অনুষ্টুুপের শতরানের উপর নির্ভর করেই পুদুচেরিকে পরাজিত করে জয়ের মুকুট ছিনিয়ে নিল বাংলা
বিজয় হাজারে ট্রফি ২০২২-এর ম্যাচে পুদুচেরিকে ১১ ওভার বাকি থাকতে ৮ উইকেটে পরাজিত করল বাংলা।
বৃহস্পতিবার রাঁচিতে টসে জেতার পর বাংলার অধিনায়ক অভিমূন্য ঈশ্বরণ পুদুচেরিকে ব্যাটিংয়ে পাঠান। পুরো ৫০ ওভার বাংলার বোলারদের সামনে টিকে থাকতে পারেনি পুদুচেরি। ৪৩.২ ওভারে পুদুচেরির ইনিংস শেষ হয়ে যায় ১৯৭/১০ রানে।
অপরাজিত শতরান করে বাংলার এই জয়ের নায়ক হলেন অনুষ্টুপ মজুমদার, পুদুচেরির ১৯৭/১০ রানের জবাবে বাংলা তুলল ৩৯ ওভারে ২০২/২।
দলটির অধিনায়ক রামাচন্দ্রন রঘুপতি ওপেন করতে নেমে প্রথম বলেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন। অপর ওপেনার জয় পাণ্ডে করেন ২৬ রান। মিডল অর্ডারে পরমেশ্বরণ শিবরামন (৮) এবং সাগর উদেসি (৪)-ও রান পাননি। পুদুচেরির হয়ে পাঁচ নম্বরে ব্যাটিং করতে নামা অরুণ কার্তিক এবং ছয় নম্বরে নামা পারস ডোগরা দলটিকে ভদ্রস্ত রানে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেন। অরুণ করেন ৩৪ রান এবং পারসের ব্যাট থেকে আসে ৬৪ রান। লোয়ার অর্ডারে গুরুত্বপূর্ণ ২১ রান করেন ভিকনেশ্বরণ মারিমুথু। বাংলার হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন গীত পুরি এবং শাহবাজ আহমেদ। দুইটি করে উইকেট নেন মুরকেশ কুমার এবং প্রদীপ্ত প্রামানিক।
১৯৮ রান তাড়া করতে নেমে একেবারেই সমস্যায় পড়তে হয়নি বাংলাকে। মাত্র ২টি উইকেট এই রান তোলার পথে হারায় বাংলা। ৮ রানে আউট হন অধিনায়ক অভিমূন্য ঈশ্বরন এবং অর্ধশতরানকারী সুদীপ কুমার ঘড়ামি আউট হন ৫৬ রানে। বাংলার রান যখন ১৮ তখন অভিমূণ্য আউট হলেও দলের খেলায় তার কোনও ছাপ ফেলতে দেননি সুদীপ এবং অনুষ্টপ। এই দুই ব্যাটর ধীরে সুস্থে লক্ষ্যের দিকে নিয়ে যাচ্ছেলেন বাংলাকে। রান তাড়া করার পথে সুদীপ ব্যাট থেকে আসে ৫৬ রান। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল তিনটি চার দিয়ে। ১২৫ রানে দ্বিতীয় উইকেটটি হারায় বাংলা। ৫৬ রানে আউট হন সুদীপ। ক্রিজে আসেন মনোজ তিওয়ারি। মনোজ এবং অনুষ্টুপ শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন। বাংলার এই জয়ের অন্যতম নায়ক অনুষ্টুপ করে অপরাজিত ১০০ রান। ১৪টি চার এবং ১টি ছয় দিয়ে ১০৬ বলে ১০০ রানের ইনিংস সাজিয়েছিলেন অনুষ্টুপ। মনোজ অপরাজিত ছিলেন ৩২ রানে, তাঁর ইনিংসে ছিল ৪টি চার এবং ১টি ছয়।