Makar Sankranti 2025 | জানেন কেন মকর সংক্রান্তিতে ওড়ানো হয় ঘুড়ি? পোঙ্গাল-লোহড়িই বা কী? জানুন মকর সংক্রান্তির ইতিকথা

Tuesday, January 14 2025, 11:59 am
highlightKey Highlights

আজ ১৪ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তি (Makar Sankranti)। শাস্ত্র মতে ধনু রাশি থেকে মকর রাশিতে সূর্যের প্রবেশ হয় মকর সংক্রান্তিতে। এই পূণ্য তিথিতে সূর্যের উত্তরায়ণ শুরু হয়। এর ফলে, দিনগুলি দীর্ঘ এবং রাতগুলি ছোট হতে শুরু করবে। এই বছর অর্থাৎ মকর সংক্রান্তি ২০২৫এ ১২ বছর পর, সূর্য ও বৃহস্পতির একটি বিরল নবপঞ্চম যোগ তৈরী হচ্ছে। এই শুভ উৎসবের দিন জানুন মকর সংক্রান্তির ইতিকথা। সঙ্গে জানুন কেন এদিন ওড়ানো হয় ঘুড়ি? দেশের কোথায় কোথায় কীভাবে পালন করা হয় এই উৎসব?


আজ ১৪ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তি (Makar Sankranti)। শাস্ত্র মতে ধনু রাশি থেকে মকর রাশিতে সূর্যের প্রবেশ হয় মকর সংক্রান্তিতে। এই পূণ্য তিথিতে সূর্যের উত্তরায়ণ শুরু হয়। এর ফলে, দিনগুলি দীর্ঘ এবং রাতগুলি ছোট হতে শুরু করবে। এই বছর অর্থাৎ মকর সংক্রান্তি ২০২৫এ ১২ বছর পর, সূর্য ও বৃহস্পতির একটি বিরল নবপঞ্চম যোগ তৈরী হচ্ছে। এই শুভ উৎসবের দিন জানুন মকর সংক্রান্তির ইতিকথা। সঙ্গে জানুন কেন এদিন ওড়ানো হয় ঘুড়ি? দেশের কোথায় কোথায় কীভাবে পালন করা হয় এই উৎসব?

মকর সংক্রান্তির ইতিকথা :

যখন সূর্য দেবতা উত্তরায়ণে থাকেন তখন মকর সংক্রান্তি উৎসব (Makar Sankranti Festival) প্রতি বছর জানুয়ারিতে উদযাপিত হয়। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, এই দিনে সূর্য দেব মকর রাশিতে প্রবেশ করেন। পাশাপাশি, মকর সংক্রান্তি থেকে ঋতু পরিবর্তন শুরু হয়। হিন্দু ধর্মে মকর সংক্রান্তি (Makar Sankranti)র বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। সারা বছরে মোট ১২ সংক্রান্তি হয়। সূর্য যখন মকর রাশিতে প্রবেশ করে তখন তাকে বলা হয় মকর সংক্রান্তি। কথিত আছে, মকর সংক্রান্তিতে সূর্যদেব ছেলে শনির সঙ্গে দেখা করতে যান। জ্যোতিষশাস্ত্রে শনি দেব হলেন মকর রাশির অধিপতি। সূর্য ও শনিদেবের মধ্যে শত্রুতা রয়েছে, কিন্তু সূর্যদেব নিজে শনিদেবের সঙ্গে দেখা করতে যান। তাই এই উত্‍সবটি পিতা ও পুত্রের মিলন উত্‍সব হিসাবে পালিত হয়। এছাড়া জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, মকর সংক্রান্তিতে সূর্য মকর রাশিতে প্রবেশ করলে, এই দিন থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন শুরু হয়। মকর সংক্রান্তির পর দিন বড় হতে থাকে এবং রাত ছোট হতে থাকে। মকর সংক্রান্তির মাধ্যমে দেবতাদের রাত শেষ হয় এবং দিন শুরু হয়। মকর সংক্রান্তিতে গঙ্গাসাগরে স্নানেরও বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে।

Trending Updates

গোটা ভারতে ভিন্নভাবে পালিত হয় মকর সংক্রান্তি :

