Salt Biscuits | রোজ চায়ের সঙ্গে খাচ্ছেন নোনতা বিস্কুট? সাবধান! ক্যানসার থেকে শুরু করে প্রেশার, হার্টের অসুখ হওয়ার আশঙ্কা বাড়বে হু হু করে!
ক্যানসার এপিডেমিয়োলজি, বায়োমার্কাস অ্যান্ড প্রিভেনসনস নামের এক মার্কিন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, অতিরিক্ত বিস্কুট ডেকে আনতে পারে মারাত্মক বিপদ।
সকালে ঘুম থেকে উঠে খবর পড়তে পড়তে হোক কিংবা সন্ধ্যায় চায়ের দোকানে আড্ডা, সঙ্গে চাই-ই চাই 'চা'। তবে শুধু মুখে চা খেতে কেমন লাগে। তাই 'চায়ের সঙ্গে টা'। এই 'টা' হিসেবে অনেকেই খেয়ে থাকেন নোনতা বিস্কুট (Salt Biscuits)। মুখ চালাতে বিস্কুটের জুড়ি মেলা ভার। অনেকে আবার টিফিন নিয়ে যান বিস্কুট (Biscuit)। তাড়াতাড়ি ১ বা ২ বিস্কুট যেখানে-সেখানে খেয়ে নেওয়া সহজ। তার সঙ্গে যদি চা হয় তাহলে জমে যায়। তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চা বিস্কুট (Chai Biscuit) খাওয়া মোটেই শরীরের জন্য ভালো নয়। বিশেষ করে নোনতা স্ন্যাকস বিস্কুট (Snacks Biscuit)!
চায়ের সঙ্গে নোনতা বিস্কুট খেলে কী কী শারীরিক সমস্যা হয়? । What are the Physical Problems of Eating Salty Biscuits with Tea?
প্রেশার বাড়ে :
হাই ব্লাড প্রেশার একটি ঘাতক অসুখ। এই রোগ থেকে দূরে থাকতে অনেকে অনেক নিয়ম মেনে চলেন। তবে রোজ রোজ নোনতা বিস্কুট (Salt Biscuits) খাওয়ার অভ্যাস থাকলে কিন্তু রক্তচাপ বাড়বে। কারণ এইসব বিস্কুটে রয়েছে নুনের ভাণ্ডার যা কিনা শরীরে জল ধরে রাখে। আর দেহে জলের আধিক্য থাকলে যে অচিরেই প্রেশার বাড়বে। তাই আজই নোনতা বিস্কুট খাওয়া বন্ধ করতে হবে বিশেষ করে চায়ের সঙ্গে।
পেটের সমস্যা বাড়বে :
অনেকেই ময়দায় তৈরি খাবার সহ্য করতে পারেন না। আর সেই কারণেই তাঁরা নোনতা বিস্কুট (Biscuit) খাওয়ার পরই গ্যাস, অ্যাসিডিটির ফাঁদে পড়ে বেজায় কষ্ট পান। এমনকী এই বিস্কুটে কম পরিমাণে ফাইবার থাকার সুবাদে কোষ্ঠকাঠিন্যের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কাও বাড়ে। আর এইসব কারণেই পেটের সমস্যায় ভুক্তভোগীদের নিয়মিত নোনতা বিস্কুট খেতে বারণ করেন বিশেষজ্ঞরা।
লো ফাইবার ফুড :
এই ধরনের বিস্কুট তৈরির মূল উপাদান হল ময়দা। আর ময়দায় কিন্তু গমের ফাইবার অংশ থাকে না। আর সেই কারণেই এই ধরনের বিস্কুটের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেকটাই বেশি। ফলে চা বিস্কুট (Chai Biscuit) খেলে চট করেই বেড়ে যায় সুগার। তাই তো ডায়াবিটিস রোগীদের এই ধরনের বিস্কুট খেতে বারণ করেন বিশেষজ্ঞরা।
ওজন বৃদ্ধি :
বিস্কুট হল একটি বেকড প্রোডাক্ট। আর যে কোনও বেকড খাবারের মতো স্ন্যাকস বিস্কুট (Snacks Biscuit) এও বেশ কিছুটা পরিমাণে ফ্যাট মজুত থাকে। আর এই উপাদানই কিন্তু ওজন বাড়ানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। এমনকী হার্টের স্বাস্থ্যও খারাপ করে।
ক্যানসারের ঝুঁকি :
রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে বিস্কুটের কারণে। সুইডেনের কারোলিন্সকা ইনস্টিটিউটের গবেষকরা বলছেন, মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে স্ন্যাকস বিস্কুট (Snacks Biscuit) খাওয়ার ফলে অনেক সময় নারীদের গর্ভাশয়ে ক্যানসার বা টিউমার হওয়ার ঝুঁকি অনেকটা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে বিস্কুট খেলে ‘এন্ডমেট্রিয়াল ক্যানসার’-এর ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়।
ক্যানসার এপিডেমিয়োলজি, বায়োমার্কাস অ্যান্ড প্রিভেনসনস নামের এক মার্কিন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, অতিরিক্ত বিস্কুট ডেকে আনতে পারে মারাত্মক বিপদ। চিকিৎসক ও গবেষকরা বলছেন, বিস্কুট মানেই ময়দার আধিক্য। আর এই ময়দা শরীরের একাধিক ক্ষতি করতে পারে। দীর্ঘ ১০ বছর ধরে চলা আর একটি গবেষণায় জানা গিয়েছে, সুইডেনে ৬০ হাজারেরও বেশি নারী পেটের নানা সমস্যায় আক্রান্ত। আর আক্রান্তদের বেশির ভাগের মধ্যেই অতিরিক্ত পরিমাণে বিস্কুট খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। এছাড়া বিস্কুটে ট্রান্স ফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকায় রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা আর ওজন অস্বাভাবিক হারে বাড়াতে থাকে। এই ট্রান্স ফ্যাটের কারণে ডায়াবিটিস ও হৃদরোগের মতো নানা রোগের ঝুঁকিও বাড়তে থাকে। শুধু তাই নয়, নিয়মিত বিস্কুট খাওয়ার কারণে শিশুদের মধ্যে অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে। ফলে সুস্থ্য থাকতে চা বিস্কুট (Tea Biscuits) কম খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তাই সুস্থ-সবল ব্যক্তিরা মন চাইলে সপ্তাহে এক-আধদিন এক-দুটো নোনতা বিস্কুট খেতেই পারেন। তবে হার্টের অসুখ, ডায়াবিটিস, কিডনি ডিজিজ বা হাই ব্লাড প্রেশারের মতো অসুখ থাকলে এই বিস্কুটের থেকে দূরে থাকাই ভালো।
- Related topics -
- লাইফস্টাইল
- স্বাস্থ্য
- খাদ্য
- ক্যান্সার
- ক্যান্সার রোগী