Mrinal Sen | তাঁর ছবিতে বার বার ফুটে উঠেছে নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্ত শ্রেণির সংগ্রাম! বাংলা চলচিত্র জগতে নতুন ধারার প্রবর্তন করেন কিংবদন্তি মৃণাল সেন!

Tuesday, May 14 2024, 9:47 am
highlightKey Highlights

কেউ তাঁকে বলেন 'সংলাপের জাদুকর', কেউ বলেন 'পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখানো সবথেকে বলিষ্ঠ চোখ'। প্রথম ছবি 'রাতভোর' থেকে শেষ ছবি 'আমার ভুবন' পেরিয়েও যাঁর মনন ও কাজের বিস্তার দিগন্তবিস্তৃত। সত্যজিতের সৃজন-ভাবনার বিপরীত বিন্দু থেকেই তাঁর ছবি করা শুরু। বাংলা সিনেমা জগতে এক নতুনের সূচনা করেছিলেন মৃণাল সেন।


বাংলা সিনেমা (bengali movie) জগতের কিংবদন্তী মৃণাল সেন (Mrinal Sen)। এই নামটির সঙ্গে ভীষণভাবে জড়িয়ে আছে এক অন্য কলকাতার গন্ধ। যে কলকাতায় বহু মানুষের চোখে ছিল দিনবদলের স্বপ্ন, আটপৌরে মধ্যবিত্ততায় মিশে ছিল ভীষণ স্মার্ট আর্ন্তজাতিকতা। যে কলকাতার নিজের মাটিতে দাঁড়িয়ে কথা বলত গোটা বিশ্বের সঙ্গে। মেধার ঊৎকর্ষের মূল্য বেশি ছিল যে তিলোত্তমায়। ধরাবাঁধা কাঠামোর বাইরে তিনি সিনেমা বানিয়েছেন মৃণাল সেন। কেউ তাঁকে বলেন 'সংলাপের জাদুকর', কেউ বলেন 'পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখানো সবথেকে বলিষ্ঠ চোখ'। প্রথম ছবি 'রাতভোর' থেকে শেষ ছবি 'আমার ভুবন' পেরিয়েও যাঁর মনন ও কাজের বিস্তার দিগন্তবিস্তৃত। সত্যজিতের সৃজন-ভাবনার বিপরীত বিন্দু থেকেই তাঁর ছবি করা শুরু। বাংলা সিনেমা(bengali movie) জগতে এক নতুনের সূচনা করেছিলেন তিনি। মৃণাল সেনের সিনেমা (Mrinal Sen Movies) এর হাত ধরে উত্থান হয়েছে বহু অভিনেতা, শিল্পীদের। যাদের মধ্যে বোধহয় অন্যতম অঞ্জন দত্ত (Anjan Dutt)। সুখ্যাত সংগীতশিল্পী-অভিনেতা অঞ্জন বলেন, মৃণালবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ ৪২ বছরের। এটা যোগাযোগের থেকেও বেশি কিছু। বন্ধুত্বের, ঝগড়াঝাঁটির, ভালোবাসার আন্তরিক সম্পর্ক ছিল মৃণাল সেন ও অঞ্জন দত্ত (Anjan Dutta) এর মধ্যে। ২০২৩ সালেই কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে মৃণালকে নিয়ে অঞ্জনের বানানো সিনেমা 'চালচিত্র এখন' দেখানো হয়। সেখানে ‘স্পেশাল জুরি অ্যাওয়ার্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল কম্পিটিশন অন ইনোভেশন ইন মুভিং ইমেজেস’ বিভাগে সিনেমাটি পুরস্কার পায়। সম্প্রতি প্রেক্ষাগৃহ এবং ওটিটির পর্দায় দর্শকদের জন্য আসে সিনেমাটি।

১৯২৩ সালের ১৪ ই মে বাংলাদেশের ফরিদপুরে জন্ম মৃণাল সেনের। ফরিদপুরে থাকাকালীন তিনি সেখানেই উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষা সম্পন্ন করেন। হাইস্কুলের পড়াশোনা শেষ করে তিনি কলকাতায় চলে যান। পদার্থবিদ্যা নিয়ে স্কটিশ চার্চ কলেজে পড়াশোনা করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। চল্লিশের দশকে তিনি সমাজবাদী সংস্থা ইন্ডিয়ান পিপলস থিয়েটার অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যুক্ত হন এবং এর মাধ্যমে তিনি সমমনা মানুষদের নিকটে আসেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করে তিনি সাংবাদিক, ওষুধ বিপণনকারী এবং চলচ্চিত্রে শব্দকুশলী হিসেবেও কাজ করেন।

