World Blood Donor Day | রক্তদানের জন্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে ২১কিমি পথ হাঁটার লক্ষ্যে কিরণ ভার্মা!

Wednesday, June 14 2023, 8:07 am
highlightKey Highlights

বিশ্ব রক্তদাতা দিবসের দিন জানুন এই দিনের তাৎপর্য ও রক্তদান করলে কী উপকার হতে পারে রক্তদাতার।


রক্তের গুরুত্ব ও মূল্য যে কতটা সে হয়তো সবারই মোটামুটি জানা আছে। কোনও জরুরীকালীন অবস্থায় কম পরিমাণ রক্ত পেতেও অনেক দৌড়াদৌড়ি করতে হয়। অনেক সময় ব্লাডব্যাঙ্কগুলিতেও (Blood Bank) পর্যাপ্ত রক্ত পাওয়া যায়না। যার ফলে প্রায়শই নানান সংস্থা থেকে রক্তদান শিবিরের (Blood Donation Campaign) আয়োজন করা হয়। আর সেখানেই বহু মানুষ নিজইচ্ছায় রক্তদান করে প্রাণ বাঁচান বহু মানুষের। রক্ত হল সবচেয়ে মূল্যবান জিনিস যা একজন ওপর কাউকে দিতে পারে। রক্তদানের সিদ্ধান্ত বাঁচাতে পারে একটি নয় একাধিক জীবন। আর এই রক্তদাতাদের ধন্যবাদ জানাতে এবং জীবন ও মানবতাকে উদযাপন করতে প্রতি বছর ১৪ই জুন বিশ্বব্যাপী পালন করা হয় 'বিশ্ব রক্তদাতা দিবস' (World Donor Day)। 

১৪ই জুন বিশ্বব্যাপী পালন করা হয় 'বিশ্ব রক্তদাতা দিবস' 
১৪ই জুন বিশ্বব্যাপী পালন করা হয় 'বিশ্ব রক্তদাতা দিবস' 

বিশ্ব রক্তদাতা দিবসের ইতিহাস | History of World Blood Donor Day :

Trending Updates

২০০৪ সালে 'হু' (WHO) বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (World Health Organization) আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ব রক্তদাতা দিবস প্রতিষ্ঠা করে। এরপর ২০০৫ সালে ৫৪ তম বিশ্ব স্বাস্থ্য সমাবেশে (World Health Assembly) রক্তদানের তাৎপর্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে 'বিশ্ব রক্তদাতা দিবস'কে বার্ষিক বৈশ্বিক ইভেন্ট হিসাবে মনোনীত করা হয়।

২০০৪ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ব রক্তদাতা দিবস প্রতিষ্ঠা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
২০০৪ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ব রক্তদাতা দিবস প্রতিষ্ঠা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

রক্তদানের উৎপত্তি প্রাচীন কাল থেকে ইতিহাসের পাতায় উল্লেখিত রয়েছে। রক্ত সঞ্চালন এবং কার্ডিওপালমোনারি সিস্টেমের (Cardiopulmonary System) কার্যকারিতা নিয়ে ইংরেজ চিকিৎসক রিচার্ড লোয়ারের  (Richard Lower) বই 'ট্র্যাকট্যাটাস ডি কর্ডে' (Tractatus De Corde) এক যুগান্তকারী কাজ। লোয়ারই প্রথম রক্তদানের বৈজ্ঞানিক দিকগুলি আবিষ্কার করেছিলেন। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কার্ল ল্যান্ডস্টেইনারের (Carl Landsteiner) জন্মদিনকে বিশ্ব রক্তদাতা দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়। যিনি ছিলেন অস্ট্রিয়ান আমেরিকান ইমিউনোলজিস্ট, প্যাথলজিস্ট (Austrian American Immunologist, Pathologist) এবং রক্তের গ্রুপ এবং আধুনিক রক্ত সঞ্চালন পদ্ধতির উন্নয়নের জন্য তিনি ১৯৩০ সালে নোবেল (Nobel) পুরস্কারে সম্মানিত হন।

রিচার্ড লোয়ারের যুগান্তকারী বই 'ট্র্যাকট্যাটাস ডি কর্ডে'
রিচার্ড লোয়ারের যুগান্তকারী বই 'ট্র্যাকট্যাটাস ডি কর্ডে'

