Copper Vessel | তামার বোতলে জল খেলে দূরে থাকবে ক্যান্সার, থাইরয়েডের মতো একাধিক রোগ! কমবে ওজনও! তবে মানতে হবে ৩টি বিষয়!

আগের দিনে অধিকাংশ বাড়িতেই তামার (Copper) থালা, বাটি, গ্লাসে খাবার বা জল খাওয়ার নিয়ম ছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তামার পাত্র পরিবর্তন হয়েছে কাঁচের বা স্টিলের পাত্রের সঙ্গে। তবে চিকিৎসক থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সকলেই বলে থাকেন তামার থালা বা বাটিতে খাবার খাওয়া, বিশেষত তামার পাত্রে জল রেখে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তবে এই ধরণের পাত্রের সঠিকভাবে ব্যবহার না করলে হতে পারে উল্টো বিপদ। ফলে দেখে নিন, কেন তামার পাত্রে জল খাওয়া উপকারী এবং এর সঠিক ব্যবহার।

তামার পাত্রে জল খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা । Health Benefits of Drinking Water in Copper Pots :

তামা ছিল মানুষের পরিচিত প্রথম উপাদান। ক্যালকোলিথিক যুগ (Chalcolithic Age) বা তাম্র যুগে মানুষ পাথর দিয়ে তৈরী অস্ত্রকে তামা দিয়ে প্রতিস্থাপন করে। প্রাচীন সমাজ যেমন প্রাচীন মিশর (Egypt), রোম (Rome), গ্রীস (Greece), সোমালিয়া (Somalia), ইনকাস (Incas), অ্যাজটেক (Aztecs) এবং ভারতীয়রা (India) বাণিজ্যের জন্য মুদ্রা থেকে শুরু করে গৃহস্থালী পণ্যের জন্য তামার ব্যবহার শুরু করে। তৎকালীন সময়ে রোগ-জীবাণু, ব্যাকটেরিয়া (Bacteria) সম্পর্কে জ্ঞান না থাকলেও সেই সময়ে তামার পাত্রের ব্যবহারই বেশি হতো।

পূর্বের আয়ুর্বেদিক গ্রন্থেও তামার গুণের সম্পর্কে কথিত রয়েছে। বর্তমানেও বিশেষজ্ঞরা তামার গুণচর্চা করে থাকেন। তামা হল একমাত্র ধাতু যার অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল (Anti-Bacterial) বৈশিষ্ট্য রয়েছে। জারি ফলে দীর্ঘ সময় ধরে শরীরে কাটাছেড়া, মাথাব্যথা, এমনকি ভেরিকোজ শিরা (Varicose Veins ) সহ বিভিন্ন অসুস্থতার চিকিৎসার জন্য তামা ব্যবহার করা হয়ে আসছে। দীর্ঘ সময় থেকেই তামার স্বাস্থ্যের উপকারিতা প্রচার করে আসছেন চিকিৎসক, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, বিশেষত আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞরা। তামার পাত্রে জল রেখে খেলে শরীরে একটি বা দুটি নয়, উপকার হয় ১০ এর বেশি ক্ষেত্রে। দেখে নিন তামার পাত্রে জল খেলে আপনার শরীরে কী কী উপকার হবে।

১. ক্যান্সার প্রতিরোধ । Cancer Prevention:

তামায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট (Antioxidant)। যা সমস্ত ফ্রি রাডিকালগুলির (Free Radicals) বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং তাদের নেতিবাচক প্রভাবগুলিকে প্রতিরোধ করে। উল্লেখ্য, এই ফ্রি র‌্যাডিক্যালগুলির ক্ষতিকর প্রভাব মানবদেহে ক্যান্সারের (Cancer) সৃষ্টি করে। তামা মেলানিন (Melanin) তৈরিতেও সাহায্য করে, যা ব্যক্তির ত্বক এবং চোখের রঙ দেওয়া ছাড়াও সূর্যের ক্ষতিকারক ইউভি রশ্মি (UV Ray) থেকে রক্ষা করে।

২.  উচ্চ রক্তচাপ ভারসাম্য রাখে । Balances High Blood Pressure:

আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির (American Cancer Society) মতে, তামা কোলেস্টেরল (Cholesterol) এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের (Triglyceride) মাত্রা কমাতে পারে। কোনও ব্যক্তির যদি শৈশব থেকেই শরীরে কপারের ঘাটতি থাকে, তবে এটি হাইপোটেনশনের (Hypotension) বিকাশের দিকে পরিচালিত করে। অন্যদিকে, প্রাপ্তবয়স্কদের শরীরে যদি তামার ঘাটতি দেখা যায় তাহলে তা উচ্চ রক্তচাপের (High Blood Pressure) সৃষ্টি করে। অতএব, একজন ব্যক্তির রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য তামার পর্যাপ্ত পরিমাণ থাকা খুব প্রয়োজন।

৩.  থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যকারিতাকে সাহায্য করে । Helps the Functioning of the Thyroid Gland:

বিশেষজ্ঞদের মতে, থাইরয়েড রোগীদের মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ বৈশিষ্ট্য হল তামার ঘাটতি। কপার থাইরয়েড গ্রন্থির (Thyroid Gland) অসঙ্গতিগুলির ভারসাম্যপূর্ণ করে, অর্থাৎ এটি থাইরয়েড গ্রন্থিকে ভালভাবে কাজ করার জন্য শক্তি জোগায়। এটি থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে অত্যধিক নিঃসরণের ক্ষতিকারক প্রভাবগুলি প্রতিরোধ করে। যদিও তামার অভাব থাইরয়েড গ্রন্থির ত্রুটির দিকে পরিচালিত করে। তবে এটিও সত্যি যে অত্যাধিক তামার ফলে থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যকারিতা রোগীদের মধ্যে হাইপোথাইরয়েডিজম (Hypothyroidism) সৃষ্টি করে।

৪. রক্তাল্পতা প্রতিরোধ । Prevention of Anaemia:

তামা হিমোগ্লোবিন (Hemoglobin) তৈরি করে খাবারের ভাঙ্গনে সহায়তা করে। পাশাপাশি এটি শরীরকে আয়রন (Iron) শোষণে সহায়তা করে।  যার ঘাটতি অ্যানিমিয়া (Anemia) সৃষ্টি করে। অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা বাদেও মানবদেহে কপারের ঘাটতি হলে বিরল হেমাটোলজিকাল ডিসঅর্ডার (Hematological Disorder) হতে পারে।

৫. আর্থ্রাইটিস এবং স্ফীত জয়েন্টগুলি নিরাময় । Cure Arthritis and Swollen Joints:

তামা বা কপারে প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা আর্থ্রাইটিস (Arthritis) এবং রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসে (Rheumatoid Arthritis) আক্রান্ত রোগীদের জন্য দারুণ উপশম দেয়। উপরন্তু, তামা হাড়-মজবুত করতে পারে। ফলে তামার পাত্রে জল খাওয়া আর্থ্রাইটিসে ভুক্তভুগি রোগীদের জন্য অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর।

৬.  সংক্রমণ প্রতিরোধ । Prevention of Infection:

তামা একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক। ফলে তামার বোতলে ৪ ঘন্টার বেশি সময় ধরে রাখা জল জীবাণু মুক্ত হয়ে যায়। এছাড়াও তামা অন্যান্য সাধারণ জলবাহিত রোগ-সৃষ্টিকারী জীবাণুগুলি, যেমন ই-কলি (E.Coli), এস ওরিওস (S. aureus), কলেরা ব্যাসিলাস (Cholera Bacillus) প্রতিরোধ করে।

৭. হজমে সহায়তা করে । Aids in Digestion:

প্রাচীন রোমে পেটের সমস্যা হলে বা পেটের জীবাণু মারার জন্য তামার বোতলে বা পাত্রে জল খাওয়ার প্রচলন ছিল। আয়ুর্বেদের গ্রন্থগুলি অনুযায়ী, তামার পাত্রে রাখা জল পেটকে ডিটক্সিফাই (Detoxifies) করে এবং পরিষ্কার করে। তামায় এমন বৈশিষ্ট রয়েছে যা পেরিস্টালসিসকে (Peristalsis) উদ্দীপিত করে অর্থাৎ পাকস্থলীর আস্তরণের ছন্দবদ্ধ প্রসারণ এবং সংকোচন করে, পেটের আস্তরণের প্রদাহ কমায় এবং ভাল হজম করতে সহায়তা করে। এছাড়াও তামা পেটের আলসার (Ulcers), বদহজম এবং পাকস্থলীর সংক্রমণ জাতীয় সমস্যা দূর করতে চমৎকার কাজ করে।