 মৃণাল সেন যৌবনের শুরুতে একটি রাজনৈতিক কাজ হিসেবেই চলচ্চিত্রকে দেখেছিলেন, জীবনের শেষ ছবি অবধি তাই দেখে গিয়েছেন। আজীবন বামপন্থায় বিশ্বাসী ছিলেন তিনি। মৃণাল সেন কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়ার সাংস্কৃতিক কাজকর্মের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন।  ১৯৫৫ সালে ‘রাত ভোর’ ছবির মাধ্যমে পরিচালনা শুরু করেন মৃণাল সেন। তাঁর পরের ছবি ছিল ‘নীল আকাশের নীচে’। ‘বাইশে শ্রাবণ’ এবং ‘ভুবন সোম’ ছবির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পরিচিতি পান তিনি।  ১৯৮০ সালে আসে চলচ্চিত্র ‘আকালের সন্ধানে’। চলচ্চিত্র কলাকুশলীদলের একটি গ্রামে গিয়ে ১৯৪৩ খ্রিষ্টাব্দের দুর্ভিক্ষের উপর একটি চলচ্চিত্র তৈরির কাহিনি ছুঁয়ে গিয়েছিল পুরো চলচ্চিত্র বিশ্ব। কীভাবে ১৯৪৩ এর দুর্ভিক্ষের কাল্পনিক কাহিনি মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় সেই গ্রামের সাধারণ মানুষদের সাথে সেটাই ছিল এই চলচ্চিত্রের সারমর্ম। সিনেমাটি ১৯৮১ সালের বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বিশেষ জুরি পুরষ্কার হিসাবে রুপোর ভালুক জয় করে। মৃণাল সেনের পরবর্তী সময়ের ছবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘খন্ডহর (১৯৮৪) ‘মহাপৃথিবী (১৯৯২)’ এবং ‘অন্তরীন (১৯৯৪)’। তার নির্মাণে শেষ সিনেমা ‘আমার ভুবন’ মুক্তি পায় ২০০২ সালে। মৃণাল সেনের হাত ধরে বাংলা চলচিত্র জগতে এক নতুন ধারার প্রবর্তন শুরু হয়। ২৮টি পূর্ণদৈর্ঘ্য ও ৪টি তথ্যচিত্র নির্মাণ করেছেন মৃণাল সেন। ১৯৯৩ সালে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে সম্মানসূচক ডিলিট পদকে ভূষিত করে। ১৯৯৬ ও ১৯৯৯ সালে যথাক্রমে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে একই সম্মান জানান। পদ্মভূষণ, দাদাসাহেব ফালকেসহ অনেক পুরষ্কার দ্বারা সম্মানিত হন মৃণাল সেন। 

বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম পথিকৃৎ মৃণাল সেনের বিখ্যাত কিছু সিনেমা :

কিংবদন্তি চিত্রপরিচালক মৃণাল সেন, এমন একজন স্রষ্টা, যিনি বিশ্বাস করতেন কম খরচে ভালো ছবি তৈরি করা সম্ভব। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে উপভোগ করতেন তিনি। এমনকি মৃণাল সেনের সিনেমার শুটিংয়ে একসঙ্গে পাত পেড়ে খেতেন সবাই- পরিচালক, নায়ক থেকে শুরু করে কলাকুশলীদের প্রত্যেকে। উঁচুনিচুর ভেদ ছিল না সেখানে।  ধরাবাঁধা কাঠামোর বাইরে মৃণাল সেন একাধিক সিনেমা বানিয়েছেন। প্রখ্যাত ‘কলকাতা ট্রিলজি’ ছাড়াও মৃণাল সেনের আরও বেশ কয়েকটি প্রশংসিত সিনেমা রয়েছে, যেমন-

‘বাইশে শ্রাবণ’ : ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে মৃণাল সেন হয়ে উঠতে আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছিল এই সিনেমা। যুদ্ধের পটভূমিতে নির্মিত ছবিতে অভিনয় করেন মাধবী মুখ্যাপাধ্যায়।

‘ভুবন সোম’ : উৎপল দত্ত অভিনীত সিনেমাটিকে আধুনিক ভারতীয় সিনেমার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসেবে মনে করা হয়। এই ছবি দিয়ে সিনেমার দুনিয়ায় যাত্রা শুরু করেন অমিতাভ বচ্চন। ছবিটিতে কণ্ঠ দিয়েছিলেন তিনি।

