‘বিদ্রোহী কবি’ ~ কাজী নজরুল ইসলাম | Biography of Kazi Nazrul Islam

Friday, May 13 2022, 11:41 am
highlightKey Highlights

কাজী নজরুল ইসলাম বিংশ শতাব্দীর প্রধান বাঙালি কবি ও সঙ্গীতকার। তার মাত্র ২৩ বৎসরের সাহিত্যিক জীবনে সৃষ্টির যে প্রাচুর্য তা তুলনারহিত। সাহিত্যের নানা শাখায় বিচরণ করলেও তার প্রধান পরিচয় তিনি কবি।


ভূমিকা | Introduction of Kazi Nazrul Islam

যে কবির কাব্যে  শোনা গিয়েছিল মৃত্যুঞ্জয়ী চির যৌবনের জয়ধ্বনি ,শোনা গিয়েছিল অগ্নিবীণার সুর ঝংকার, যিনি ধীর স্থির অচঞ্চল বাংলা কাব্যে বয়ে এনেছিলেন দুর্বার কালবৈশাখীর ঝড় সেই বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্যের এক উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক। তিনি তাঁর রচনার মধ্য দিয়ে মানুষের উপর হওয়া মানুষের অত্যাচার ,সামাজিক অনাচার ও শোষণের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। তিনি সাম্যের কবি; চির যৌবনের কবি ; 'কাজী নজরুল ইসলাম' , উদাত্ত কণ্ঠে যিনি ঘোষণা করেছিলেন ,"বল বীর- বল উন্নত মম শির।!

বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম। ১৮১৮ খ্রীস্টাব্দের ২৫ শে মে , একটি দরিদ্র জোলা পরিবারে তাঁর জন্ম। পিতা কাজী ফকির আহমদ ও মাতা জাহেদা খাতুন নজরুলের বাল্য নাম রেখেছিলেন 'দুখু মিঞা। শৈশবে পিতৃহীন হওয়ার পর কবি -কিশোর নিদারুণ দারিদ্রের মধ্যে পড়েন এবং অভিভাবকহীনতার জন্য চরম উচ্ছৃঙ্খলাতার মধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন।

কাজী নজরুল ইসলাম
কাজী নজরুল ইসলাম

প্রচণ্ড কষ্টের মধ্যে তাঁকে বেঁচে থাকতে হয়েছিল ;চরম বিপর্যয়ের মধ্যেও তিনি মক্তবে,পাঠশালায়, হাইস্কুলে পড়াশোনা চালিয়ে গেছিলেন; কখনো উদ্যম হারিয়ে যায় নি।  এসময় নজরুল, মক্তব থেকে নিম্ন মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করেন এবং সেই মক্তবেই শিক্ষকতার কাজে নিযুক্ত হন । তারই সাথে সাথে হাজী পালোয়ানের কবরের সেবক এবং মসজিদের মুয়াযযিন হিসেবে জীবিকার   সূত্রপাত ঘটান । এভাবেই অপরিণত বয়সেই  তাঁর ইসলামিক মৌলিক আচার-অনুষ্ঠানের সাথে  ঘনিষ্ঠভাবে পরিচতি হয় যা তাঁর ভবিষ্যতের   সাহিত্যকর্ম কে  ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছিল। বাংলা সাহিত্যে ইসলামী চেতনা-চর্চার সূত্রপাত তিনিই করেছিলেন বলে জানা যায়।  চরম অর্থসংকটে থাকার কারণে  সংসার চালানোর জন্য বাধ্য  হয়ে তিনি কখনো যোগ দিয়েছিলেন লেটো গানের দলে আবার কখনো বা তিনি মাংসের দোকানে চাকরিও নিয়েছিলেন। এই সময়েই লেটো গানের দলে গীত রচনা ও সুর সংযোজনা করার প্রয়াসের মধ্যে নজরুল- প্রতিভার প্রথম  বিকাশ পরিলক্ষিত হয়। 

