Electric Bill Saving | গরমে নিশ্চিন্তে চালান এসি, ফ্যান, ফ্রিজ! কয়েকটি টোটকা মাথায় রাখলেই আসবে না ভয় ধরানো ইলেকট্রিক বিল!

Monday, May 6 2024, 1:32 pm
highlightKey Highlights

সম্প্রতি যখন রাজ্যে তাপমাত্রার পারদ ৪০ তখন কলকাতা এবং সংলগ্ন শহুরে এলাকায় রাতে একইসঙ্গে ১০ লাখ এসি চলেছে বলে জানা গিয়েছে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই অনেকের বাড়িতে এসি থাকলেও ইলেকট্রিক বিল বেশি আসার ভয়ে চালান না। এক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলেই বিদ্যুৎ বিল কম আসবে।


বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে বছরের পর বছর যেন গরম বেড়েই চলেছে। এদিকে গরমকে টেক্কা দিতে বাড়ছে সাধারণের এসি, ফ্রিজের ব্যবহারও। তবে গরমে কিছুটা স্বস্তি মিললেও এসির বাতাস যত ঠান্ডা হয়, ওইদিকে বিল তত চড়তে থাকে। আবার এসির সঙ্গে রয়েছে ফ্রিজ, টিভির বিলও। এই কারণেই অনেকে গরমে হাঁসফাঁস হালে এসি চালালেও খুব তাড়াতাড়ি তা বন্ধ করে দেন। বিদ্যুৎ বিল অফার (electricity bill offers) ব্যবহার করেও দাম কমানো যায়না। ফলে গরমে প্রত্যেক মাসেই গুনতে হয় মোটা টাকা। তবে এসি পছন্দমতো চালিয়েও এর বিল অনেকটাই কমানো যায়। তার জন্য মাথায় রাখতে হেব বিশেষ কিছু টিপস!

কীভাবে বিদ্যুৎ বিলে সাশ্রয় করবেন?

তাপপ্রবাহে পুড়ছে গোটা রাজ্য। ঘরে বাইরে স্বস্তি নেই কোথাও। এই সময়ে গরম থেকে খানিক স্বস্তি পেতে ঘরে ঘরে সব থেকে বেশি চলে এসি, ফ্যান, ফ্রিজ। কিন্তু এতেও শান্তি নেই। কারণ এক্ষেত্রে বড় চিন্তা ইলেকট্রিক বিল। বিদ্যুৎ বিল অফার (electricity bill offers) থাকলেও তা দিয়েও টাকার পরিমাণ সেভাবে কমে না। এক্ষেত্রে বিলের অর্থ পরিমাণ কমাতে যা যা বিষয় মাথায় রাখতে হবে-

