আন্তর্জাতিক

বিশ্বের সব থেকে শক্তিশালী পারমাণবিক অস্ত্রধরই প্রধান লক্ষ্য! আমেরিকার চিন্তা বাড়াচ্ছে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র

বিশ্বের সব থেকে শক্তিশালী পারমাণবিক অস্ত্রধরই প্রধান লক্ষ্য! আমেরিকার চিন্তা বাড়াচ্ছে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র
Key Highlights

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান কিম জং উন এমনটাই জানিয়েছেন তাদের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে বিশ্বের সব থেকে শক্তিশালী পারমাণবিক শক্তির অধিকারী হওয়ার।

কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, পারমাণবিক অস্ত্র গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ১০০ জন বিজ্ঞানীর পদোন্নতি হয়েছে। সম্প্রতি উত্তর কোরিয়া পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম ব্যালিস্টি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে। সেই সময় উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান কিম জং উনের সঙ্গে তাঁর কিশোরী মেয়ে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, পরমাণু অস্ত্র বহনে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটি উত্তর কোরিয়া থেকে রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানতে সক্ষম হবে।

উত্তর কোরিয়ার সংগ্রহে রয়েছে ব্যাপক পরিমাণে পরমাণু অস্ত্র, আমেরিকার নিরাপত্তা এখন প্রশ্নের মুখে

শনিবার বক্তব্য রাখতে গিয়ে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান কিম জং উন বলেন, উত্তর কোরিয়া দেশ ও জনগণের মর্যাদা বজায় রাখতে ও দেশের সার্বভৌমত্ব বজায় রাখতে একটি পারমাণবিক বাহিনী তৈরি করেছে। উত্তর কোরিয়ার প্রধান লক্ষ্য হল বিশ্বের সব থেকে শক্তিশালী পরমাণ অস্ত্রধর দেশ গঠন করা। বর্তমানে উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক দিক থেকে যেভাবে শক্তিশালী হয়েছে, বিশ্বের কোনও দেশের সেই নজির নেই। উত্তর কোরিয়ায় শাসক কিম জং উন বলেন, Hwasong-17 - একটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, যা আমেরিকায় গিয়ে হামলা করতে সক্ষম। উত্তর কোরিয়ার প্রথম ও প্রধান লক্ষ্য হল বিশ্বের সব থেকে শক্তিশালী সেনাবাহিনী তৈরি করা।

১৮ নভেম্বর উত্তর কোরিয়া আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম। রাষ্ট্রসংঘের তরফে এর তীব্র নিন্দা করা হয়। রাষ্ট্রসংঘের তরফে জানানো হয়, এই ধরনের অস্ত্র আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও শান্তির বিরুদ্ধে প্রতিকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে। প্রসঙ্গত চলতি বছর উত্তর কোরিয়া একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে। তারমধ্যে যেমন রয়েছে, স্বপ্ল পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। তেমনি রয়েছে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। উত্তর কোরিয়ার ক্রমাগত পরমাণু শক্তি বৃদ্ধি আমেরিকা সহ ভারতের হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শনিবার দেশবাসীর উদ্দেশে কিম জং উন বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের পাশাপাশি পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম উন্নত প্রযুক্তির আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করতে সক্ষম হয়েছে।তবে এই বিষয়ে উত্তর কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করেনি। তবে কিম জং উনের এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ আমেরিকার পাশাপাশি বিশ্বের হুমকির কারণ হতে পারে বলে মনে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পিয়ংইয়ং আমেরিকাকে তাদের শত্রু বলে মনে করে। উত্তর কোরিয়ার সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, বর্তমানে তাদের কছে যে পরিমাণ পরমাণু শক্তি রয়েছে, তারা আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে সরাসরি লড়াই করতে সক্ষম।

অন্যদিকে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, উত্তর কোরিয়ার কাছে বর্তমানে যে পরিমাণ পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে, তা গোটা আমেরিকাকে উড়িয়ে দিতে সক্ষম। ১৮ নভেম্বর আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের সময় কিং জং উন নিজের মেয়ের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন। এই প্রথম কিম জং উন প্রকাশ্যে তাঁর মেয়েকে নিয়ে আসেন। কিশোরী মেয়েটি কালো রঙের ফারের কোট পরেছিলেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটি কিম জং উনের দ্বিতীয় সন্তান। তাঁর নাম জু এ।