‘আকাশ কুসুম’ : নিজেকে ‘ধনী’ দেখাতে বন্ধুর কাছ থেকে গাড়ি ধার করে এক তরুণ, প্রেমে পড়ে এক ধনীর দুলালির। এরপর মিথ্যা বলার কড়া মূল্য চুকাতে হয়। ছবিটি দিয়ে সমাজের শ্রেণিবৈষম্য তুলে ধরেছেন পরিচালক। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, অপর্ণা সেন অভিনীত ছবিটির পরে হিন্দি রিমেকও হয় মঞ্জিল নামে।

‘ইন্টারভিউ’ : ‘কলকাতা’ ট্রিলজির প্রথমটিতে অভিনয় করেন রঞ্জিত মল্লিক। কলকাতার সে সময়ের উত্তাল দিনগুলোর ছাপ স্পষ্ট হয়ে ওঠে ছবিতে। মৃণাল সেনের এই সিনেমায় (Mrinal Sen Movies) সাধারণ মানুষের জীবনের চিত্র তুলে ধরেন পরিচালক, তাই ছবির অভিনেতা যখন দর্শকের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন, তখন সেটা দর্শককে আরও স্পর্শ করে।

‘কলকাতা ৭১’ : কলকাতার আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক পটপরিবর্তন, খাদ্যসংকট, সত্তরের নকশাল আন্দোলন উঠে এসেছে ছবিতে। এটি চারটি আলাদা গল্পের সমষ্টি। সমরেশ বসু, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রবোধ সান্যাল ও মৃণাল সেনের গল্প অবলম্বনে ছবিটিতে অভিনয় করেছেন মাধবী মুখোপাধ্যায়।

‘পদাতিক’ : কলকাতা ত্রয়ীর শেষটিতেও সেই সময়ের কলকাতার আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন পরিচালক। এক রাজনৈতিক কর্মীকে নিয়ে লেখা গল্পে প্রধান চরিত্র করেন ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়।

‘এক দিন প্রতিদিন’ : এক মধ্যবিত্ত পরিবারের কর্মজীবী নারীকে নিয়ে উদ্বিগ্ন পরিবার। কিন্তু এই উদ্বেগ নারীকে নিয়ে নাকি পরিবারের প্রধান উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারানোর শঙ্কা থেকে—সমাজের প্রতি সে প্রশ্ন ছুড়ে দেন পরিচালক। ছবিত অভিনয় করেছেন মমতা শঙ্কর।

‘মৃগয়া’ : ভারতে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক ও স্থানীয় গ্রামবাসীর মধ্যে সম্পর্ক, ভারতীয় ভূস্বামীদের শোষণচিত্র দেখিয়েছেন পরিচালক। ছবিতে অভিনয় করে সেরা অভিনেতা হিসেবে ভারতের জাতীয় পুরস্কার পান মিঠুন চক্রবর্তী।

‘খণ্ডহর’ : হিন্দি ছবিটি তৈরি হয়েছে প্রেমেন্দ্র মিত্রের ছোটগল্প অবলম্বনে। শাবানা আজমি, নাসিরউদ্দিন শাহ অভিনীত ছবিটি প্রদর্শিত হয় কান চলচ্চিত্র উৎসবের আঁ সার্ত্রে রিগা বিভাগে।

‘আকালের সন্ধানে’ : সিনেমার শুটিংয়ে একটি দল গ্রামে আসে। সিনেমার বিষয় তেতাল্লিশের মন্বন্তর। ছবির মাধ্যমে সেই সময়ের মানুষের চরম অবস্থাকে তুলে ধরতে চান পরিচালক। কিন্তু তেতাল্লিশের সঙ্গে ১৯৮০ সালের যোগ ঘটিয়ে ছবিটিতে অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছেন মৃণাল সেন। অমলেন্দু চক্রবর্তীর গল্প অবলম্বনে ছবিতে অভিনয় করেছেন ধৃতিমান চ্যাটার্জি, স্মিতা পাতিল।

অঞ্জন দত্ত ও মৃণাল সেন!

