শারদ উৎসব ২০২৪

Durga Puja 2024 | পুজোয় আনুন বনেদি স্বাদ, রইলো কলকাতার সেরা কয়েকটি রাজবাড়ির দুর্গাপুজোর ঠিকানা

Durga Puja 2024 | পুজোয় আনুন বনেদি স্বাদ, রইলো কলকাতার সেরা কয়েকটি রাজবাড়ির দুর্গাপুজোর ঠিকানা
Key Highlights

পাড়ার পুজো হোক কিংবা বারোয়ারি থিমের পুজো কিংবা সাবেকী বনেদি বাড়ি বা জমিদার বাড়ির পুজো। প্রতিটা পুজোর মধ্যেই, পুজোর আয়োজনে রয়েছে একটা অদ্ভুত সৌন্দর্য। বিশেষ করে জমিদার বাড়ির দুর্গাপুজো বাংলার ইতিহাস ও সংস্কৃতির এক অনন্য অংশ। বছরের অন্যান্য সময় এই বাড়িগুলোর বেশিরভাগ বন্ধ থাকে। ভিতরে প্রবেশের অনেক বিধি নিষেধ থাকে। কিন্তু পুজোর সময় সবাইকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। তাই বনেদি বাড়ির অন্দরমহল মন প্রাণ ভরে দেখে নেওয়ার সুযোগটুকু মিস করা যায় না।

পাড়ার পুজো হোক কিংবা বারোয়ারি থিমের পুজো কিংবা সাবেকী বনেদি বাড়ি বা জমিদার বাড়ির পুজো। প্রতিটা পুজোর মধ্যেই, পুজোর আয়োজনে রয়েছে একটা অদ্ভুত সৌন্দর্য। বিশেষ করে জমিদার বাড়ির দুর্গাপুজো বাংলার ইতিহাস ও সংস্কৃতির এক অনন্য অংশ। আচার, সংস্কৃতি এবং ধর্মীয় কর্মকান্ড ছাড়াও এইসব পুজো দেখার একটা বাড়তি পাওনা আছে। বছরের অন্যান্য সময় এই বাড়িগুলোর বেশিরভাগ বন্ধ থাকে। ভিতরে প্রবেশের অনেক বিধি নিষেধ থাকে। কিন্তু পুজোর সময় সবাইকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। তাই বনেদি বাড়ির অন্দরমহল মন প্রাণ ভরে দেখে নেওয়ার সুযোগটুকু মিস করা যায় না। জেনে নেওয়া যাক কলকাতার সেরা কয়েকটি জমিদার বাড়ির দুর্গাপুজোর বিশেষত্ব ও ইতিহাস।

১. শোভাবাজার রাজবাড়ি । Shobhabazar Rajbari :

শোভাবাজার রাজবাড়ির দুর্গাপূজা শুরু হয় ১৭৫৭ সালে। রাজা নবকৃষ্ণ দেব পলাশীর যুদ্ধের পর এই পূজার আয়োজন করেন।এই পূজা বাংলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পূজাগুলোর মধ্যে একটি। রাজকীয় আভিজাত্য এবং সজ্জা এই পূজার প্রধান আকর্ষণ। শোভাবাজার রাজবাড়ির দুর্গাপূজা প্রাচীন এবং অত্যন্ত ঐতিহ্যবাহী। এখানে প্রাচীন ধর্মীয় আচার পালন করা হয়, যা দর্শকদের মুগ্ধ করে।

২. বড়বাজারের রাজবাড়ি । Rajbari of Barabazar :

কলকাতার অন্যতম প্রাচীন রাজবাড়ি, যেখানে রাজপরিবারের সাথে পূজার ঐতিহ্য বহু বছরের। এই পূজায় রাজকীয় আচার ও অনুষ্ঠানের পাশাপাশি স্থানীয়দের অংশগ্রহণও দেখা যায়। বড়বাজারের রাজবাড়ির দুর্গাপূজা ১৭৫৭ সালে শুরু হয়। 

৩. জোড়াসাঁকো রাজবাড়ি । Jorasanko Rajbari :

জোড়াসাঁকো রাজবাড়ি ১৮শ শতাব্দীর প্রথম দিকে প্রতিষ্ঠিত। এই রাজবাড়ির দুর্গাপূজার বিশেষত্ব হলো এখানে প্রতি বছর প্রাচীন গুণমানের প্রতিমা তৈরি করা হয়। এই পূজা তৎকালীন বাংলার সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ঘটনাবলীর সঙ্গে জড়িত। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরিবারের সদস্যদের এই পূজায় অংশগ্রহণ এখনও স্মরণীয়।

. তালতলা রাজবাড়ি । Taltala Rajbari : 

তালতলা রাজবাড়ির দুর্গাপূজা ১৮শ শতাব্দীর প্রথমার্ধে শুরু হয়। এখানে রাজপরিবারের সদস্যরা তাঁদের বিশেষ পদ্ধতিতে পূজা করেন। স্থানীয় শিল্পীদের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়, যা দর্শকদের মুগ্ধ করে।

৫. বাঁশদ্রোণী রাজবাড়ি । Bansdroni Rajbari :

বাঁশদ্রোণী রাজবাড়ির দুর্গাপূজা ১৮শ শতাব্দীর প্রাচীন ঐতিহ্যের অংশ। এই রাজবাড়ির সদস্যরা প্রাচীন নিয়ম অনুসারে পূজা সম্পন্ন করেন। এখানে নাচ, গান এবং নাটকের আয়োজন দর্শকদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ।

৬.পাটুলি রাজবাড়ি । Patuli Rajbari : 

পাটুলি রাজবাড়ির দুর্গাপূজা এক শতাব্দী ধরে চলে আসছে। এই রাজবাড়ির সদস্যরা অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে পূজা করেন এবং স্থানীয় শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

৭.গড়িয়া রাজবাড়ি । Garia Rajbari : 

গড়িয়া রাজবাড়ির দুর্গাপূজা ১৮শ শতাব্দীর মাঝামাঝি প্রতিষ্ঠিত। এটি ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির এক কেন্দ্রবিন্দু। রাজপরিবারের সদস্যরা এই পূজায় অংশ নিয়ে ভক্তি ও শ্রদ্ধার সঙ্গে পূজা করেন।