অর্থনৈতিক

গোটা দেশে আরও কমলো পেট্রোল-ডিজেলের মূল্য! জানুন কতটা হ্রাস পেল জ্বালানির দাম?

গোটা দেশে আরও কমলো পেট্রোল-ডিজেলের মূল্য! জানুন কতটা হ্রাস পেল জ্বালানির দাম?
Key Highlights

সাধারণ মানুষের স্বস্তি মিলল। এক ধাক্কায় অনেকটাই কমে গেল পেট্রোল-ডিজেলের দাম। বিস্তারিত জানুন

দীর্ঘ সাত মাস পর দেশে সস্তা হতে চলেছে পেট্রোল-ডিজেল! ইতিমধ্যে গোটা দেশেই ১০০ পেরিয়ে গিয়েছে জ্বালানির দাম। আর এর প্রভাবে এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে পরিবহণ খরচ। সেখানে দাঁড়িয়ে বারবার দাম কমানোর বিষয়ে আওয়াজ উঠেছে। কেন সরকার এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা।
আর এই অবস্থায় বড় সিদ্ধান্ত তেল সংস্থাগুলি। 

কোন রাজ্যে কত করে হচ্ছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম? জানুন কতটা কমলো জ্বালানির দাম

তেল সংস্থা দীর্ঘ সাত মাস পর পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিল। ৪০ পয়সা করেই দাম কমতে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকেই নয়া দাম কার্যকর হতে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে। এর আগে ৭ এপ্রিল শেষবারের মতো তেলের দামে বেশ কিছু পরিবর্তন হয়েছিল। এমনকি ২২ মে সরকার পেট্রোলের উপর থেকে entral excise-এর অনেকটাই কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের পর একাধিক রাজ্য শুল্ক ছেড়ে দেয়। এর ফলে ১০০ টাকার নীচে অনেকটাই নেমে যায় তেলের দাম।

মঙ্গলবার সকাল থেকেই নয়া দাম কার্যকর হতে চলেছে। বলে রাখা প্রয়োজন, আজ সোমবার নয়া দিল্লিতে পেট্রোলের দাম ছিল 96.72 টাকা। মুম্বইতে এই তেলের দাম ১০৬ টাকা ৩১ পয়সা ছিল। কলকাতায় লিটার প্রতি পেট্রোল বিক্রি হয়েছে ১০৬ টাকাতে। অন্যদিকে চেন্নাইতে প্রায় ১০২ টাকাতে লিটারে পেট্রোল বিক্রি হয়েছে। 

ইউক্রেন যুদ্ধের বড় প্রভাব পড়ে গোটা বিশ্বেই। বাদ যায়নি জ্বালানিও। ইউক্রেনের উপর রাশিয়া আঘাত করতেই মার্চে ভয়ঙ্কর ভাবে বেড়ে যায় ক্রুড ওয়েলের দাম। ১৩৯ ডলার প্রতি ব্যারল পৌঁছে যায়। ২০০৮ সালের পর সর্বোচ্চ স্তরে ক্রুড ওয়েলের দাম পৌঁছে যায়। সম্প্রতি ক্রুড ওয়েলের দামে বড় পতন ঘটেছে। এই মুহূর্তে ব্যারল ৯৫ ডলারের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। এমনকি আরও দাম কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই অবস্থায় গত কয়েকদিন ধরেই দাম কমতে পারে বলে জোর চর্চা চলছিল। অবশেষে লিটারে ডিজেল এবং পেট্রোলে লিটারে ৪০ পয়সা করে কমানোর সিদ্ধান্ত নিল তেল সংস্থাগুলি। তবে যেভাবে গত কয়েকমাসে জ্বালানির দাম বেড়েছে সেখানে মাত্র কেন কমল ৪০ পয়সা! তা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। একই সঙ্গে আরও দাম কমানোর দাবি উঠেছে।