শিক্ষাজীবন ও  কর্মজীবন | Education and career of Kazi Nazrul Islam

ছাত্রজীবনের নতুন অধ্যায়ে  নজরুলের প্রথম স্কুল ছিল রাণীগঞ্জের সিয়ারসোল রাজ স্কুল।  পরে তিনি ভর্তি হন মাথরুন উচ্চ ইংরেজি স্কুলে যা নবীনচন্দ্র ইনস্টিটিউশন নামে সর্বজন পরিচিত।  আর্থিক সমস্যা বেশ কিছু দিন তাঁর শিক্ষা জগতে বাধা প্রাপ্তি ঘটিয়েছিল  । ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত পড়ার পর তাঁকে আবার কাজের জীবনে প্রত্যাবর্তন করতে হয় । প্রথমে বাসুদেবের কবিদলে, পরে একজন খ্রিস্টান রেলওয়ে গার্ডের খানসামা হয়ে এবং শেষে আসানসোলের চা-রুটির দোকানে রুটি তৈরির কাজও তাঁকে করতে হয়েছিল।  ১৯১৭ সালের শেষভাগে মাধ্যমিকের প্রিটেস্ট পরীক্ষা না দিয়ে তিনি সৈনিক হিসেবে  সেনাবাহিনীতে যোগদান করেছিলেন। তাই বাল্যজীবন থেকেই বেশ কষ্টের মধ্যে থেকে নজরুল ইসলামকে অতিবাহিত করতে হয়েছিল।

সৈনিক জীবন ও সাহিত্য প্রতিভার উন্মেষ | Military life and literary genius unmute of Kazi Nazrul Islam

১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দের শেষভাগে নজরুল সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন।  প্রশিক্ষণ প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে তিনি নওশেরায় যান এবং প্রশিক্ষণ শেষে করাচি সেনানিবাসে একজন সৈনিক হিসেবে  জীবন অতিবাহিত করেন। ১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দের শেষভাগ থেকে ১৯২০ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ-এপ্রিল পর্যন্ত, তাঁর সৈনিক জীবনের প্রায় আড়াই বছরের সময়কালে তিনি ৪৯ বেঙ্গল রেজিমেন্টের সাধারণ সৈনিক কর্পোরাল থেকে কোয়ার্টার মাস্টার হাবিলদার হিসেবে দায়িত্ব সামলেছিলেন। রেজিমেন্টে কর্মরত অবস্থাতেই তিনি ফার্সি ভাষা শিখছিলেন; দেশী-বিদেশী নানা ধরনের বাদ্যযন্ত্র সহযোগে সঙ্গীতের চর্চা অব্যাহত রেখেছিলেন  তিনি আর তার পাশাপাশি গদ্য-পদ্যের চর্চাও চালিয়ে গিয়েছিলেন। কাজী নজরুল ইসলাম করাচি সেনানিবাসে কর্মরত অবস্থায় বহু রচনা সম্পাদন করেছিলেন যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ,বাউণ্ডুলের আত্মকাহিনী (প্রথম গদ্য রচনা), মুক্তি (প্রথম প্রকাশিত কবিতা)।  তাঁর রচিত গল্পগুলির  মধ্যে অন্যতম হল, হেনা, ব্যথার দান, মেহের নেগার, ঘুমের ঘোরে, কবিতা সমাধি ইত্যাদি। নজরুলের সাহিত্য চর্চার হাতেখড়ি এই করাচি সেনানিবাসেই। সেই সময়ে তিনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেন।১৯২০ খ্রিষ্টাব্দে যুদ্ধের অবসান ঘটলে ছাঁটাইয়ের খাতায় নাম উঠেছিল নজরুলের। মহাযুদ্ধের স্মৃতি এবং পরাধীনতার বিরুদ্ধে বিদ্রোহের দাবাগ্নি জ্বালিয়ে বাংলাদেশের মাটিতে ফিরে এসেছিলেন বাংলার অখ্যাত হাবিলদার কবি ।

বিদ্রোহী যৌবনের কবি | Poet of rebellious youth

নজরুল চিরযৌবনের কবি। প্রথম মহাযুদ্ধের পর অনিবার্য আশাভঙ্গ হেতু সেই যৌবন, বিদ্রোহ ধর্মী হয়ে ওঠে। সর্বপ্রকার শোষণ -শাসন -শৃঙ্খলা সবলে ভাঙবার দুর্জয় সাধনায় তিনি ছিলেন ব্রতচারী।প্রথম মহাযুদ্ধ থেকে প্রত্যাগত নজরুলের কাব্যে শোনা গিয়েছিল সেই বিদ্রোহী যৌবনের নির্বাধ পদধ্বনি। রবীন্দ্রনাথ ও বিস্মিত  স্নেহে বিদ্রোহী কবি নজরুলকে স্বীকার করে নিয়েছিলেন।