  • যে কোনও বৈদ্যুতিক জিনিস যখন দোকান থেকে কিনবেন তা যেন ফাইভ স্টার দেওয়া যন্ত্র হয়ে। আক্রন এই সব প্রোডাক্টে বিদ্যুতের বিল কম ওঠে।
  • বাড়ির সব ইলেকট্রনিক জিনিস যেমন এসি, ফ্যান, চিমনি, ওয়াটার মেশিন, ফ্রিজ সব কিছু সার্ভিসিং করাতে হবে সময় মতো। এতে বিদ্যুত কম পোড়ে, সেই সঙ্গে জিনিস বেশি দিন ভাল থাকে।
  • এসি চালানোর সময় মাথায় রাখুন যে এসির তাপমাত্রা সব সময় ২৪ থেকে ২৭থাকে। এই তাপমাত্রায় রেখে সিলিং ফ্যান চালান। ঘর তাড়াতাড়ি ঠান্ডা হবে। প্রয়োজনে এসিতে টাইমার সেট করুন, যাতে ঘর ঠান্ডা হয়ে গেলে একটা সময় পর নিজে থেকে এসি বন্ধ হয়ে যায়। টানা এসি না চালানোই ভালো।
  • এসি চালিয়েই অনেকটা তাপমাত্রা কমিয়ে দেওয়া ঠিক নয়। প্রথমে ৩০-এর কাছাকাছি রেখে পরে কমান। এতে এসির কম্প্রসরে বেশি চাপ পড়ে না। অন্যদিকে অতি কম তাপমাত্রায় শরীর খারাপ হতে পারে। এসি বারবার অন অফ করলে কম্প্রেসরে চাপ পড়ে। ফলে বিল বাড়ে। তাই এসি কম অন অফ করুন।
  • এসি রিমোট দিয়ে বন্ধ করুন, তার পর ইলেকট্রিক সুইচ অর্থাৎ এসির সুইচ অফ করুন। এতেও বিল কম উঠবে।
  • এসি চালানোর সময় ঘরের দরজা জানালা সঠিকভাবে বন্ধ রাখতে হবে। নয়তো এসির কম্প্রেসরে চাপ পড়লে বিল বাড়তে থাকে।
  • মোবাইল চার্জ হয়ে গেলে ইলেকট্রিক সুইচ বন্ধ করতে ভুলবেন না। সব সময় সব সুইচ বন্ধ রাখুন। ইন্ডিকেটরের লাইটেও কিন্তু বিল ওঠে। সুইচ বন্ধ থাকলে বিল উঠবে না।
  • ফ্রিজের ক্ষেত্রে একটা তাপমাত্রা ফিক্সড করে রাখুন। অটো অফ অপশন থাকলে সেটাতে দিয়ে রাখুন। না থাকলে দিনের কিছু সময় ফ্রিজ বন্ধ রাখুন। এতেও কম বিল উঠবে।
  • অনেকের ধারণা, ফ্রিজ়ে বেশি জিনিসপত্র রাখলে বুঝি বিল বেশি ওঠে। এই ধারণা কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়। বরং ফ্রিজ় খালি অবস্থায় না চালানোই ভাল। এতে বিল বেশি ওঠে। ফ্রিজ়ে পর্যাপ্ত খাবার রাখুন।
  • প্রয়োজনীয় জিনিস বার করে নিয়ে অনেকেই ফ্রিজ়ের দরজা বন্ধ করতে ভুলে যান। এটি একদমই ঠিক নয়। ফ্রিজ়ের দরজা খুলে রাখলে ভিতরের ঠান্ডা বেরিয়ে যায়। কম্প্রেসারের উপর চাপ পড়ে। ফ্রিজ় নিজেকে ঠান্ডা রাখার জন্য বাড়তি বিদ্যুৎ খরচ করে। তাই জিনিস বার করে নেওয়ার পর ফ্রিজ়ের দরজা মনে করে বন্ধ করুন। এছাড়াও ফ্রিজ়ে গরম খাবার ঢুকিয়ে দেবেন না। কিছু ক্ষণ বাইরে রেখে ঠা‌ন্ডা করে, তবে ফ্রিজ়ে তুলবেন।
  • ফ্যানের ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির ইলেকট্রনিক্স রেগুলেটর ব্যবহার করুন। তাই দরকার না হলে রেগুলেটর কম করে ফ্যান চালান।
  • বাড়িতে নর্মাল টিউব বা বাল্বের বদলে সিএফএল বা এলইডি লাইট ব্যবহার করুন এতেও বিদ্যুতের বিল অনেক কমে যাবে।
  • টিভির ক্ষেত্রেও একটা নির্দিষ্ট সময় মেনে টিভি দেখুন। সকলে এক সঙ্গে বসে টিভি দেখুন। দেখা হয়ে গেলে সুইচ বন্ধ করে দিন।

প্রসঙ্গত, সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, কলকাতা ও সংলগ্ন যে যে এলাকায় বিদ্যুৎ বণ্টন করে সিইএসসি, সেইসব এলাকায় চলতি বছর ইতিমধ্যে দু'লাখ এসি বসানো হয়েছে। যে সংখ্যাটা ২০২৩ সালে ছিল দু'লাখ। মে এবং জুন মাস বাকি থাকায় সেই সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের মত। এমনকি কলকাতা এবং সংলগ্ন শহুরে এলাকায় রাতে একইসঙ্গে ১০ লাখ এসি চলেছে। গত সপ্তাহে যখন রাতের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে উঠে গিয়েছিল, তখন কলকাতা এবং সংলগ্ন শহরাঞ্চলের (সল্টলেক, নিউ টাউন, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলি) প্রায় প্রতি চারটি বাড়ির মধ্যে একটি বাড়িতে এসি চলেছে বলে জানা গিয়েছে।




পিডিএফ ডাউনলোড | Print or Download PDF File