Chandrayaan 3 Live Status | ইসরোর ডাকে এখনও সাড়া দিলো না বিক্রম-প্রজ্ঞান! ৩০ সে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শেষ আশা নিয়ে বসে ইসরোর বিজ্ঞানীরা!
চাঁদে সূর্যের আলো পড়ার পরেও ইসরোর ডাকে সাড়া দেয়নি বিক্রম ও প্রজ্ঞান। চন্দ্রযান ৩ লাইভ স্ট্যাটাস অনুযায়ী, এখনও স্লিপ মোডেই রয়েছে ইসরোর চন্দ্রযান-৩। ৩০ সে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আশা নিয়ে বিজ্ঞানীরা।
চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের পর থেকেই গোটা বিশ্বের নজর কেড়েছে ইসরোর চন্দ্রযান-৩ (ISRO Chandrayaan-3)। ২৩ সে অগাস্ট চাঁদের মাটিতে পা রেখে নানান পরীক্ষা চালায় ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞান। এরপর চাঁদে সূর্যাস্তের পর সময় মাফিক ঘুমিয়েও পরে বিক্রম-প্রজ্ঞান। তবে বর্তমানে ফের চন্দ্রাকাশ ভরে উঠেছে সূর্যের আলোয়। এই আলোতেই ঘুম ভাঙার কথা ছিল চন্দ্রযান-৩ এর। তবে চন্দ্রযান ৩ লাইভ স্ট্যাটাস (Chandrayaan 3 Live Status) এখনও স্লিপ মোডেই রয়েছে বিক্রম-প্রজ্ঞান। বারবার চেষ্টা করা হলেও চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে থাকা ভারতের চন্দ্রদূতের কোনওরকম সাড়া মেলেনি।
ইসরো সম্পর্কে আরও পড়ুন : ন'বছর পর ভারতের ফের 'মঙ্গল-মিশন' মঙ্গলযান-২ এর প্রস্তুতি শুরু করলো ইসরো! কী পরীক্ষা করবে দ্বিতীয় মঙ্গলযান?
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (Indian Space Research Organization) অর্থাৎ ইসরো সূত্রে খবর, বারবার চেষ্টা করা সত্ত্বেও চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে থাকা ভারতের চন্দ্রদূতের কোনওরকম সাড়া মেলেনি। ইসরো একাধিকবার অ্যালার্ম বাজানো সত্ত্বেও বিক্রম এবং প্রজ্ঞানের কাছে তা পৌঁছায়নি। চন্দ্রযান ৩ লাইভ অবস্থান (Chandrayaan 3 Live Location) এখনও একই রয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা।
চন্দ্রযান ৩ লাইভ স্ট্যাটাস সম্পর্কে আরও পড়ুন : 'ঘুম' থেকে উঠলো না বিক্রম ও প্রজ্ঞান! ইসরোর ডাকে সারা দিচ্ছে না চন্দ্রযান ৩! আশা ছাড়তে তবুও নারাজ বিজ্ঞানীরা!
২৩ অগাস্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফট ল্যান্ডিং হয় চন্দ্রযান ৩-এর বিক্রম ল্যান্ডারের। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের পর ১০০ মিটার পথ চষে ফেলেছে প্রজ্ঞান। শিবশক্তি পয়েন্টে বিক্রমের ল্যান্ডিংয়ের পর তার পেট থেকে গড়িয়ে গড়িয়ে বেরিয়ে আসে প্রজ্ঞান। চন্দ্রযান-৩ চাঁদে সন্ধান করেছে অক্সিজেনের। সঙ্গে সালফার, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, অ্যালুমিনিয়ামের মতো একাধিক যৌগের হদিশ মিলেছে। এরপর কাজ শেষে স্লিপ মোডে পাঠিয়ে দেওয়া হয় রোভার প্রজ্ঞান এবং ল্যান্ডার বিক্রমকে। কিন্তু, তারপর থেকেই এই দুই সৈনিকের আর কোনও হদিশ নেই।
চন্দ্রযান -৩ এর বর্তমান স্ট্যাটাস সম্পর্কে আরও পড়ুন : প্রজ্ঞানের পর ঘুমিয়ে পড়লো বিক্রম! রোভার-ল্যান্ডারের 'ঘুম' ভাঙাতে সাহায্য নাসার!
