চাঁদের বুকে রহস্যময় "কুঁড়েঘর"! খোঁজ মিলল এক অভিনব সৃষ্টির।
কি এই ‘রহস্যময় কুঁড়েঘর'? পরিত্যক্ত মহাকাশযান না ভিনগ্রহীদের আস্তানা না অন্যকিছু? কি বলছেন বিজ্ঞানীরা?
সম্প্রতি স্পেস.কম-এ প্রকাশিত এক খবর অনুযায়ী, চিনা মহাকাশযান ইউতু-২ রোভার-এর নজরে এসেছে চাঁদের উত্তর আকাশের ধার ঘেঁষে রয়েছে একটি ঘনক আকারের বস্তু। সেটি দেখতে অনেকটা কুঁড়েঘরের মতো। প্রাথমিকভাবে একেই ‘রহস্যময় কুঁড়েঘর’ (mystery hut) বলে অভিহিত করছেন চিনা বিজ্ঞানীরা। যে ইউতু-২ রোভার একে চিহ্নিত করেছে, সেটি তখন কাজ করছিল চন্দ্রপৃষ্ঠের ভন কারম্যান গহ্বরে এবং সেই স্থান থেকে ৮০ মিটার দূরেই ছিল ‘মিস্ট্রি হাট’।
পূর্বসূরিদের কোনো পরিত্যক্ত মহাকাশযান নাকি ভিনগ্রহীদের তৈরি করা আস্তানা? চাঁদের (Moon) প্রত্যন্ত কোণে, ঘনক-সম ঐ বস্তুটি কী, যার অস্তিত্ব ধরা পড়েছে চিনা রোভারের তোলা ছবিতে? বহুশ্রুত এবং চর্চিত, ‘রহস্যময় কুঁড়েঘর’ নয় তো? আপাতত এই প্রশ্নেরই উত্তর হাতড়ে বেড়াচ্ছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। ছবি প্রকাশ পেতেই উত্তেজিত নেটিজেনরা।
গত ২০১৮ সালের ৮ ডিসেম্বর চিনা মহাকাশযান ইউতু-২ চাঁদে পাড়ি দিয়েছিল, বর্তমানে ইউতু-২ সেখানেই রয়েছে। তবে রহস্যময় কুঁড়েঘরটির হদিশ মিলেছিল চলতি বছরের নভেম্বরে এবং ছবি-সহ খবর প্রকাশ্যে এসেছে সম্প্রতি। চায়না ন্যাশনাল স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের আওতাধীন চ্যানেল ‘আওয়ার স্পেস’-এ ইউতু-২ নিয়মিত তাঁর চন্দ্রান্বেষণের ডায়েরি প্রকাশ করে।
উত্তরের আকাশের দিকে হঠাৎ চোখ পড়ল। আকাশের সীমারেখা ঘেঁষে কী যেন একটা রয়েছে ওখানে! আগে দেখা যায়নি। এখন যাচ্ছে। দেখতে ঠিক রহস্যময় একটা কুঁড়েঘরের মতো। ঠিক পাশেই রয়েছে একটা গহ্বর। কী ওটা? ক্র্যাশল্যান্ডিং করার পর ভিনগ্রহীরা চাঁদে যে ঘাঁটি গড়েছে, সেটা? নাকি, চাঁদে এর আগে যে সব মহাকাশচারীরা গিয়েছেন, তাঁদের ফেলে যাওয়া কোনও মহাকাশযান?
প্রসঙ্গত, শুধু চীন নয়, এই সকল প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে গোটা বিশ্বজুড়ে সবাই।
- Related topics -
- আবহাওয়া
- চন্দ্র
- চীন
- আন্তর্জাতিক গবেষণাপত্র