Gyanvapi Masjid | জ্ঞানবাপীতে এএসআই সমীক্ষাতে 'হ্যাঁ' এলাহাবাদ হাইকোর্টের! তবে করা যাবে না খনন!

জ্ঞানবাপীতে বারাণসী আদালতের রায়কে মান্যতা দিয়ে সেখানে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার সমীক্ষার অনুমতি দিলো এলাহাবাদ হাইকোর্ট।
জ্ঞানবাপী মসজিদে (Gyanvapi Masjid) বৈজ্ঞানিক সমীক্ষায় ফের অনুমতি দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট (Allahabad High Court)। বারাণসী আদালতের (Varanasi Court) পর আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (Archaeological Survey of India) বা এএসআই-কে (ASI) জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে 'বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা'র ছাড়পত্র দিল উচ্চতর আদালতও। এই প্রসঙ্গে মসজিদ কমিটির আবেদন খারিজ করলেও মসজিদ চত্বরে কোনও খনন করা যাবে না।

গত ২১শে জুলাই আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়াকে মসজিদে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার অনুমতি দিয়েছিলো বারাণসী আদালত। নির্দেশ দেওয়া হয়, মসজিদের ওজুখানায় থাকা ‘শিবলিঙ্গ’ বাদে বাকি অঞ্চলের ‘বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা’ করবে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। সেই মতো রায়দানের মাত্র দু’দিন পরেই শুরু হয় সমীক্ষার কাজ। কিন্তু তাতে বাধা দিয়ে প্রতিবাদ জানায় মসজিদ কমিটি। এমনকি এলাহাবাদ হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে সমীক্ষা বন্ধ করার জন্য মামলাও করা হয় কমিটির পক্ষ থেকে। এরপর ৩রা অগাস্ট পর্যন্ত সমীক্ষায় স্থগিতাদেশ দেয় আদালত।

উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালে প্রথমবার জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে একটি মামলা করা হয় বারাণসী আদালতে। সেখানে দাবি করা হয়েছিল ঔরঙ্গজেবের নির্দেশে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের একটি অংশ ভেঙে এই মসজিদ তৈরি করা হয়। এরপর জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে পুজোর অনুমতি চেয়ে মামলা করা হয়েছিল। হিন্দুত্ববাদীদের দীর্ঘদিনের দাবি, মসজিদের গায়ে এখনও হিন্দুদের বহু নিদর্শন রয়ে গিয়েছে। এমনকি মসজিদের দেওয়ালে ত্রিশূলের ছাপ-সহ হিন্দু ধর্মের বহু নিদর্শন আছে। মসজিদের ওজুখানায় একটি শিবলিঙ্গ আছে বলেও দাবি হিন্দুত্ববাদীদের। তবে এটি মন্দির ভেঙে মসজিদ তৈরী করা হয়েছে তা প্রমাণ করার জন্য মামলাকারীরা এএসআই দ্বারা সমীক্ষার দাবি করে।

এএসআই সমীক্ষার দাবি করার পরও একাধিক মামলা হয়েছে। জ্ঞানবাপী মসজিদে ভিডিওগ্রাফি করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেই মতো ভিডিওগ্রাফি হয়েছিল। তারপরেই হিন্দু সংগঠনের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছিল, মসজিদের ভিতরে শিবলিঙ্গ রয়েছে। সেটির কার্বন ডেটিংয়ের দাবি করা হয়েছিল। যদিও মুসলিম মামলাকারীদের দাবি ছিল, সেটি একটি ফোয়ারার অংশ। পরে বারাণসী আদালত কার্বন ডেটিংয়ের দাবি খারিজ করে দেওয়া হয়। তবে থামেনি এই মন্দির-মসজিদ দ্বন্দ্ব নিয়ে মামলা।

এদিন অর্থাৎ ৩রা অগাস্ট বৃহস্পতিবার এলাহাবাদ হাই কোর্ট মসজিদ কমিটির আবেদন খারিজ করে জানায়, জ্ঞানবাপীতে এএসআই-এর সমীক্ষা চলবে। তবে মসজিদ চত্বরে অবশ্য কোনও খননকার্য করা যাবে না। খেয়াল রাখতে হবে যাতে কোনওভাবেই মসজিদের স্থাপত্যে কোনও ক্ষতি না হয়। এই বিসয়গুলি নিশ্চিত করেই সমীক্ষা চালাতে হবে বলেই নির্দেশ হাইকোর্টের।