আন্তর্জাতিক

High Crime Rated Countries | খুন, ধর্ষণ, হত্যাকাণ্ড, পাচার যেন রোজকার ঘটনা! বিশ্বের এই দেশগুলিতে অপরাধের হার সবথেকে বেশি! কোন স্থানে ভারত?

High Crime Rated Countries | খুন, ধর্ষণ, হত্যাকাণ্ড, পাচার যেন রোজকার ঘটনা! বিশ্বের এই দেশগুলিতে অপরাধের হার সবথেকে বেশি! কোন স্থানে ভারত?
Key Highlights

এক-এক দেশে এক-এক রকম হয় এই হার। এই হার নির্ভর করে বিশেষ কিছু বিষয়ের ওপর, যেমন-দারিদ্র্যের উচ্চহার, বেকারত্ব,শিক্ষার অভাব, খারাপ পরিবেশ ইত্যাদি। বেশিরভাগ দেশে যেখানে অন্যান্য দেশ অনুযায়ী অপরাধ সূচক বেশি সেখানে এই সব কারণেই অপরাধ বেশি হতে দেখা যায়।

গোটা বিশ্বের দেশগুলিতে কখনোই সমান অপরাধ হার থাকে না। এক-এক দেশে এক-এক রকম হয় এই হার। এই হার নির্ভর করে বিশেষ কিছু বিষয়ের ওপর, যেমন-দারিদ্র্যের উচ্চহার, বেকারত্ব,শিক্ষার অভাব, খারাপ পরিবেশ ইত্যাদি। বেশিরভাগ দেশে যেখানে অন্যান্য দেশ অনুযায়ী অপরাধ সূচক (crime index by country) বেশি সেখানে এই সব কারণেই অপরাধ বেশি হতে দেখা যায়। তবে এই হার কিন্তু কমেও। সঠিক ব্যবস্থা, কড়া পুলিশি পদক্ষেপ এবং কঠিন শাস্তির কারণে অপরাধের হার কমতে থাকে। দেখে নেওয়া যাক বর্তমানে কোন দেশে অপরাধ হার অপেক্ষাকৃত বেশি।

ভেনেজুয়েলা । Venezuela :

ভেনেজুয়েলার ক্রাইম রেট বা ইন্ডেক্স ৮৩.৭৬। এখানে অপরাধের হার এতোই বেশি যে এখানে ভ্রমণের ক্ষেত্রে লেভেল ৪ নির্দেশিকা জারি করেছে আমেরিকান ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেট। ভেনেজুয়েলায় সারা বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক অপরাধ সংঘটিত হওয়ার কারণ সরকারি দুর্নীতি এবং বিচারব্যবস্থায় সর্ষের মধ্যে ভূত থাকা। ফলে অহরহ ঘটে চলেছে অপরাধ।

পাপুয়া নিউ গিনি । Papua New Guinea : 

গোটা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি অপরাধ হার থাকার দেশগুলির মধ্যে দ্বিতীয়স্থানে রয়েছে পাপুয়া নিউ গিনি। এখানকার ক্রাইম ইনডেক্স ৮০.৭৯।  দ্রুত সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক পালাবদলই মূলত অপরাধের কারণ।

দক্ষিণ আফ্রিকা । South Africa :

অপরাধের নিরিখে তৃতীয় স্থানে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এখানে নিগ্রহ, ধর্ষণ, হত্যাকাণ্ড এবং আরও নানা ধরনের হিংসাত্মক অপরাধ দেখা যায়। এর অন্যতম মূল কারণগুলি হল দারিদ্র্য, অসাম্য এবং বেকারত্ব। দক্ষিণ আফ্রিকায় ৭৫ শতাংশের বেশি অপরাধ হার। 

আফগানিস্তান । Afghanistan : 

অপরাধের নিরিখে চতুর্থ স্থানে রয়েছে আফগানিস্তান। দুর্নীতি, হত্যা, সুপারি হত্যাকাণ্ড, মাদক পাচার, অপহরণ, অর্থ পাচারের আকারে এখানে অপরাধ সংঘটিত হয়। তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে বিশ্বের প্রায় ৮৫ শতাংশ অবৈধ আফিম সরবরাহ করেছে আফগানিস্তান। আফগানিস্তানে মাদক পাচার, খুন, অপহরণ অথবা মানবপাচারের মতো অপরাধ সবচেয়ে বেশি সংঘটিত হয়। 

