মিশরে প্রায় ৪৫০০ বছরের প্রাচীন সূর্যমন্দিরের সন্ধান পাওয়া গেল

Monday, November 22 2021, 9:44 am
highlightKey Highlights

সম্প্রতি ন্যাপলস লরিয়েন্টাল বিশ্ববিদ্যালয় ও ওয়ারশ’-এর পোলিশ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সস ইনস্টিটিউটের গবেষকদের যৌথ উদ্যোগে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এল


গবেষকদের মতে এই সূর্য মন্দিরটি বিগত পাঁচ দশকের মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কার

এতদিন মিশরে কেবলমাত্র ২টি সূর্য মন্দিরের অস্তিত্ব আবিষ্কার হয়েছিল। সম্প্রতি ন্যাপলস লরিয়েন্টাল বিশ্ববিদ্যালয় ও ওয়ারশ’-এর পোলিশ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সস ইনস্টিটিউটের গবেষকদের যৌথ অভিযানে  আরও একটি সূর্য মন্দিরের সন্ধান মিলল কায়রোর ১২ মাইল দক্ষিণে আবু ঘুরাব থেকে। । প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে এই সূর্যমন্দিরটি  খ্রিস্টপূর্ব ২৫ শতকের মাঝামাঝি সময়ে মিশর থেকে হারিয়ে যায়। 

ফ্যারাওদের দ্বারা নির্মিত একটি সূর্য মন্দিরের সন্ধান পেয়েছেন প্রত্নতত্ত্ববিদেরা

প্রত্নতত্ত্ববিদেরা মনে করেন, মিশরের প্রাচীন শাসকরা ৬ টি সূর্যমন্দির নির্মাণ করেছিলেন, যার মধ্যে এই মন্দিরটি একটি। এগুলির প্রতিটির বয়স সাড়ে চার বছরের পুরনো। এই ৬ টির মধ্যে এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে মোট দুটির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এর আগে ১৮৯৮ সালে আবিষ্কৃত হয়েছিল একটি সূর্যমন্দির।

ফ্যারাওদের তৈরী প্রাচীন সূর্য মন্দির
ফ্যারাওদের তৈরী প্রাচীন সূর্য মন্দির

মিশরের প্রাচীন শাসক ফ্যারাওদের দ্বারা নির্মিত চারটি সূর্য মন্দিরের একটির সন্ধান পেয়েছেন প্রত্নতত্ত্ববিদেরা। তাঁরা মনে করেন, মিশরের প্রাচীন শাসকরা ৬ টি সূর্যমন্দির নির্মাণ করেছিলেন। এগুলির প্রতিটির বয়স সাড়ে চার হাজার বছরের পুরনো। এই ৬ টির মধ্যে এখনও পর্যন্ত দুটির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এর আগে ১৮৯৮ সালে একটি সূর্যমন্দির আবিষ্কৃত হয়েছিল।

কে নির্মাণ করেছিলেন এই মন্দির? কেনই বা মন্দিরটি পাথরের বদলে মাটি দিয়ে নির্মিত হয়েছিল জানেন?

কে বা কারা এই মন্দির নির্মাণ করেছিলেন এখনও পর্যন্ত সেই উত্তর খুঁজে পাননি গবেষকরা। মূলত, প্রাচীন মিশরীয়দের বিশ্বাস ছিল ফ্যারাওরা সূর্যদেব ‘রা’-এর সন্তান ছিল। ফলে, মন্দিরের গায়ে খোদাই করে লেখা হত সংশ্লিষ্ট ফ্যারাও-এর নাম। সদ্য-আবিষ্কৃত মন্দিরটির ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত সেই ধরনের নিদর্শন খুঁজে পাননি গবেষকরা। তার জন্য আরও বিস্তারিত অনুসন্ধান প্রয়োজন বলেই মনে করছেন প্রধান গবেষক নুজোলো।

সদ্য আবিষ্কৃত মন্দির সম্পর্কে গবেষক নুজোলোর ধারণা

গবেষক নুজোলোর অনুমান, পাথরের মন্দির তৈরিতে সাধারণত বেশি সময় লাগত বলেই, দ্রুততার সঙ্গে কাজ শেষ করতে কায়রোতে এই মন্দির নির্মাণ করা হয়েছিল মাটি দিয়ে। এই মন্দিরের গঠন বা শিল্পকর্ম পছন্দ না হওয়ায় তা ধ্বংস করে ওই স্থানেই নতুন সূর্যমন্দির গড়ে তোলেন পরবর্তী ফ্যারাওরা। সবমিলিয়ে সাম্প্রতিক এই আবিষ্কারে শিহরিত প্রত্নতাত্ত্বিক মহল।




পিডিএফ ডাউনলোড | Print or Download PDF File