বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

ISRO | চন্দ্রযান-৩ এর পর রবিবারে আরেক রকেট উৎক্ষেপণ করবে ইসরো! মহাকাশে নিয়ে যাবে কৃত্তিম উপগ্রহ!

ISRO | চন্দ্রযান-৩ এর পর রবিবারে আরেক রকেট উৎক্ষেপণ করবে ইসরো! মহাকাশে নিয়ে যাবে কৃত্তিম উপগ্রহ!
Key Highlights

৩০সে জুলাই সিঙ্গাপুরের তৈরী কৃত্তিম উপগ্রহ নিয়ে রকেট উৎক্ষেপণ করবে ইসরো। এই কৃত্তিম উপগ্রহ পৃথিবীতে পাঠাবে ভূস্থানিক তথ্য।

ইতিহাস গড়তে চলেছে চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3)। তবে এখানেই থেমে নেই ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। রবিবার আরও এক ইতিহাস গড়তে চলেছে ইসরো। রবিবারেই কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে বয়ে নিয়ে যাবে ইসরোর মহাকাশযান। ইতিমধ্যেই গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সফল হয়েছে ড্রেস রিহার্সাল পর্ব।

ইসরো জানিয়েছে,৩০শে জুলাই, রবিবার পিএসএলভি সি৫৬ (PSLV-C56) রকেট উৎক্ষেপণ করতে চলেছে ইসরো। সেদিন সকাল সাড়ে ৬টায় ইসরোর শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারের (ISRO's Satish Dhawan Space Center in Sriharikota) প্রথম লঞ্চ প্য়াড থেকে উৎক্ষেপণ করা হবে এই রকেকটি। সূত্রের খবর, সিঙ্গাপুরের (Singapore) ডিএস-সার (DS-SAR) কৃত্রিম উপগ্রহ বয়ে নিয়ে যাবে ইসরোর এই রকেট। এই মহাকাশ অভিযান ঘিরে চূড়ান্ত তৎপরতা ইসরোয়। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে।

সূত্রের খবর, ডিএস-এসএআর রকেটটি কোর আলোন (Core Alone) মোডে তৈরি করা হয়েছে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে সাধারণ রকেট উৎক্ষেপণের জন্য ব্যবহৃত ছয় স্ট্র্যাপের বুস্টারের প্রয়োজন পড়বে না। হালকা ওজনের উপযোগী কম বুস্টার ব্যবহার করেই হবে এই উৎক্ষেপণ। প্রাথমিক পেলোড হিসেবে বহন করবে ডিএস-সার স্যাটেলাইট। উল্লেখ্য, এর আগে পিএসএলভি-সি৫৫ (PSLV-C55) রকেট উৎক্ষেপণেও একই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছিল।

ইসরো সূত্রে খবর, ডিএস-সার কৃত্রিম উপগ্রহটিকে নিরক্ষীয় কক্ষপথের কাছে ৫ ডিগ্রি অবস্থানে, ৫৩৫ কিলোমিটার উচ্চতায় রাখা হবে। ৩৬০ কেজি ওজনের এই কৃত্তিম উপগ্রহটি সিঙ্গাপুরের ডিফেন্স সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি এজেন্সি ( Singapore's Defense Science and Technology Agency) অর্থাৎ ডিএসটিএ (DSTA) এবং এসটি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (ST Engineering) যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়েছে। মূলত ছবি তোলার কাজে লাগানো হবে এটিকে। পাশাপাশি পৃথিবীতে ভূস্থানিক তথ্যও পাঠাবে এই কৃত্তিম উপগ্রহ। ইজরায়েল এ্যারস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজের তৈরী একটি সিন্থেটিক অ্যাপারচার রেডার পে লোড (Synthetic Aperture Radar Payload) রয়েছে ডিএস-সার কৃত্রিম উপগ্রহে। জানা গিয়েছে, অত্যন্ত উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরী এই রেডারের মাধ্যমেই দিন-রাতের আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যাবে। পাশাপাশি জানা গিয়েছে, এটি ১ মিটার রেজলিউশনের ছবি তুলতেও সক্ষম। স্মার্টসিটি, প্রতিরক্ষা, জাতীয় নিরাপত্তা পরিষেবায় যুক্তসংস্থা এসটি ইঞ্জিনিয়ারিং বাণিজ্যিক স্বার্থে ওই ছবি ব্যবহার করবে।

ডিএস-সার-এর এর পাশাপাশি আরও ছয়টি উপগ্রহ বহন করবে ইসরোর পিএসএলভি-সি৫৬। যার মধ্যে রয়েছে, ভেলোক্স-এএম মাইক্রোস্যাটেলাই (VELOX-AM Microsatellite), আরকেড (ARCADE) পরীক্ষামূলক উপগ্রহ, কুব-২ (SCOOB-2), থ্রিইউ (3U) ন্যানোস্যাটেলাইট ফ্লাইং টেকনোলজি ডেমনস্ট্রেটর পেলোড (Nanosatellite Flying Technology Demonstrator Payload), নুস্পেসের নুলিয়ন(NuLIoN), গ্যালাসিয়া-২ (Galasia-2),  ওআরবি-১২ স্ট্রিডার (ORB-12 STRIDER) কৃত্রিম উপগ্রহ। জানা গিয়েছে, থ্রিইউ ও  গ্যালাসিয়া-২ একটি ন্যানো স্যাটেলাইট যা পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করবে।

প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই ২৫সে জুলাই কক্ষপথের পঞ্চম ধাপ অতিক্রম করেছে চন্দ্রযান ৩। ইসরো জানিয়েছে, সব ঠিক থাকলে আগামী মাসের ২৩-২৪ তারিখে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করবে চন্দ্রযান। এরপর পিএসএলভি উৎক্ষেপণেও সাফল্যের হার ৯৪ শতাংশ হতে পারে বলে জানিয়েছে ইসরো। এই উৎক্ষেপণ সফল হলে কেবল ভারতই (India) নয় সাফল্য পাবে গোটা বিশ্বই।