অঞ্জন দত্ত (Anjan Dutt) ও  মৃণাল সেনের বয়সের ফারাক অন্তত তিরিশ বা একত্রিশ বছরের। তবুও দুজনের সম্পর্ক পিতা ও সন্তানের মতোই। কিন্তু ছিলেন গুরু-শিষ্য। পিতৃসম মৃণাল সেনের জন্মশতার্ষিকীতে পুত্রসম অঞ্জন দত্তর শুধু আন্তরিক নয়, বন্ধুত্বে, ভালোবাসায়, শ্রদ্ধায়, রাজনীতির শিক্ষায়, জীর্ণ পুরাতন কলকাতাকে ঘৃণা-ভালোবাসায় বুকের কাছে আবার টেনে নিয়ে মনের সুখে গান গেয়ে উঠে তাঁর প্রতি এক সিনেমাটিক অবিচুয়ারি ‘চালচিত্র এখন’।  ১৯৮১ সালে মৃণাল সেনের ‘চালচিত্র’ সিনেমা দিয়ে অভিনয়ে নাম লিখিয়েছিলেন অঞ্জন দত্ত (Anjan Dutta)। তখন অঞ্জন একজন তরুণ। সেই থেকে সম্পর্কের শুরু। মৃণাল সেনকে নিয়ে তৈরী করা ‘চালচিত্র এখন’ গল্প কীভাবে মাথায় আসল সে প্রসঙ্গে অঞ্জন বলেন, তাঁর কাজ, কলকাতার ওপর গান লেখা, কলকাতাকে ভালোবাসা সবটাই হয়েছে মৃণাল  সেনের জন্য। এমনকি একসময়ে কলকাতা ছেড়ে যেতে চাইলছিলেন অঞ্জন দত্ত। আর তখনই মৃণাল সেনের জন্য কলকাতাকে মিস করা শুরু করেন অঞ্জন।

এই যে আমি আজকে কাজ করে খাচ্ছি, কলকাতার ওপর গান লিখে, কলকাতাকে ভালোবাসে, সেটা মৃণাল সেন না হলে হতই না। আমি একসময় কলকাতাকে ঘৃণা করে কলকাতা ছেড়ে যেতে চাইলাম। তখন দেখি কলকাতাকে মিস করতে শুরু করলাম, মৃণালদার জন‌্য।

অঞ্জন দত্ত

অঞ্জন দত্তের ছবির ফরম্যাট মৃণাল সেনের ছবির মতোই ছকভাঙা, রীতিবরুদ্ধ, সিনেমা তৈরির শট, সিনেমা তৈরির বাইরের শট পাশাপাশি একাকার। জীবন ও বাস্তব সমান্তরাল ভাবেই এসেছে ছবিতে। আশির দশকে মৃণাল সেনের ইউনিটের চেনা মানুষগুলোর অন্য নামে উপস্থিতি – মহাজন হয়েছেন মাধবন (সুপ্রভাত), গীতা হয়েছেন মিতা(বিদীপ্তা), মুকুল হয়েছেন বিপুল (শুভাশিস), উৎপল হয়েছেন উজ্জ্বল (শেখর)। কুণাল সেনের বাড়ির অন্তরঙ্গ পরিবেশটিও পরিচ্ছন্নতা ও স্নিগ্ধতায় ভরা। বিনম্র শ্রদ্ধায় তৈরি এই ছবির শরীরে অঞ্জন বাহারি রঙিন এক গানের চাদর জড়িয়ে দিয়েছেন। মৃণাল সেনের দৈনন্দিন ব্যবহারিক ভালো-মন্দ সব দিকগুলোই অঞ্জন সুন্দর রপ্ত করেছেন চলচ্চিত্রে। আসলে গভীর ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও আন্তরিকতার শুধু ছোঁয়া নয়, মনন ও মানবিকতা দিয়ে বিগ্রহ তৈরির এক দৃষ্টান্ত এই ছবি।

পা থেকে মাথা পর্যন্ত একজন আর্ন্তজাতিক মানুষ ছিলেন মৃণাল সেন। সমকালীন বিশ্বের তাবড় তাবড় পরিচালকরা ছিলেন তাঁর কাজের অনুরাগী। অথচ তাঁর শিকড় ছিল কলকাতার গভীরে প্রোথিত। এই শহরের পিচের রাস্তায় সাদা পাাজামা পাঞ্জাবি পরা মৃণালের শুয়ে পড়ার দৃশ্যটি বাংলা সিনেমার অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞাপন। এই কলকাতা শহরের হাসি, রাগ, অভিমান, কান্না ও আপস করেছিলেন মৃণাল সেন।




পিডিএফ ডাউনলোড | Print or Download PDF File