৮.  কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেম সাহায্য করে । Helps the Cardiovascular System:

তামা হার্টে রক্ত ​​প্রবাহ বাড়াতে রক্তনালীগুলিকে প্রসারিত করে। গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, কপারের ঘাটতির ফলে হৃদপিণ্ডের পেশীর কর্মহীনতা হতে পারে, যার ফলে রক্তের অপর্যাপ্ত পাম্পিং, শরীরে রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত হওয়া এবং মানসিক চাপের মতো নানান সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

৯. বার্ধক্য নিয়ন্ত্রণ করে । Controls Aging:

তামা শুধুমাত্র একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট নয়, এটি কোষের পুনর্জন্মকেও সহায়তা করে, ত্বকে মুক্ত এজেন্টগুলির ক্ষতিকারক প্রভাবকে প্রতিরোধ  করে এবং বয়সের সাথে আসা বলি এবং সূক্ষ্ম রেখার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। আগের মিশরে বার্ধক্য নিয়ন্ত্রণ করার জন্য তামার পাত্রে নানান প্রসাধনী ব্যবহার করা হতো।

১০.  স্ট্রোক প্রতিরোধ করে । Prevents Stroke:

কপারে খিঁচুনি প্রতিরোধক বৈশিষ্ট্যও রয়েছে। কপারে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য স্ট্রোকের সম্ভাবনা কমায়। অর্থাৎ যদি কোনো ব্যক্তির শরীরে তামার অভাব স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। ফলে তামার পাত্রে জল রেখে খাওয়া খুব স্ট্রোকের সম্ভাবনা কমাতে খুবই কার্যকর।

১১. ওজন হ্রাস । Weight Loss:

তামা শরীরের চর্বি গলিয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে। কোনো ব্যক্তি যখন বিশ্রাম নেন তখনও তামা শরীরকে চর্বিকে জ্বলন্ত অবস্থায় রাখে। তবে এর মানে এই নয় যে খুব বেশি তামা বেশি চর্বি পোড়াবে। অত্যধিক তামা মানবদেহকে বিষিয়ে তুলতে পারে।

১২.  ক্ষত দ্রুত নিরাময়ে সাহায্য করে । Helps in Faster Healing of Wounds:

কপার অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি (Anti-Inflammatory), অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিভাইরাল (Antiviral) বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন উপাদান। তামা ত্বকের পুনর্জন্মকে সহায়তা করার সঙ্গে শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে ও  শরীরকে দ্রুত ক্ষত নিরাময়ে সহায়তা করে।

১৩.  শরীরের তাপমাত্রা কমায় । Lowers Body Temperature:

আমরা যে খাবার খাই তা যখন আমাদের পাকস্থলীতে যায়, তখন তা অ্যাসিডিক (Acidic) হয়ে যায়, শরীরে টক্সিন (Toxin) ত্যাগ করে এবং এর ফলে শরীর গরম হয়ে যায়। তবে আপনি যখন তামার বোতল থেকে জল পান করবেন, তখন কয়েক ঘন্টার জন্য জলে ক্ষার মিশ্রিত হয়। এই ক্ষারীয় জল অ্যাসিডের ভারসাম্য বজায় রাখতে, সিস্টেমকে ডিটক্সিফাই (Detoxify) করতে এবং শরীরের তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করে।

১৪. গলা কনজেশন থেকে মুক্তি দেয় । Gives Relief from Throat Congestion : 

প্রাচীনকালে মানুষ প্রতিদিন সকালে তামার বোতলে বা পাত্রে জমা জল দিয়ে গার্গল (Gargle) করত। কারণ তামাতে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল (Antimicrobial) বৈশিষ্ট্য রয়েছে। বিশ্বাস করা হয় যে, যখন তামা মিশ্রিত জল পান করা হয় তখন তা গলা দিয়ে যাওয়ার সময় গলার সমস্যা দূর করে।

তামার পাত্রের সঠিক ব্যবহার । Proper Use of Copper Utensils : 

