রাজ্য

Firecracker Factory | এগরার পর বিস্ফোরণ বজবজে! বেআইনি বাজি কারখানার বাড়বাড়ন্ত রুখতে ক্লাস্টার তৈরীর সিদ্ধান্ত রাজ্যের!

Firecracker Factory | এগরার পর বিস্ফোরণ বজবজে! বেআইনি বাজি কারখানার বাড়বাড়ন্ত রুখতে ক্লাস্টার তৈরীর সিদ্ধান্ত রাজ্যের!
Key Highlights

এগরার পর বজবজে বিস্ফরণ। ঘটনায় মৃত্যু ৩ জনের। পর পর বিস্ফোরণে সরব রাজ্য সরকার। বাজির ক্লাস্টার বানানোর সিদ্ধান্ত, তৈরী হয়েছে কমিটিও।

এগরার পর বজবজ! পর পর বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় কেঁপে উঠেছে বঙ্গ। আর সেই বিস্ফোরণে মৃত্যু একাধিকের। এবার এই ঘটনা নিয়েই সরব হল রাজ্য সরকার। বেআইনি বাজি কারখানা বন্ধে এবং বিস্ফোরণের মতো ঘটনা এড়াতে বাজির ক্লাস্টার বানানো নিয়ে একপ্রস্থ আলোচনা হল ক্যাবিনেটে।

সূত্রের খবর, সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাজি কারখানার পর পর বিস্ফোরণ নিয়ে আলোচনা হয়। তারপরই বাজির ক্লাস্টার বানানো নিয়ে কথা ওঠে। জানা গিয়েছে এই নিয়ে মিলেছে সবুজ সংকেতও। ঠিক হয়েছে, রাজ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাজি কারখানাগুলি বন্ধ করে গড়ে তোলা হবে ক্লাস্টার। অর্থাৎ জেলা শিল্প কেন্দ্রের তত্ত্বাবধানে তৈরী হবে একটি নির্দিষ্ট কারখানা।

নবান্ন সূত্রে খবর, মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে গঠন হচ্ছে এক কমিটি। যা দু’মাস এর মধ্যে এই বিষয় সংক্রান্ত রিপোর্ট দেবে রাজ্য সরকারকে। প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে, লোকালয় থেকে বেশ কিছুটা দূরেই তৈরী করা হবে এই ক্লাস্টারগুলি। সেখান থেকে অপর ক্লাস্টারগুলিও দূরে থাকবে।

উল্লেখ্য, বাজি তৈরিতে বারুদ হল অন্যতম উপাদান। তবে একসঙ্গে ১৫ কেজি বা তার বেশি বারুদ কোনও বদ্ধ জায়গায় থাকলে বড় বিপদ ঘটার তীব্র সম্ভাবনা থাকে।  ফলে সমস্ত প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করেই ক্লাস্টার তৈরী করা হবে। এমনকি এরকম বিপদজনক ঘটনা যাতে আর না ঘটে তার জন্য রাখা হবে বিশেষ নজরদারিও।

ক্লাস্টার তৈরীর প্রসঙ্গে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, একটা কমিটি তৈরি করা হয়েছে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে, যা দুই মাসের মধ্যে রিপোর্ট দেবে যে বাজি কারখানার ক্লাস্টার করা যাবে কিনা। এছাড়াও বেআইনি বাজি তৈরি আটকাতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানালেন মেয়র।

একটা কমিটি তৈরি করা হয়েছে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে, যা দুই মাসের মধ্যে রিপোর্ট দেবে। বাজি কারখানার ক্লাস্টার করা যাবে কিনা। বেআইনি বাজি তৈরি আটকাতে এটা করা হবে। বিভিন্ন জেলা যেখানে বাজি তৈরি হয় সেখানে সরকারি জমিতে এই ধরনের ক্লাস্টার তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাজি শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য‌ই এই ক্লাস্টার তৈরি করা হবে।

মেয়র ফিরহাদ হাকিম

অন্যদিকে, জেলা শিল্প কেন্দ্রের কর্তারা জানিয়েছেন, বাজি কারখানার ক্লাস্টার হলে ভালো হবে, এর ফলে বেআইনি কারখানা পুরো বন্ধ হওয়ার সঙ্গে বেশ কিছু মানুষ কর্মসংস্থান পাবে।

প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় বাজি কারখানার বিস্ফোরণের ভয়াবহ দৃশ্য এখনও চোখের সামনে ভাসছে রাজ্যবাসীর। সেই ঘটনায় মৃত্যু হয় ৯ জনের। এরপর সেই ঘা না শোকাতেই আরেক বিস্ফোরণ! রবিবার বজবজের চিংড়িপোঁতার একটি দোতলা বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। অভিযোগ, সেখানে মজুত ছিল প্রচুর বাজি, বারুদ। সেই বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ৩ জনের" ইতিমধ্যেই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় হয়েছেন ৯ মহিলা-সহ ৩৬ জনকে।