শিক্ষা ব্যবস্থা

'আন্দোলনকারীদের দাবি আইনসম্মত নয়', স্বচ্ছ নিয়োগ প্রসঙ্গে জানালেন ব্রাত্য বসু

'আন্দোলনকারীদের দাবি আইনসম্মত নয়', স্বচ্ছ নিয়োগ প্রসঙ্গে জানালেন ব্রাত্য বসু
Key Highlights

টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা এখনও পর্যন্ত আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। এই আন্দোলন প্রসঙ্গে এবার মুখ খুললেন ব্রাত্য বসু

প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসের সামনে প্রায় কয়েক ঘন্টা কেটে যাওয়ার পরও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। এই বিষয়ে সরকারের তরফে কোনও বার্তা না দেওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে বলে হুঁশিয়ারি আন্দোলনকারী চাকরি প্রার্থীরা। তাই এবার এই বিষয়ে নিজের বক্তব্য রাখলেন শিক্ষামন্ত্রী। কী বললেন তিনি? আসুন জেনে নেওয়া যাক

ধর্না না দিয়ে হাইকোর্টে যাওয়ার কথা বললেন শিক্ষামন্ত্রী, অনশনের জেরে ব্যহত হচ্ছে পর্ষদের কাজ

আন্দোলনক নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। আজ বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। সেখানে চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন প্রসঙ্গে কথা বলেন। ব্রাত্য বসু বললেন, "চাকরিপ্রার্থীদের দাবি আইনসম্মত নয়৷ সরকার স্বচ্ছ ভাবে নিয়োগ করতে চায়। আর তাই এক্ষেত্রে কোনও সুপারিশ মানা হবে না। এমনকি এই বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশ তাঁর উপর রয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী। " শুধু তাই নয়, আন্দোলনকারীদের ধর্না আইন সম্মত নয় বলেও দাবি তাঁর। আর এহেন দাবির পরেই আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে স্পষ্ট বার্তা, আন্দোলন চলবে। 

আর এরপরেই আন্দোলন প্রসঙ্গে তাঁর বার্তা, একদল নিয়োগ প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে চাইছে। তবে নিয়োগ নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ, স্কুল সার্ভিস কমিশনের উপর সম্পূর্ণ ভাবে ভরসা রাখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন ব্রাত্য বসু। বলে রাখা প্রয়োজন, ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্নরা গত তিন দিন ধরে বিউক্ষভ দেখাচ্ছেন।

তাঁদের দাবি, দ্রুত তাঁদের নিয়োগ করতে হবে। অনেকের বয়স ৪০ পেরিয়ে গিয়েছে। ফলে নতুন করে পরীক্ষাতে বসা সম্ভব নয় বলে দাবি টেট উত্তীর্নরা। যদিও পর্ষদ সভাপতির দাবি, সবাইকেই ইন্টারভিউতে বসতে হবে। আইনের বাইরে কেউ নয়। আজ বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন গৌতম পাল। বোর্ড পরিচ্ছন্ন এবং স্বচ্ছ ভাবে নিয়োগ করতে বলে জানান তিনি।

তবে আন্দোলনকারীদের আন্দোলন আইনত নয় বলেও দাবি পর্ষদ সভাপতির। অন্যদিকে, করুণাময়ীতে রাস্তা আটকে টেট উত্তীর্ণদের বিক্ষোভের জেরে দফতরের কাজ ব্যহত হচ্ছে। কর্মীরা দফতরে প্রবেশ করতে পারছেন না। তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এমনই অভিযোগ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। জরুরি ভিত্তিতে এই মামলার শুনানির আর্জি জানানো হয়েছে।