হন্ডুরাস । Honduras :

২০১২-র এক পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে, প্রতিদিন ২০টি করে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে হন্ডুরাসে। এর পিছনে মূল কারণ কিছু বন্দুকবাজ দল। এছাড়াও আমেরিকার বড়সড় মাদক পথ হিসেবে গণ্য করা হয় এই জায়গাকে। এখানকার ক্রাইম ইনডেক্স ৭৪.৫৪। 

ত্রিনিদাদ ও টোবাগো । Trinidad and Tobago : 

অপরাধের দিক থেকে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে এই দেশ। ত্রিনিদাদ ও টোবাগোয় ব্যাপক হারে মাদক পাচারের অপরাধ সংঘটিত হয়। এছাড়া পকেটমারি, হেনস্থা, চুরি ও প্রতারণার ঘটনা ঘটে চলেছে। এর পাশাপাশি এই দেশে অবৈধ অস্ত্রের বিপুল চাহিদা রয়েছে। যদিও অপরাধদমনের আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। পর্যটকদের সেখানে ভ্রমণের ক্ষেত্রে লেভেল ২ ভ্রমণ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।

গুয়ানা । Guana :

সারা বিশ্বের মধ্যে গুয়ানার অপরাধের হার ৬৮.৭৪। আগ্নেয়াস্ত্রের মালিকানা পাওয়ার জন্য কঠোর লাইসেন্সের প্রয়োজনীয়তা থাকা সত্ত্বেও অপরাধীদের দ্বারা অস্ত্রের ব্যবহার সাধারণ হয়ে উঠেছে গুয়ানা (guana)-তে । আর গার্হ্যস্থ হিংসাও এখানকার রোজকার ঘটনা।

এল সালভাদর । El Salvador :

সম্পত্তিগত অপরাধ, ডাকাতি-চুরি এবং গাড়ি চুরির মতো বিষয় এখানে সবথেকে সাধারণ হয়ে উঠেছে। 

ব্রাজিল । Brazil :

ব্রাজিলে উচ্চ হারে হিংসাত্মক অপরাধ হতে দেখা যায়। শত্রুগোষ্ঠীর মধ্যে হিংসা-মারামারি, মাদক পাচার, দুর্নীতি, গার্হস্থ্য হিংসা ব্রাজিলে খুবই সাধারণ বিষয়। 

জামাইকা । Jamaica : 

সরকারি দুর্নীতি, গোষ্ঠী সংঘর্ষ, যৌন নিগ্রহ এবং উচ্চহারের হিংসাত্মক অপরাধই এই দেশের অপরাধের হার বাড়িয়ে তুলেছে। এখানকার স্প্যানিশ শহরতলি, কিংসটন এবং মন্টেগো বে-র কিছু অংশে পর্যটকদের যেতে নিষেধ করা হয়।

উল্লেখ্য, এই পরিসংখ্যানের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের দিকে তাকানো হয়, সেক্ষেত্রে রিপোর্ট অনুসারে, প্রতি ১ লক্ষ নাগরিকের নিরিখে ৪৪৫.৯ টি অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। ভারতের যে রাজ্যগুলিতে সবচেয়ে বেশি হারে অপরাধ সংঘটিত হয়, সেগুলির মধ্যে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ, কেরল, মহারাষ্ট্র, দিল্লি এবং বিহার। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ভারতের শহরাঞ্চলে গ্রামীণ এলাকার তুলনায় সবচেয়ে বেশি অপরাধ সংঘটিত হয়। উল্লেখ্য যে, ভারতে ২০২৪ সালে ২০২৩ সালের তুলনায় এখনও পর্যন্ত ০.৫৬ শতাংশ কম অপরাধ সংঘটিত হয়েছে এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হিংসাত্মক অপরাধ করে ২০-৩০ বছর বয়সীরাই।