বিদ্রোহী কবি | The rebellious poet - Kazi Nazrul Islam

বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন  করে নজরুল দেখেন যে দেশব্যাপী পরাধীনতার করাল অন্ধকারে ধনী  শ্রেণী ও সাম্রাজ্যবাদীদের নির্লজ্জের শোষণে সমগ্র সমাজে রচিত হয়েছে এক বিশাল শ্মশানভূমি। তিনি উদ্ধত কাপালিকের মতো উচ্চারণ করেছিলেন তাঁর সেই চির-পরিচিত ভৈরবী মন্ত্রটি ; "কারার ওই লৌহ কপাট; ভেঙে ফেল কর রে লোপাট রক্ত জমাট শিকল পূজার পাষাণ বেদী" বজ্র গম্ভীর কণ্ঠে  ঘোষণা করেছিলেন ,"আমি বেদুইন ,আমি চেঙ্গিস, আমি আপনারে ছাড়া করি না কাহারে কুর্নিশ"। কবির বিদ্রোহ যেমন পরাধীনতার বিরুদ্ধে তেমনি তাঁর  বিদ্রোহ ছিল সামাজিক অসাম্যের বিরুদ্ধেও ।তাঁর দৃষ্টিতে সমস্ত সামাজিক ভেদাভেদ কৃত্রিম এবং মিথ্যে। তাঁর রচিত, 'অগ্নিবীণা', 'বিষের বাঁশি', 'সর্বহারা', 'ফণিমনসা', 'ছায়ানট' প্রভৃতি কাব্যগুলো মূলত বিদ্রোহেরই সোচ্চার জয়ধ্বনি।

কাজী নজরুল ইসলাম বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন
কাজী নজরুল ইসলাম বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন

কাজী নজরুল ইসলাম চলচ্চিত্র এবং মঞ্চ জগতের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন । ১৯৩১ সালে 'ভক্ত ধ্রুব' ছবিতে নারদের ভূমিকায় অভিনয় করেন এবং সুরারোপও করেন। গানের জগতে এপার বাংলা ওপার বাংলায় রবীন্দ্রসংগীতের পরেই নজরুলগীতি স্থান। সুরকার হিসেবেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম । তিনি প্রায় আড়াই হাজারের বেশি গান রচনা করেছিলেন। তাঁর গানের পরিচিতি দেশে- বিদেশে ছড়িয়ে আছে।তাঁর জনপ্রিয় কিছু গানের মধ্যে বুলবুল, চোখের চাতক,গুলবাগিচা ,গীতিমাল্য প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

দাম্পত্য জীবন | Kazi Nazrul Islam’s married life

১৯৪২ খ্রীস্টাব্দের ২৪ শে এপ্রিল, কাজী নজরুল ইসলাম বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ।তিনি প্রমীলা দেবীকে বিবাহ করেন।  সাম্যবাদের অগ্রদূত নজরুল, মুসলিম হয়েও চার সন্তানের নাম বাংলা এবং আরবি/ফারসি উভয় ভাষাতেই প্রদান করেছিলেন, যেমন: কৃষ্ণ মুহাম্মদ, অরিন্দম খালেদ (বুলবুল), কাজী সব্যসাচী এবং কাজী অনিরুদ্ধ।  কিন্তু  তাঁর জীবন ছিল  চিরকালই বিড়ম্বনাজর্জর  । সন্তানের মৃত্যু ও স্ত্রীর অসুস্থতা তাঁর মানসিক ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়।  

স্বদেশপ্রীতি ও কারাবরণ | Patriotism and imprisonment of Kazi Nazrul Islam

দুই বিশ্বযুদ্ধের মধ্যবর্তী সময়ে নজরুলের আবির্ভাব ।তিনি সমকালীন জাতীয় রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক রাজনীতির দ্বারা দারুণভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন। সন্ত্রাসবাদ আন্দোলন এবং সশস্ত্র বিপ্লবে তাঁর ছিল অগাধ আস্থা। ১৯২০ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই মাসে তিনি মুজাফফর আহমেদের সঙ্গে প্রকাশ করেন,' নবযুগ'। নবযুগে সাংবাদিকতার সাথে সাথে তিনি বেতারে ও কাজ করছিলেন দু বছর।পরে তিনি নিজেই প্রকাশ করেন, 'ধূমকেতু'। 'আনন্দময়ীর আগমনে' কবিতাটির জন্য এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড হয় তাঁর। কারামুক্তির পর তিনি জড়িয়ে পড়েন, The Labour Swaraj Party of Indian National Congress- এর সাথে। এই সংস্থা প্রকাশিত 'লাঙল' পত্রিকায় কৃষানের গান, শ্রমিকের গান প্রভৃতি রচনা করেন। এর পরে তিনি জড়িয়ে পড়েন বঙ্গীয় কৃষক শ্রমিক দলের সঙ্গে। তাঁকে  কারারুদ্ধ থাকতে হয় প্রেসিডেন্সি জেল, হুগলি জেল এবং বহরমপুর জেলে।

সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদের বিরুদ্ধে নজরুল | Nazrul against sectarianism

