। কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করার পর বাতাসের হাওয়ায় টোনারটা মুখে শুকিয়ে নিন। এরপর ব্যবহার করুন ময়শ্চারাইজার। এরপর আপনি নিজের স্কিন কেয়ার রুটিনও করতে পারেন।
আপনার ত্বককে কেমিক্যাল থেকে রক্ষা করতে ও ত্বক হাইড্রেটেড এবং সতেজ রাখতে নিয়মিত ব্যবহার করুন তুলসি অ্যান্টি এজিং টোনারটি এবং পান সুস্থ তরুণ ত্বক।
- Related topics -
- লাইফস্টাইল
- তুলসি
- ফেস টোনার
- অ্যান্টি এজিং