দেশ

Same-sex marriage: সুপ্রিম কোর্টের পদক্ষেপে আশার আলো, সমলিঙ্গের বিবাহ বৈধ হবে দেশে?

Same-sex marriage: সুপ্রিম কোর্টের পদক্ষেপে আশার আলো, সমলিঙ্গের বিবাহ বৈধ হবে দেশে?
Key Highlights

বিশেষ বিবাহ আইনের অধীনে সমকামী বিবাহের স্বীকৃতির জন্য আবেদনকারীরা তাদের আবেদনে উল্লেখ করেছেন যে অ-স্বীকৃতি সংবিধানের ১৪ ও ২১ নং অনুচ্ছেদের অধীনে সাম্যের অধিকার এবং জীবনের অধিকারের লঙ্ঘিত হচ্ছে।

সম্প্রতি ‘স্পেশাল ম্যারেজ আইনে’র আওতায় সমলিঙ্গের বিবাহের আইনি স্বীকৃতির দাবি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন এক সমপ্রেমী যুগল।এই বিষয়ে রায় দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে নোটিশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এ বিষয়ে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্র সরকারকে জবাব চেয়ে পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

আবেদনে যে সমকামী বিবাহের অ-স্বীকৃতি সংবিধানের ১৪ এবং ২১ অনুচ্ছেদের অধীনে সাম্যের অধিকার এবং জীবনের অধিকারের লঙ্ঘন করছে। বিশেষ বিবাহ আইনের অধীনে দুই সমকামী দম্পতির বিয়ের স্বীকৃতি চেয়ে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। হায়দরাবাদে বসবাসকারী সমকামী দম্পতি সুপ্রিয় চক্রবর্তী এবং অভয় ডাং একটি আবেদন করেছিলেন। দ্বিতীয় আবেদনটি দায়ের করেছিলেন সমকামী দম্পতি পার্থ ফিরোজ মেহরোত্রা এবং উদয় রাজ। তারা এমন একটি নির্দেশনা চায় যে নিজের পছন্দের একজন ব্যক্তিকে বিয়ে করার অধিকার LGBTQ (লেসবিয়ান, গে, উভকামী, ট্রান্সজেন্ডার এবং কুইয়ার) ব্যক্তিদের কাছে প্রসারিত করা হয়।

২০১৮ সালে সমকামিতা নিয়ে যুগান্তকারী রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। "ভারতে সমকামিতা অপরাধ নয়" - ২০১৮ সালে হওয়া সমকামিতা নিয়ে যুগান্তকারী শীর্ষ আদালতের এই রায়ে ‘এলজিবিটিকিউ’ সম্প্রদায়ের মানুষদের দীর্ঘ দিনের দাবি পূরণ হয়েছিল। এই রায়ের পর এ দেশে সমপ্রেমী মানুষরা অনেকটাই ‘স্বাধীন’ হয়েছেন বলে মনে করেন অনেকে। এমনকি, এ নিয়ে সমাজে ভ্রান্ত ধারণাও অনেকটা দূর হয়েছে বলে মনে করেন কেউ কেউ। পাশাপাশি সমাজে সমপ্রেমীদের গ্রহণযোগ্যতাও আগের তুলনায় অনেকটা বেড়েছে।

২০১৮ সালের ওই রায়ের পরই এ দেশে সমলিঙ্গের বিবাহের আইনি স্বীকৃতির দাবি আরও জোরালো হয়। এমনকি, দেশের শীর্ষ আদালতের ঐতিহাসিক রায়ের পর দেশে সমপ্রেমের বিবাহও হয়েছে। কলকাতা, হায়দরাবাদ-সহ দেশের নানা শহরে সমপ্রেমের বিবাহের খবর শিরোনামে এসেছে।

বিশেষত উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের একটি পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ সর্বসম্মতিক্রমে ১৫৮ বছরের পুরানো ঔপনিবেশিক আইনের অংশটিকে আইপিসির ৩৭৭ ধারার অধীনে অপরাধমূলক ঘোষণা করে যা সম্মতিক্রমে অস্বাভাবিক যৌনতাকে অপরাধী করে।