তামার বোতল বা পাত্র বহু যুগ আগের থেকেই ব্যবহার করে আসছে মানবজাতি। পূর্বে তামার পাত্রে জল রেখে খাওয়ার সম্পূর্ণ গুণাগুণ সম্পর্কে জ্ঞান, ধারণা না থাকলেও, বর্তমানে প্রায় সবাই এই বিষয়ে অবগত। ফলে দিন দিন বাড়ছে তামার বোতলের ব্যবহার। তবে চিকিৎসক, পুষ্টি বিশেষজ্ঞের মতে, তামার পাত্রে রাখা জল তখনই শরীরের জন্য উপকারী হবে যখন সঠিক পদ্ধতিতে সেটি ব্যবহার করা হবে। অনেকেই মনে করেন,তামার বোতলকে আর পাঁচটা সাধারণ বোতলের মতো ব্যবহার করলেই হয়। তা কিন্তু নয়। তামার বোতলে জল রেখে খাওয়ার যেমন স্বাস্থ্য উপকারিতা বেশি তেমনই এই উপাদান দিয়ে তৈরী বোতলের ব্যবহারও করতে হবে বিশেষ কিছু জিনিস মাথায় রেখে। ফলে দেখে নিন আপনি যদি তামার বোতল ব্যবহার করে থাকেন বা তামার বোতল ব্যবহার করার কথা ভাবেন তাহলে স্বাস্থ্যউপকারিতা পেতে কী কী বিষয় মেনে চলতে হবে।

১. সারাদিন তামার বোতল থেকে জল খাবেন না ।  Do Not Drink Water From Copper Bottles Throughout The Day :

তামার বোতলে জল খাওয়া ভালো। কিন্তু সারাদিন ধরে তামার বোতল থেকে জল খেলে উল্টে হতে পারে ক্ষতি। আপনি যদি সারাদিন তামার বোতল বা পাত্রে জল পান করেন, তবে আপনার শরীরে তামার পরিমাণ অতিরিক্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর শরীরে তামার পি[পরিমান বৃদ্ধি পেলে এর প্রভাব পড়বে লিভার এবং কিডনিতে। বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা, পেটে ব্যথার মতো লিভার ও কিডনিতেও সমস্যা দেখা দিতে পারে।

২. নিয়মিত তামার বোতল, বাসন পরিষ্কার করবেন না । Do not Clean Copper Bottles and Utensils Regularly : 

আমরা প্রায় প্রতিনিয়তই জলের বোতল পরিষ্কার করে থাকি। তবে তামার ক্ষেত্রে কিন্তু এই অভ্যাস ভালো নয়। তামার বোতল, থালা, বাটি অর্থাৎ তামার তৈরী যেকোনো আসবাবই রোজ পরিষ্কার করা উচিত নয়। প্রতিদিন তামার বাসন ঘষা-মাজা করলে তামার উপকারী গুণ ক্ষমতা কমতে শুরু করে। তাই প্রতিবার ব্যবহারের পর পরিষ্কার জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিলেই ভালো। তবে মাসে একবার লবণ ও লেবু দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করতে পারেন।

৩.  তামার বোতলে বা পাত্রে লেবু ও মধু মিশিয়ে জল পান করবেন না  ।  Do not Drink Water mixed With Lemon and Honey in a Copper Bottle or Container :

প্রায়শই,আমরা সকালে খালি পেটে লেবু ও মধু মিশিয়ে জল খাই। এটি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তবে তামার পাত্রে কিন্তু ভুলেও লেবু ও মধু মিশিয়ে জল খাবেন না!  তামার পাত্রে যদি আপনি এই জল পান করেন তাহলে তা বিষের মতো কাজ করবে। কারণ লেবুতে যে অ্যাসিডিক শক্তি রয়েছে তা কপার অর্থাৎ তামার সঙ্গে মিশে শরীরে অ্যাসিড তৈরি করে। এর ফলে পেটে ব্যথা,গ্যাস এবং বমি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ ক্যারোলিনা (University of South Carolina) দ্বারা পরিচালিত একটি গবেষণা অনুযায়ী, কপারের মধ্যে ৯৭ শতাংশ জীবাণু মেরে দেওয়া ক্ষমতা রয়েছে। পাশাপাশি, মানবদেহে চর্বি গোলানো থেকে শুরু করে একাধিক রোগ প্রতিরোধ করার বৈশিষ্ট্য রয়েছে তামায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, তামার বোতলে জল রেখে খেলে তামার গুনাগুন জলে আসে, যা আমাদের শরীরে দিয়ে একাধিক উপকার করে। ফলে তামার বোতলে জল খাওয়া সকলের জন্যই খুব স্বাস্থ্যকর। তবে অবশ্যই এই সঠিক ব্যবহার সম্পর্কেও অবগত থাকা দরকার ।