রাজ্য

Scholarship | কেন্দ্রীয় স্কলারশিপ নিয়ে বড় ঘোষণা নবান্নের! এই মাসের মধ্যেই পড়ুয়াদের দিতে হবে সঠিক তথ্য!

Scholarship | কেন্দ্রীয় স্কলারশিপ নিয়ে বড় ঘোষণা নবান্নের! এই মাসের মধ্যেই পড়ুয়াদের দিতে হবে সঠিক তথ্য!
Key Highlights

প্রি ও পোস্ট ম্যাট্রিক কেন্দ্রীয় স্কলারশিপের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা নবান্নের। সময় মতো সঠিক তথ্য না দিলে বাতিল হতে পারে সরকারি বৃত্তির আবেদন।

পড়ুয়াদের স্কলারশিপ নিয়ে তৎপর রাজ্য সরকার। রাজ্যে তফসিলি জাতি ও অন্যান্য পশ্চাদপদ শ্রেণীর পড়ুয়াদের বৃত্তি নিয়ে আবেদন জানানোর পদ্ধতিতে ত্রুটি দূর করতে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। প্রি ও পোস্ট ম্যাট্রিক কেন্দ্রীয় স্কলারশিপ (Pre and Post Matric Central Scholarship)-এর জন্য চলতি মাসের ৩০ তারিখ অর্থাৎ ৩০ সে মে-র মধ্যে পড়ুয়াদের আবেদনে থাকা আধার কার্ড (Aadhar Card), শংসাপত্র, পারিবারিক আয়ের সার্টিফিকেট (Income Certificate) ও ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত ত্রুটি ঠিক করার নির্দেশ দিলো নবান্ন (Nabanna)। সঙ্গে খোলা হবে অনলাইন ওরিয়েন্টাশান ক্যাম্পও। স্কলারশিপ (Scholarship) যাতে না আটকে যায় তার জন্যই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ।

নবান্ন সূত্রে খবর, প্রি-মাট্রিক ও পোস্ট-মাট্রিক সরকারি বৃত্তির জন্য আবেদন করা পড়ুয়াদের এই বৃত্তি সংক্রান্ত বেশ কিছু ত্রুটি রয়েছে। যার ফলে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা পেতে সমস্যা হচ্ছে পড়ুয়াদের। জানা গিয়েছে, প্রি-মাট্রিক অর্থাৎ দশম শ্রেণী বা তার নিচু ক্লাসে পড়েন এমন তফসিলি জাতি (Scheduled Caste) ও অন্যান্য পশ্চাদপদশ্রেণীর (Backward Class) পড়ুয়ারা যারা এই সরকারি বৃত্তির জন্য আবেদন করেছেন তাদের মধ্যে অনেকেই সঠিক তথ্য দেন নি। দেখা গিয়েছে, অনেক পড়ুয়াই  আধার কার্ড ও জাতিগত শংসাপত্র আবেদনের সঙ্গে জমা দেয়নি। আবার অনেকে ভুল লিখেছেন আধার কার্ডের নম্বর (Aadhar Number)। অনেকে আবার দেননি পারিবারিক আয়ের সার্টিফিকেট। এছাড়াও অনেকে ভুল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর দিয়েছেন, নাহলে দেখা গিয়েছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে তার আধার কার্ড সংযোগ করা নেই (Bank-Aadhar Link)।

উল্লেখ্য, তফসিলি জাতি ও অন্যান্য পশ্চাদপদ শ্রেণীর পড়য়াদের জন্য কেন্দ্র সরকারের তরফ ও থেকে দেওয়া হয় প্রি-মাট্রিক ও পোস্ট-মাট্রিক সরকারি বৃত্তি। কেন্দ্রীয় এই প্রকল্পের বৃত্তি আধার বেসড পেমেন্ট সিস্টেমের (Aadhar Based Payment System) মাধ্যমে হওয়ার জন্যই প্রাপ্তির সংখ্যা বাড়ছে না এবং পড়ুয়ারাও গত বছর থেকে বৃত্তির টাকা পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছে নবান্ন।

সূত্রের খবর, তদন্তে দেখা গিয়েছে এই বৃত্তির আবেদনগুলি স্কুল থেকে অনলাইনে নির্দিষ্ট পোর্টালে করতে হয়। যার জন্য পড়ুয়াদের সাহায্য করতে প্রতিটি স্কুলেই এজন্য একজন নোডাল শিক্ষক (Nodal Teacher) থাকেন। তবে অনলাইনে আবেদন জানানোর সময় প্রয়োজনীয় তথ্য সংক্রান্ত বেশ কিছু ভুল ধরা পড়ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আধার কার্ড নম্বর ভুল দেওয়া হচ্ছে বলে ধারণা রাজ্য অনগ্রসর কল্যাণ দফতরের।

পড়ুয়ারা যাতে এই সরকারি বৃত্তি থেকে বঞ্চিত না হন তার জন্যই তৎপর হয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যে তফসিলি জাতি ও অন্যান্য পশ্চাদপদ শ্রেণীর পড়ুয়াদের এই বৃত্তি নিয়ে আবেদন জানানোর পদ্ধতিতে ত্রুটি দূর করতে চলতি গরমের ছুটির পর স্কুল খুললেই রাজ্য কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইন ওরিয়েন্টাশান শিবির (Online Orientation Camp) খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে নবান্ন। পাশাপাশি জানানো হয়েছে, স্কুলের যে শিক্ষকরা ছাত্রদের এই বৃত্তি পাওয়ার আবেদনপত্র তৈরি করার দায়িত্বে রয়েছে তাদেরই বাধ্যতামূলকভাবে এই শিবিরে যোগ দিতে হবে।

 ইতিমধ্যেই রাজ্যের অন্যাগ্রসর কল্যান সচিব সঞ্জয় বনশাল (Sanjay Bansal) এই বিষয়ে জেলাশাসকদের চিঠি দিয়ে জানান, ৩০ সে মে-র মধ্যে পড়ুয়াদের আবেদনের থাকা আধার কার্ড, শংসাপত্র, পারিবারিক আয়ের সার্টিফিকেট ও ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত ত্রুটি সংশোধন করে তা পেশ করতে হবে। এছাড়াও, স্কুলগুলির সঙ্গে জেলাশাসকদের যোগাযোগ করে দ্রুত কাজগুলি করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ ১৬ জুনের পর চলতি আর্থিক বছরের বৃত্তির জন্য পড়ুয়াদের কাছ থেকে আবেদন নেওয়া হবে।