বিশ্ব রক্তদাতা দিবস ২০২৩ এর থিম | Theme of World Blood Donor Day 2023 :

বিশ্বব্যাপী সাধারণ মানুষকে রক্তদানে উৎসাহ করতে এবং যারা রক্তদেন করে থাকেন তাদের সম্মান জানাতে প্রতি বছর ১৪ই মে পালন করা হয় বিশ্ব রক্তদাতা দিবস। প্রতি বছরই এই দিবস ভিন্ন ভিন্ন প্রতিপাদ্য বা থিমকে ঘিরে পালন করা হয়। চলতি বছর বিশ্ব রক্তদাতা দিবসের থিম হল, "রক্ত দিন, প্লাজমা দিন, জীবন ভাগ করুন" (“Give Blood, Give Plasma, Share Life, Share Often”)। এই থিমের অর্থ হল,  যাতে সারা বিশ্বে সর্বদা পর্যাপ্ত রক্ত উপলব্ধ থাকে এবং রক্তের প্লাজমা দেন করায় গুরুত্ব দেওয়া।

চলতি বছর বিশ্ব রক্তদাতা দিবসের থিম হল, "রক্ত দিন, প্লাজমা দিন, জীবন ভাগ করুন" 
চলতি বছর বিশ্ব রক্তদাতা দিবসের থিম হল, "রক্ত দিন, প্লাজমা দিন, জীবন ভাগ করুন" 

বিশ্ব রক্তদাতা দিবসের তাৎপর্য | Significance of World Blood Donor Day : 

স্বেচ্ছায় রক্তদান পৃথিবীর সব থেকে মহৎ কাজের মধ্যে একটি। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, গোটা বিশ্বে প্রতি বছর আনুমানিক প্রায় ২৭২ মিলিয়ন ইউনিট রক্ত ​​সরবরাহ প্রয়োজন। যদিও ২০১৭ সালে মোট বিশ্বব্যাপী চাহিদা ছিল প্রায় ৩০৩ মিলিয়ন ইউনিট। তবে সেই বছর প্রায় ৩০ মিলিয়ন ইউনিট রক্তের ঘাটতি ছিল।

গোটা বিশ্বে প্রতি বছর আনুমানিক প্রায় ২৭২ মিলিয়ন ইউনিট রক্ত ​​সরবরাহ প্রয়োজন
গোটা বিশ্বে প্রতি বছর আনুমানিক প্রায় ২৭২ মিলিয়ন ইউনিট রক্ত ​​সরবরাহ প্রয়োজন

রক্তদানের গুরুত্ব শুধু হাজার হাজার মানুষের জীবন বাঁচাতেই নয়, যারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত এবং যাদের জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত রক্তের প্রয়োজন তাদেরও সাহায্য করে। রক্তের অভাব একজন ব্যক্তির জীবনকে বিপদে ফেলতে পারে। রক্তের প্রয়োজনে সময়মতো রক্ত সরবরাহ না করা হলে একজনের জীবনও হারাতে পারে। রক্তের ঘাটতি পূরণ করে রক্তদানের মাধ্যমে জীবন বাঁচানো যায়। ফলে রক্তদানকে উৎসাহিত করা এবং রক্তদাতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের লক্ষ্যে প্রতি বছর ১৪ই জুন রক্তদাতা দিবস পালন করা হয়। পাশাপাশি রক্তের অভাবে যাতে  কারুর ,মৃত্যু  না হয় সেই সম্পর্কেও সচেতনতা বৃদ্ধি করা হয়।

রক্তদানের সচেতনতা বৃদ্ধিতে ২১ হাজার কিমি পথ হাঁটার লক্ষ্যে কিরণ ভার্মা | To Raise Awareness About Donating Blood, Kiran Verma Aimed To Walk 21KM Road : 

রক্তের ঘাটতির কারণে যাতে কারুরু মৃত্যু না হয় সেই উদ্দেশ্যেই এক অভিনব যাত্রা শুরু করে গোটা দেশ এমনকি বিশ্বের নজর কেড়েছেন দিল্লির কিরণ ভার্মা (Kiran Verma)। রক্তদান সম্পর্কে আরও সচেতনতা বৃদ্ধি করতে ২১ হাজার কিলোমিটার পথ পায়ে হাঁটার লক্ষ্যে কিরণ। চলতি বছরের বিশ্ব রক্তদাতা দিবসের দিন তিনি মালদা (Malda) থেকে হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত শিলিগুড়িতে (Siliguri) যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।

