রাজ্য

অভিনবত্বের ছোঁয়া সাইকেলে! প্যাডেল করে নয়, সূর্যের আলোয় সাইকেল চালাছেন করিমপুরের এক বাসিন্দা

অভিনবত্বের ছোঁয়া সাইকেলে! প্যাডেল করে নয়, সূর্যের আলোয় সাইকেল চালাছেন করিমপুরের এক বাসিন্দা
Key Highlights

খরচ এবং শারীরিক খাটনি কিছুটা কমাতে সৌরশক্তিচালিত সাইকেল তৈরির চিন্তা-ভাবনা করেন করিমপুরের কেচুয়াডাঙ্গার বাসিন্দা চন্দন বিশ্বাস। যা তিনি বাস্তবায়িতও করেন।

প্রায় ১০ কিলোমিটার রাস্তা পেরিয়ে যেতে হয় অফিস। এই দীর্ঘ পথ সাইকেল নিয়েই যাতায়াত করতেন করিমপুরের কেচুয়াডাঙ্গার বাসিন্দা চন্দন বিশ্বাস। রোজ সাইকেল চালিয়ে যাতায়াতের কষ্ট লাঘব করতে নিজের উদ্যোগেই সৌরচালিত সাইকেল তৈরি করে ফেললেন তিনি। তাঁর এই প্রচেষ্টাকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন পরিবারের সদস্য থেকে পাড়াপড়শি-সহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্তারা।

কোন কিছু অসম্ভব নয়! নিজের চেষ্টায় সৌরচালিত সাইকেল বানিয়ে সকলকে চমকে দিলেন করিমপুরের কেচুয়াডাঙ্গার বাসিন্দা চন্দন বিশ্বাস

বর্তমানে বাজারে ব্যাটারি বা সৌরচালিত সাইকেলের অভাব নেই। তবে সেই সাইকেল কিনতে গেলে তাতে দামের খোঁচাও খেতে হবে বেশ। তাই মূলত সেই খরচ বাঁচাতেই সৌরশক্তিচালিত সাইকেল তৈরির চিন্তা-ভাবনা শুরু হয়েছিল করিমপুরের কেচুয়াডাঙ্গার বাসিন্দা চন্দন বিশ্বাস। চন্দনবাবু পেশায় একজন দলিল লেখক তাই প্রায় প্রতি দিনই তাকে রেজিস্ট্রি অফিসে যেতে হয়। নিজের সাইকেলে চেপে অফিসে যেতে পার করতে হত দীর্ঘ পথ। তবে ‘নতুন’ সাইকেলের দৌলতে তাঁর কায়িক শ্রম কিছুটা লাঘব হয়েছে। এ বার বাণিজ্যিক ভাবে এর উৎপাদন করতে চান তিনি।

চন্দন বিশ্বাস বললেন, ‘‘এই সাইকেল তৈরিতে সব মিলিয়ে মোট ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। উপযুক্ত স্পনসর পেলে এ বার সোলার সাইকেল তৈরির কাজে হাত দিতে পারব। এমন সাইকেল তৈরির অনেক বরাত পেলে এর খরচও কমে যাবে। সাইকেলপিছু তা ৩০ হাজার টাকায় নেমে আসবে।’’

তিনি আরও জানিয়েছেন, প্রথমে ব্যাটারির মাধ্যমে সাইকেল চালানোর ব্যবস্থা ছিল। তবে চার্জ দেওয়ার ঝক্কি এড়াতে নিজের পুরনো সাইকেলের মাথায় আস্ত একটা সোলার প্যানেল লাগিয়েছেন তিনি। যাতায়াতের পথেই সে সৌর প্যানেলের মাধ্যমে ব্যাটারি চার্জ হয়ে যায়। আলাদা করে চার্জ দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। এ সাইকেলের গড় গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় ৩৫ কিলোমিটার। পুরোপুরি চার্জে টানা ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারে এ সাইকেল।