কোভিড ফ্লুয়ের প্রকোপে দিল্লিবাসী নাজেহাল, আক্রান্ত হয়েছে ৮০ শতাংশ পরিবার, এমনটাই জানাচ্ছে সমীক্ষা
দিল্লি-এনসিআর অঞ্চলে গত ৩০ দিনে ১০টি মধ্যে ৮টি পরিবার ভাইরাল ফিভার ও কোভিড-১৯-এর ভয়াবহ সাক্ষী থেকেছে।
লোকাল সার্কেল তাদের সাম্প্রতিক সমীক্ষায় এই তথ্য খুঁজে বের করেছে যে, আক্রান্ত পরিবারের সদস্যরা জ্বর, নাক থেকে জল পরা ও ক্লান্তির মতো কোভিড সম উপসর্গের অভিজ্ঞতায় নাজেহাল। সমীক্ষায় এও উঠে এসেছে যে অধিকাংশ মামলাতেই মানুষ বাড়িতে বসে টেস্ট করা পছন্দ করছেন যে আদৌও তাঁরা কোভিড নাকি ভাইরাল ফিভারে আক্রান্ত। তবে কোভিড হোক বা ভাইরাল ফিভার, তা পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে, বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে।
লোকাল সার্কেলের সমীক্ষা
এই ভাইরাল ও কোভিডের বিস্তার ও ঝুঁকির মাত্রা বোঝার জন্য লোকাল সার্কেল দিল্লি-এনসিআর শহরের নয়ডা, গাজিয়াবাদ, গুরুগ্রাম ও ফরিদাবাদে সমীক্ষা চালায় এবং সেখান থেকে ১১ হাজার প্রতিক্রিয়া পাওয়া গিয়েছে। যার মধ্যে ৬৩ শতাংশ পুরুষ ও ৩৭ শতাংশ মহিলা ছিল বলে জানা গিয়েছে। সমীক্ষায় উঠে এসেছে যে গত ৩০ দিনে দিল্লি-এনসিআরের ১০টি পরিবারের ৮টি পরিবারের এক বা দুই সদসষ ভাইরাল/ফ্লু-এর মতো উপসর্গের সাক্ষী থেকেছে। এর মধ্যে, ৫৪ শতাংশ পরিবার জানিয়েছে যে গত একমাসে পরিবারের ২-৩ জন সদস্য ফ্লু থেকে সেরে উঠেছেন, অন্যদিকে ২৩ শতাংশ পরিবার জানিয়েছে যে তাদের পরিবারের চার বা বেশি সদস্য আক্রান্ত এবং ৮ শতাংশ পরিবারের একজন করে সদস্যের ফ্লু-এর মতো উপসর্গ দেখা দিয়েছে। একমাত্র ১৫ শতাংশ পরিবার জানিয়েছে যে তাদের পরিবারের কোনও সদস্য অসুস্থ হয়নি।
লোকাল সার্কেলের এই সমীক্ষায় যেগুলি উঠে এসেছে তা হল
- গত বছরের তুলনায় এই বছরের বর্ষার মরশুমে পরিবারগুলি দ্বিগুণ স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগছে। গত বছর জুলাই-অগাস্টে ৪১ শতাংশ পরিবার জানিয়েছিল যে তাঁদের পরিবারের অন্তত একজন সদস্য অসুস্থ, সেটা এ বছর দাঁড়িয়েছে ৮২ শতাংশে।
- কোভিড কেস সম্ভবত এই বছরে এই বৃদ্ধিতে অবদান রাখছে।
ভাইরাল ফ্লু ও কোভিডে জেরবার দিল্লি
বৃষ্টির মরশুমে ফ্লু-এর মতো উপসর্গ এবং ভাইরাল ফিভার অস্বাভাবিক না হলেও এ বছর আক্রান্ত পরিবারের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ হয়েছে। দিল্লি এনসিআর-এর ৪১ শতাংশ পরিবারে গত বছর এক বা একাধিক সদস্য আক্রান্ত হয়েছিল, এই বছর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে ৮২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। তবে ভাইরাল ফিভারের সঙ্গে কোভিড নিয়েও উদ্বিগ্ন রয়েছে দিল্লিবাসী। তাই রাজ্য ও কেন্দ্র উভয় সরকারের পক্ষ থেকে মাস্ক পরা ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার মতো কোভিড বিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
- Related topics -
- স্বাস্থ্য
- মাঙ্কি পক্স
- মাঙ্কি পক্সের সংক্রমণ
- কোভিড ১৯
- লোকাল সার্কেল