রক্তদান সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে ২১ হাজার কিলোমিটার পথ পায়ে হাঁটার লক্ষ্যে কিরণ ভার্মা
রক্তদান সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে ২১ হাজার কিলোমিটার পথ পায়ে হাঁটার লক্ষ্যে কিরণ ভার্মা

২০১৬ সালে এক ঘটনার পরে গোটা দেশে রক্ত দানের জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি করতে ২১ হাজার কিলোমিটার পথ হেটে অতিক্রম করার  সিদ্ধান্ত নেন কিরণ ভার্মা। ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে তার কাছে খবর আসে, এক অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের রক্তের প্রয়োজন। খবর পাওয়া মাত্রই তিনি দ্রুত রক্ত দান করেন। কিন্তু পরে ওই পরিবারের সঙ্গে কিরণ যোগাযোগ করলে জানতে পারেন, যে ব্যক্তির মাধ্যমে তিনি রক্ত দানের প্রয়োজনের খবর পান তিনি সেই দরিদ্র পরিবারের কাছ থেকে রক্তের জন্য প্রায় দেড় হাজার টাকা নেন। এই ঘটনায় ভেঙে পড়েন কিরণ। এরপরেই স্বেচ্ছায় রক্তদানের জন্য জনসাধারণকে উৎসাহ করার জন্য প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে তিনি ২১ হাজার কিলোমিটার পথ পায়ে হাঁটার সিদ্ধান্ত নেন।

মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে প্ল্যাকার্ড হাতে ২১ হাজার কিলোমিটার পথ পায়ে হাঁটার সিদ্ধান্ত
মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে প্ল্যাকার্ড হাতে ২১ হাজার কিলোমিটার পথ পায়ে হাঁটার সিদ্ধান্ত

কিরণ ভার্মা জানান,  ভারত সরকারের তথ্য অনুযায়ী ২০১৭ সালে বার্ষিক প্রায় ১৫ মিলিয়ন ইউনিট রক্তের প্রয়োজন ছিল। তার লক্ষ্য, গোটা দেশে পায়ে হেঁটে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাতে তারা রক্তদানে উৎসাহী হন। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে কিরণ ভার্মা 'সিম্পলি ব্লাড' (Simply Blood) নামক এক একটি ভার্চুয়াল রক্তদানের প্ল্যাটফর্মের (Virtual Blood Donation Platform) সূচনা করেন, যেখানে রক্তদাতা বা কাউকে কোনো টাকা না দিয়েই সঠিক সময়ে প্রয়োজনে রক্ত পাওয়া যায়। ইতিমধ্যেই এই প্ল্যাটফর্মের সাহায্যে রক্তের অভাবে মৃত্যু থেকে বেঁচেছেন প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ।

রক্তদানের উপকারিতা | Benefits of Donating Blood :

রক্তদান কেবল অন্যের জীবন বাঁচাতেই নয় এমনকি রক্তদাতারও শারীরিক অনেক উপকারিতা করে। রক্তদান করলে রক্তে অতিরিক্ত আয়রনের (Iron) মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে যার ফলে হিমোক্রোমাটোসিস (Hemochromatosis) প্রতিরোধ করা যায়, এমন একটি অবস্থা যা হার্ট অ্যাটাক (Heart Attack) এবং স্ট্রোক-সহ (Stroke) কার্ডিওভাসকুলার (Cardiovascular) রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। পাশাপাশি এটি রক্তাল্পতা (Anemia) বা সংক্রামক রোগের মতো কিছু শারীরিক অবস্থার প্রাথমিক সনাক্তকরণেও সাহায্য করতে পারে, যা অন্যথায় অলক্ষিত হতে পারে।

রক্তদান  রক্তদাতারও শারীরিক অনেক উপকারিতা করে
রক্তদান  রক্তদাতারও শারীরিক অনেক উপকারিতা করে

হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায় | Reduces The Risk of Heart Attack : 

নিয়মিত রক্ত দান হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। রক্তদান রক্তচাপ (Blood Pressure) কমাতে এবং হার্ট অ্যাটাকের (Heart Attack) সম্ভাবনা কমাতে সাহায্য করতে পারে। যদি আপনার হিমোগ্লোবিন (Hemoglobin) খুব বেশি হয় তবে রক্ত দান করলে এটি রক্তকে কম ঘন এবং আঠালো করে তুলতে পারে।

রক্ত দান হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী
রক্ত দান হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী

হেমোক্রোমাটোসিস প্রতিরোধ করে | Prevents Hemochromatosis : 

রক্তদান হিমোক্রোমাটোসিসের (Hemochromatosis) ঝুঁকি কমাতে পারে। হিমোক্রোমাটোসি এমন একটি শারীরিক অবস্থা যা শরীরে আয়রনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। রক্তদান করলে আয়রনের পরিমাণ কমে, ফলে হিমোক্রোমাটোসিস হওয়ার সম্ভাবনা কমাতে সাহায্য করে।

রক্তদান হিমোক্রোমাটোসিসের ঝুঁকি কমাতে পারে
রক্তদান হিমোক্রোমাটোসিসের ঝুঁকি কমাতে পারে

নতুন রক্তকণিকা উৎপাদনকে উদ্দীপিত করে | Stimulates The Production of New Blood Cells : 

রক্তদানের পর, শরীরে সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য নতুন কোষ তৈরি হয় এবং রক্তদানের ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই রক্তদাতার শরীর থেকে যতটা রক্তের ঘাটতি হয়েছে তা প্রতিস্থাপনের কাজ শুরু হয়ে যায়। মাত্র ৩০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে শরীরে লোহিত রক্তকণিকা (Blood Cell) প্রতিস্থাপিত শুরু হয়। নিয়মিত রক্তদান করলে,  ক্রমাগত এই পুনর্নবীকরণ সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং জীবনীশক্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে।

রক্তদানের পর, শরীরে সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য নতুন কোষ তৈরি হয়
রক্তদানের পর, শরীরে সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য নতুন কোষ তৈরি হয়

 বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা | Free Health Checkup : 

রক্তদানের আগে রক্তদাতার পুরো স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। এই চেকআপের সময় রক্তদাতার উচ্চ রক্তচাপ বা অ্যাট্রিয়াল ফাইব্রিলেশন (Atrial Fibrillation) এবং হার্টের অবস্থা সম্পর্কে যাচাই করা হয়। প্রয়োজনে রক্তদাতাকে পরামর্শও দিয়ে থাকেন চিকিৎসক। ফলে রক্তদানের আগে রক্তদাতার বিনামূল্যে একটি স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়ে যায়।

রক্তদানের আগে রক্তদাতার পুরো স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়
রক্তদানের আগে রক্তদাতার পুরো স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়

সময়ের সঙ্গে চিকিৎসা ব্যবস্থা অনেক উন্নত হলেও, এখনও প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ রক্তের অভাবে মারা যান। তথ্য অনুযায়ী, ভারতে (India) রক্তের অভাবে প্রতিদিন প্রায় ১২ হাজার মানুষের মৃত্যু হয় রক্তের অভাবে বা ঠিক সময় রক্ত সরবরাহ না পাওয়ার জন্য। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রক্তের বেশি প্রয়োজন হয় থ্যালাসেমিয়া (Thalassemia) রোগীদের। কেবল বাংলাদেশেই (Bangladesh) থ্যালাসেমিয়া রোগীদের সংখ্যা প্রায় ৮০ হাজার। একজন থ্যালাসেমিয়া রোগীর প্রতি মাসে ১ থেকে ৩ ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন হয়। থ্যালাসেমিয়া ছাড়াও রক্তস্বল্পতা, প্রসূতির রক্তক্ষরণ, অগ্নিদগ্ধ রোগী, বড় অপারেশন, দুর্ঘটনা ইত্যাদি নানা কারণে রক্তের প্রয়োজন হয়। যার ফলে রক্ত দান করার কোনও সীমা নেই।




পিডিএফ ডাউনলোড | Print or Download PDF File