ভারতীয় মহাকাশ সংস্থাকে হয়তো আরও ১৪ দিন অপেক্ষা করতে হতে পারে চন্দ্রযান-৩ এর বিক্রম ল্যান্ডার এবং প্রজ্ঞান রোভারের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে। ৬ অক্টোবর ফের চাঁদের বুকে রাত্রিকাল কেটে ফের সূর্যের আলো ফুটবে, সেই সময় হয়তো জেগে উঠতে পারে চন্দ্রযান-৩। ইসরো প্রধান এস সোমনাথ বলেছেন কবে চন্দ্রযান-৩ যন্ত্রের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা হবে তা নিশ্চিত নয়। তারা বিক্রম ল্যান্ডার এবং প্রজ্ঞান রোভারের সঙ্গে তাদের জেগে ওঠার অবস্থা নিশ্চিত করার জন্য যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা করেছে, চন্দ্রযান ৩ লাইভ স্ট্যাটাস (Chandrayaan 3 Live Status) অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত বিক্রম-প্রজ্ঞানের কাছ থেকে কোন সংকেত পাওয়া যায়নি।
ইসরো ও আদিত্য এল ১ সম্পর্কে আরও পড়ুন : সূর্যের উদ্দেশ্যে রওনা দিল 'আদিত্য এল ১'! গন্তব্যে কীভাবে পৌঁছবে 'আদিত্য’?
ইসরো জানিয়েছে, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চন্দ্রযান-৩ এর এই সাড়া পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করবেন বিজ্ঞানীরা। ওইদিন চাঁদে ফের একবার সূর্যাস্ত হতে চলেছে। যতক্ষণ না পর্যন্ত আলো নিভছে ততক্ষণ বিক্রম এবং প্রজ্ঞানকে ঘুম থেকে ডাকার চেষ্টা করে যাবে এস সোমনাথ (S Somnath) এবং তাঁর টিম। নাগাড়ে ইসরোর টিম চন্দ্রযান ৩-কে পিং করে যাবে। ৩০ সেপ্টেম্বর সূর্যাস্ত না হওয়া পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চলবে বলে জানিয়েছেন ইসরো প্রধান এস সোমনাথ। তবে হাড়কাঁপুনি ঠান্ডায় চন্দ্রযান ৩-এর বেঁচে থাকার সম্ভাবনাও বড্ড ক্ষীণ। এ কথা ধ্রুব সত্য বলেই মনে করছেন তিনি।
ইসরো ও আদিত্য এল-১ সম্পর্কে পড়ুন : পৃথিবীর টান ছেড়ে সূর্যের পথে আদিত্য এল-১! এখন থেকেই শুরু ভারতের প্রথম সৌরযানের তথ্য সংগ্রহ!
তবে এই প্রসঙ্গে স্পেস অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারের ডিরেক্টর নীলেশ এম দেসাই (Space Application Center, Nilesh M. Desai) জানান, এখনও পর্যন্ত আশা ছাড়ছেন না বিজ্ঞানীরা। সূর্যালোক থাকা পর্যন্ত চন্দ্রযান-৩ কে জাগানোর চেষ্টা চালানো হবে। এবার যদি জেগে ওঠার হয় তবে ল্যান্ডার বিক্রম অটোমেটিক্যালি সক্রিয় হয়ে উঠবে। সূর্যের আলোর জন্য যদি সোলার প্যানেলগুলি চার্জড আপ হয় তবে ফের সক্রিয় হয়ে উঠবে চন্দ্রযান-৩। যদিও নীলেশ এম দেসাই বলেন, বিক্রম ও প্রজ্ঞানের ঘুম থেকে ওঠার সম্ভাবনা ৫০-৫০ শতাংশ।
ইসরো এবং গগনযান সম্পর্কে পড়ুন : গগনযান মিশন নিয়ে বড় পদক্ষেপ! ১০ দিন বাদেই গগনযানের প্রথম পরীক্ষামূলক উড়ান!
প্রসঙ্গত, আমেরিকার একটি স্যাটেলাইট পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের উপরিভাগে ইতিমধ্যেই একটি গর্ত করে ফেলেছে। আয়োনোস্ফিয়ারে একটি গর্ত তৈরি করে ফেলেছে আমেরিকার ফোর্স স্যাটেলাইট (FORCE satellite), নাসার স্যাটেলাইট ওয়াইরিস রেক্স (NASA's satellite Wyris Rex)। ২০১৬ সালের ৮ ইসেপ্টেম্বর এটি ফ্লোরিডার স্পেস ফোর্স বেস থেকে যাত্রা শুরু করেছিল এই স্যাটেলাইট। ২০১৮ সালে ডিসেম্বরে পৃথিবী থেকে ১২০ কোটি মাইল দূরে অবস্থিত গ্রহাণু বেন্নুর কাছে পৌঁছেছিল সে। এরপর আরও দুই বছর পর ১০ সেকেন্ডের জন্য গ্রহাণুটিকে স্পর্শ করতে পেরেছিল নাসার এই স্যাটেলাইট। এবার সেই গ্রহাণু থেকে আড়াইশো গ্রাম ধুলো এবং পাথরের নমুনা নিয়ে আমেরিকায় ফিরল নাসার ওই রিটার্ন ক্যাপসুল। জানা গিয়েছে গবেষণায় কী পাওয়া গেল, তা আগামী ১১ অক্টোবর প্রকাশ করবে নাসা (NASA)।