১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দে হিন্দু মুসলমান দাঙ্গা ভীষণভাবে নাড়া দিয়ে যায় নজরুল ইসলামকে। এই উপলক্ষে কবি লেখেন 'হিন্দু মুসলিম', 'পথের দিশা', 'মন্দির ও মসজিদ, প্রভৃতি প্রবন্ধ।কলকাতা তথা সারা বাংলা যখন রক্তাক্ত ,তখন দাঙ্গার ভয়াবহ রূপ তাঁর সত্য বিশ্বাসকে দারুণভাবে ধাক্কা দেয়। তিনিই প্রথম শেখালেন, "মোরা একই বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু -মুসলমান ;মুসলিম তার নয়ন মণি হিন্দু তাহার প্রাণ"। তিনি স্বামী বিবেকানন্দের মতো চণ্ডাল ,মুচি, মেথর ,সমস্ত ভারতবাসীকে এক আসনে দেখতে চেয়েছিলেন। সামাজিক অবক্ষয়ও  অন্যায় অবিচার তাকে অত্যন্ত ব্যথিত করেছিল।

অসুস্থতা ও মৃত্যু | Sickness and death Kazi Nazrul Islam

১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দে নজরুল অসুস্থ হয়ে পড়েন ও তাঁর  বাকশক্তি লোপ পায়। ১৯৪২ সালের শেষের দিকে তাঁর মানসিক ভারসাম্যও নষ্ট হয়ে যায়। ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দে কবি ও কবিপত্নীকে রাঁচির এক মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় যেখানে কবি চার মাস অতিবাহিত করেছিলেন। পরবর্তীকালে তাঁদের লন্ডনে স্থানান্তরিত  করা হয় সুচিকিৎসার জন্য।  ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ মে ,ভারত সরকারের অনুমতি অনুসারে কবি নজরুলকে সপরিবারে বাংলাদেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়। ১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দে কবির কনিষ্ঠ পুত্র কাজী অনিরুদ্ধের মৃত্যু নজরুলের স্বাস্থ্যের আর ও অবনতি ঘটায়। জীবনের শেষ দিনগুলো ঢাকার পিজি হাসপাতালে অতিবাহিত করেন তিনি এবং অবশেষে ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দের ২৯ আগস্ট তারিখে এই বিদ্রোহী কবি পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে পরলোক গমন করেন ।

সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদের বিরুদ্ধে নজরুল
সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদের বিরুদ্ধে নজরুল

উপসংহার | Conclusion

নজরুল ইসলাম এসেছিলেন ইসলামের ধ্বজা নিয়ে নয় ;সমগ্র ভারতের হয়ে সামাজিক' রাজনৈতিক- সবদিক থেকে রণভেরি বাজিয়ে। কণ্ঠে তাঁর মানবমুক্তির জয়গান। তাঁর 'অগ্নিবীণা' একসময় সুপ্ত বিপ্লবীদের অগ্নি মন্ত্র হিসেবে গণ্য হতো। স্বর্ণপদক, পদ্মভূষণ, সাম্মানিক ডিলিট প্রভৃতি সম্মানে তিনি ভূষিত হয়েছেন। বাংলাদেশের জাতীয় কবি রূপেও নজরুল ইসলাম খ্যাতির শিখরে অধিষ্ঠান করেন। তাঁর অবদানের কথা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে মানুষের মনের মণিকোঠায় ।তিনি বিদ্রোহী যৌবনের কপালে জয় তিলক এঁকে তাকে, "দুর্গম গিরি কান্তার মরু দুস্তর পারাবার" উত্তরণের মন্ত্রে দীক্ষিত করেছেন। সমগ্র জাতি কাজী নজরুল ইসলামের কবি প্রতিভার কাছে তাই চিরঋণী।

প্রশ্নোত্তর - Frequently Asked Questions

কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম কোথায় ও কত সালে হয়?

বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম, ১৮১৮ খ্রীস্টাব্দের ২৫ শে মে।

কাজী নজরুল ইসলামের বাল্য নাম কি ছিল?

'দুখু মিয়া'

কাজী নজরুল ইসলাম কবে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন ?

১৯৪২ খ্রীস্টাব্দের ২৪ শে এপ্রিল, কাজী নজরুল ইসলাম বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।

কোন কবিতার জন্য কাজী নজরুল ইসলামকে কারাবাস ভোগ করতে হয়?

'আনন্দময়ীর আগমনে' কবিতাটির জন্য এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড নজরুলকে ভোগ করতে হয়েছিল।

কত সালে বিদ্রোহী কবির মৃত্যু হয়?

১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দের ২৯ আগস্ট।

বাংলাদেশের জাতীয় কবি কে ?

কাজী নজরুল ইসলাম।




পিডিএফ ডাউনলোড | Print or Download PDF File