Panchayat Election 2023 | কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের রায় পুনর্বিবেচনা করার আর্জি রাজ্য সরকারের! ভাঙড় পরিদর্শনে রাজ্যপাল!
৪৮ঘন্টার মধ্যে রাজ্যের সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের রায় পুনর্বিবেচনা করার জন্য আর্জি জানালো পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ভাঙড়ে বোমাবাজির ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান রাজ্যপাল।
পঞ্চয়েত নির্বাচন ২০২৩ (Panchayat Election 2023) শুরু হওয়ার আগেই, কেবল মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার দিনক্ষণের মধ্যেই রক্তাক্ত গোটা রাজ্য। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের (State Election Commision) তরফ থেকে নির্বাচনের দিনক্ষণের তারিখ ঘোষণা করতেই শুরু হয় তর্ক-বিতর্ক, বোমাবাজি, গোলাগুলি। গতকালই ভাঙড়ে (Bhangar) বোমাবাজিতে প্রাণ হারিয়েছেন চারজন। ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলতে আজ সেখানে পৌঁছেছেন রাজ্যপাল। এই অবস্থায় গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যের সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) মোতায়েনের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta Highcourt)। এবার সেই রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছে রাজ্য সরকার (State Government)।
নির্বাচনের দামামা বাজতে না বাজতেই রাজ্য জুড়ে কেবল সংঘর্ষ, বোমাবাজি,গোলাগুলি, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, খুনোখুনির ঘটনা উঠে আসছে শিরোনামে। এই পরিস্থিতি দেখে গত মঙ্গলবারই রাজ্যের সাত জেলাকে স্পর্শকাতর এলাকা বলে ঘোষণা করে সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দে কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি আদালত জানায়, যে যে এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা সম্ভব নয়, সেখানেও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। এমনকী পঞ্চায়েতের প্রত্যেক বুথে সিসিটিভি ক্যামেরা (CCTV Camera) বসানোর নির্দেশ দেয় আদালত। তবে মনোনয়নের দিনক্ষণ বাড়ানোর বিষয় কমিশনের উপর ছেড়ে দেয় আদালত।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন ঘিরে গত কয়েকদিনে, ভাঙড় জুড়ে দেখা গেছে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসের ছবি। প্রতিদিনই বোমাবাজি, গোলাগুলি। একই দিনে, আইএসএফ (ISF), তৃণমূল কর্মী (TMC) সহ মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। ঘটনায় আক্রান্ত হয়েছে সাংবাদিকও। তবুও এত ঘটনা ঘটার পরেও নিশ্চুপ থাকে পুলিশ। এই ঘটনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বৃহস্পতিবার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যের সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম (Chief Justice TS Sivagnanam) ও বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ (Justice Uday Kumar)। এমনকি এর জন্য যাবতীয় খরচ কেন্দ্র সরকার দেবে বলেই জানানো হয়।
তবে সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের এই রায় পুনর্বিবেচানার দাবি জানিয়ে রিভিউ পিটিশন (Review Petition) দাখিল করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকার। নবান্ন (Nabanna) সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছিল, আদালতের নির্দেশ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার চিন্তা ভাবনা শুরু করেছিল রাজ্য সরকার। তবে শেষমেশ কলকাতা হাইকোর্টের কাছে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও বৃহস্পতিবার আদালতের নির্দেশ মেনে চলার কথা জানিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা (State Election Commissioner Rajeev Sinha)।
অন্যদিকে, ভাঙড়ে বোমাবাজি ও উত্তপ্ত হয়ে ওঠার নেপথ্যে পুলিশের নিরব দর্শকের ভূমিকার অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগই সত্যি কি না এবং পুলিশের ভূমিকা চাক্ষুস দেখতে সেখানে পৌঁছান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose)। এদিন অর্থাৎ ১৬ই জুন শুক্রবার সন্ত্রাস বিধ্বস্ত এলাকা ঘুরে দেখার পাশাপাশি এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা তিনি। গতকাল কাঁঠালিয়ার বিজয়গঞ্জ বাজারেই লাগাতার গুলি ও বোমা চলে। সেই এলাকাও আজ পরিদর্শন করেন রাজ্যপাল। এদিন ভাঙড় ২ নং বিডিও অফিসে (BDO Office) গিয়ে সেখানে ব্লক আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলেন সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যপালের কাছে গতকালের ঘটনা সম্পর্কে নানান অভিযোগ জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। সেসব শুনে, তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন রাজ্যপাল সিভি বোস।
- Related topics -
- রাজনৈতিক
- রাজ্য
- রাজ্য সরকার
- কলকাতা হাইকোর্ট
- পঞ্চায়েত নির্বাচন
- পঞ্চায়েত
- কেন্দ্রীয় বাহিনী
- কেন্দ্রীয় সরকার
- রাজ্যপাল
- সিভি আনন্দ বোস
- মমতা ব্যানার্জী
- নবান্ন
- নির্বাচন কমিশনার
- নির্বাচন
- নির্বাচন কমিশন
- তৃণমূল কংগ্রেস
- আইএসএফ