বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

Food Delivery by E- Scooter | ই-স্কুটারে খাবার ডেলিভারি দেবে জোম্যাটো

Food Delivery by E- Scooter | ই-স্কুটারে খাবার ডেলিভারি দেবে জোম্যাটো
Key Highlights

পরিবেশ সুস্থ রাখতে এবার ইলেকট্রনিক স্কুটারের মাধ্যমেই খাবার ডেলিভারি দেবে জোম্যাটো।

এবার থেকে আপনার খাবারের ডেলিভারি পাবেন ই স্কুটারের মাধ্যমে। আগামী বছর থেকেই জোম্যাটো (Zomato) ডেলিভারির পার্টনার হিসেবে সুবিধা পাবেন য্যাপ (Zypp) ইলেকট্রনিক স্টার্টআপের ইলেকট্রনিক স্কুটির দ্বারা। 


জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালেই খাবার ডেলিভারির জন্য প্রায় ১ লক্ষ বৈদ্যুতিক স্কুটার বা ই-স্কুটার (Electric Scooter) স্থাপন করার পরিকল্পনা করছে জোম্যাটো। ডেলিভারি পার্টনার হিসেবে দেশের বিভিন্ন শহরে লাস্ট মাইল ডেলিভারি দেবে য্যাপ।

বর্তমানে দেশে প্রায় ১৩ হাজারেরও বেশি ইলেকট্রনিক গাড়ি চলে। যার ফলে গাড়ি থেকে বেরোনো কার্বনের পরিমাণ কমেছে ৩৫মিলিয়ন কেজিরও বেশি। ইলেকট্রনিক বাইকের মাধ্যমে খাবার ডেলিভারি করে এই পরিমাণকে কমিয়ে ১ কোটিতে আনতে চায় ফুড ডেলিভারি এই কোম্পানি জোম্যাটো। এই প্রসঙ্গে য্যাপ কোম্পানি জানায়," দ্য ক্লাইমেট গ্রুপের ইভি১০০" (The Climate Group EV100) পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০৩০ সালে জোম্যাটো পুরোপুরিভাবে ইলেকট্রনিক গাড়ি ও বাইকের ভিত্তিতে কাজ করবে যার অংশীদার হিসেবে থাকবে য্যাপ।  


য্যাপ কোম্পানির সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সিওও তুষার মেহতা জানান, খাবার ডেলিভারির কাজ বিশেষ করে থাকে পেট্রোলে চলা দু চাকার বাইকগুলো। যা থেকে নিগম হয় পরিবেশ ক্ষতিকারক প্রচুর পরিমাণে কার্বন (Carbon)। কিন্তু প্রচুর অর্থ ব্যয়ের জন্য ইলেকট্রনিক বাইক ব্যবহার করাও সমস্যার। তাই কম খরচেই ইভি ফ্লিট ম্যানেজমেন্ট (EV Fleet Management) প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনী দ্বারা ইলেকট্রিক স্কুটার তৈরি করার ও তা খাবার ডেলিভারির জন্য ব্যবহার করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। 

প্রসঙ্গত, পরিবেশকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা করতে ও প্রাকৃতিক জ্বালানী সঞ্চয় করতে ধীরে ধীরে সব কিছুই পরিণত হচ্ছে ইলেকট্রনিক প্রযুক্তিতে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ইলেকট্রনিক গাড়ি। ইতিমধ্যেই ইলেকট্রনিক গাড়ি হিসেবে বিশ্বের অন্যতম সফল ইভি কোম্পানির তালিকায় নাম লিখিয়েছে টেসলা (Tesla), মার্সিডিজ বেঞ্জ (Mercedes Benz), টাটা (Tata), এমজি, জিএম, অডি (Audi), হুন্ডাই, (Hundai) নিসান (Nisaan), বিএমডব্লিউ (BMW) এবং রেনল্ট সহ অন্যান্যরাও। 

পরিবেশ বান্ধব হওয়া ছাড়াও ইলেকট্রনিক গাড়ি চালানোতেও রয়েছে বেশ কিছু সুবিধা। গিয়ার না থাকায় কোনো জটিল নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই চমৎকার ড্রাইভিং অভিজ্ঞতা দেয় এই গাড়ি। এছাড়াও সাধারণ গাড়ির থেকে এই গাড়ি দ্বারা হয় কম শব্দ দূষণ। বেশ কিছু গবেষণা দেখা গেছে, সাধারণ গাড়ির শব্দ অনেক শরীরে বর্ধিত উদ্বেগ, বিষণ্নতা, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, স্ট্রোকের মত অনেক বাজে প্রভাব ফেলতে পারে। 

পৃথিবীর উন্নত দেশ গুলির মত ভারতের ভবিষৎও ই-ভিয়েকেল (E-vehicle)। অনুমান, ২০২৫ সালের মধ্যেই ভারত পূর্ণ অংশে ইলেকট্রনিক গাড়ির ওপর নির্ভরশীল হয়ে উঠবে। তারই জন্য এক ধাপ পদক্ষেপ নিল জোম্যাটো।