মকর সংক্রান্তি (Makar Sankranti) গোটা ভারতের ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় ভিন্ন ভিন্নভাবে পালিত হয়। এমনকি ভারতের বিভিন্ন দেশে মকর সংক্রান্তি বিভিন্ন নামে পরিচিত। পশ্চিমবঙ্গে এই দিনটি পৌষ পার্বণ হিসেবে পালিত হয়। গুজরাটে উত্তরায়ণ,  দক্ষিণ ভারতে পোঙ্গাল, পঞ্জাবে লোহড়ি নামে পালিত হয় মকর সংক্রান্তি। এই উৎসবে ভারতের ভিন্ন প্রান্তে ভিন্ন ধরনের খাবার জনপ্রিয়। যেমন -

পশ্চিমবঙ্গ: পশ্চিমবঙ্গে মকর সংক্রান্তি উৎসব (Makar Sankranti Festival) পৌষ সংক্রান্তি নামে পরিচিত। এই সময়কার অন্যতম শ্রেষ্ঠ খাবার হল নলেন গুড়ের পায়েস এবং নলেন গুড়ের রসগোল্লা, পাটিসাপটাও।

পঞ্জাব: এই সময় পঞ্জাবে পালিত হয় লোহরি। এই সময় সেখানে বানানো হয় আখের রস দিয়ে পায়েস।

মহারাষ্ট্র: এই সময় মহারাষ্ট্রে বানানো হয় ভোগিচি ভাজি। এতে ব্যবহৃত হয় শীতকালীন সবজি। সঙ্গে থাকে নারকেল, বাদাম এবং তিল, গুড়, তেঁতুল। 

বিহার: বিহারে এই সময় খিচুড়ি বানিয়ে খাওয়া হয়। বাদ যায় না দই চূড়া। অর্থাৎ দইয়ের সঙ্গে চিড়ে খাওয়া হয়।

তামিলনাড়ুর : পোঙ্গল, মূলত তামিলনাড়ুর ফসল কাটার উৎসব। নতুন ফসল ঘরে তোলার উৎসব। এই উৎসবের প্রথম দিনটি পালিত হয় ভোগি পোঙ্গল নামে। এদিন পূজিত হয় ইন্দ্রদেব। দ্বিতীয় দিনে, মাটির বাসনে নতুন চালের বিশেষ রান্না হয়। চাল-দুধ-গুড় দিয়ে প্রস্তুত হয় এই বিশেষ খাবার। তৃতীয় দিন, মাট্টু পোঙ্গল। এদিন গবাদি পশুকে স্নান করিয়ে, সুসজ্জিত করা হয়। চতুর্থ দিন পালিত হয় কানুম পোঙ্গল হিসেবে। 

মকর সংক্রান্তিতে কেন ওড়ানো হয় ঘুড়ি?

১৪ জানুয়ারি পালিত হচ্ছে মকর সংক্রান্তি ২০২৫ (Makar Sankranti 2025)। প্রত্যেক বছরের মতো এবছরও পিঠেপুলি বানিয়ে, সূর্য দেবতার পুজো করে এবং গঙ্গা স্নানের মাধ্যমে মকর সংক্রান্তি পালন করছেন ভারতীয়রা।  মকর সংক্রান্তির দিনে পুরো আকাশ রঙিন ঘুড়িতে ভরে যায়। এর নেপথ্যে রয়েছে ধর্মীয় বিশ্বাস! রামায়ণ অনুসারে, মকর সংক্রান্তির দিন ভগবান শ্রী রাম প্রথম ঘুড়ি উড়িয়েছিলেন। কথিত আছে যে শ্রী রামের ঘুড়ি এত উঁচুতে উড়েছিল যে তা ইন্দ্রলোকে পৌঁছে গিয়েছিল। সেই থেকে মকর সংক্রান্তির দিনে ঘুড়ি ওড়ানোর প্রথা শুরু হয়।

মকর সংক্রান্তিতে ঘুড়ি ওড়ানোর পেছনে কিছু বৈজ্ঞানিক কারণও রয়েছে। প্রথম কারণ হল, মকর সংক্রান্তির উৎসবটি  শীতকালে পালন করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে সকালে ছাদে ঘুড়ি ওড়ানো শরীরে সূর্যের আলো জোগায়, যা ভিটামিন ডি'র ঘাটতি মেটাতে সাহায্য করে। দ্বিতীয় কারণ হল ঘুড়ি ওড়ানোর সময় শারীরিক পরিশ্রম হয়, যার ফলে শরীর সক্রিয় থাকে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী হয়।




পিডিএফ ডাউনলোড | Print or Download PDF File