আন্তর্জাতিক

নতুন করে ফের অতিমারীর আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে চিনে! করোনা সংক্রমণের মাত্রা দৈনিক ৪০,০০০ ছাড়াল

নতুন করে ফের অতিমারীর আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে চিনে! করোনা সংক্রমণের মাত্রা দৈনিক ৪০,০০০ ছাড়াল
Key Highlights

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা সংক্রমণ ৪০,০০০ হাজারের বেশি ছাড়িয়েছে বলে সোমবার চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে।

সোমবার প্রকাশ হওয়া এক তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে,নতুন করে চার হাজার জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে বেজিংয়ে। বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যে আশঙ্কা করতে শুরু করেছেন যে নতুন করে করোনা ঢেউ আবারও চিনে আছড়ে পড়ছে। ফের করোনার কঠোর বিধিনিষেধ এবং লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে চিনের বিভিন্ন জায়গায়।

ফের করোনা ঢেউয়ের আশঙ্কা চিনে, জানুন আক্রান্তের সংখ্যা কত ছাড়িয়েছে এবং কী কী সতর্কতা জারি করা হয়েছে

চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে যে, ২৮শে নভেম্বরের কোভিড সংক্রমনের রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে নতুন করে যে সকল আক্রান্তদের হদিশ মিলেছে তাদের মধ্যে প্রায় ৩৯,৪৫২ জনের উপসর্গবিহীন, অর্থাৎ তাদের কারোর শরীরেই কোভিডের কোনো উপসর্গ পাওয়া যায়নি। নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি হওয়ায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে চিনের কঠোর করোনা বিধির বিরোধিতা করে স্লোগান উঠতে থাকে। গত শনিবার সন্ধ্যায় সাংহাউতে নতুন করে সাধারণ মানুষ মোমবাতি হাতে নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। ধীরে ধীরে সেই বিক্ষোভ ভয়ঙ্কর আকার নেয় এবং চিনের বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে পরে।

চিনের উহান প্রদেশ থেকেই প্রথম করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়। এখন থেকেই সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে করোনার প্রকোপ। অতিমারীর এই ভয়ঙ্কর সময় কাটিয়ে ধীরে ধীরে গোটা বিশ্ববাসী আবারও স্বাভাবিক জীবনের ছন্দে ফিরলেও, চিন এখনও কোভিডের হাত থেকে রেহাই পায়নি। এখনও করোনা বিধি কঠোর ভাবে মেনে চলতে হয় চিনের বাসিন্দাদের। করোনা সংক্রমণের মাত্রা একটু বৃদ্ধি পেলেই চিনে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এইভাবে চলতে থাকায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে চিনের বাসিন্দারা। উহান প্রদেশের বাসিন্দারাও তাই চিনের কঠোর করোনা বিধির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেন।

দীর্ঘ লকডাউন ও করোনা পরীক্ষার বিরুদ্ধে চিনের সাধারণ মানুষ এই বিক্ষোভ শুরু করেন। তবে, জানা গিয়েছে সাধারণ মানুষের এই বিদ্রোহ কঠোর হাতে দমন করবে প্রশাসন। বিক্ষোভ করা সত্ত্বেও তাদের দাবি মানা হবে না এমনকি জারি থাকা কোভিড নীতি থেকেও কোনও ভাবেই চিনের প্রশাসন সরে আসবে না বলে সরাসরি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই চিনা পুলিশ বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে। তবে আটকের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাদের পুনরায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। তবে আটক অবস্থায় চিনা পুলিশ ওই সকল বিক্ষোভকারীদের মারধর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।