বর্তমানে বিশ্ব অর্থনীতিতে এক সঙ্কট ঘনীভূত। এর শিকড় ঠিক কোথায়? আর কত দূর পর্যন্তই বা সেগুলি প্রসারিত? আসুন জেনে নেওয়া যাক।
অর্থনৈতিক দিগন্তে ২০২২-এর শুরু থেকেই দুর্যোগের আলো কমে এসে মেঘ জমতে শুরু করেছে। কারণ, স্বল্পমেয়াদি উন্নতির সম্ভাবনা কমে এসেছে, জ্বালানি ও অন্যান্য শক্তির দাম বেড়েছে, বাণিজ্য-সাম্য নেতিবাচকতার দিকে ঢলেছে, ফিসক্যাল ব্যালান্স (রাজস্বের সঙ্গে সরকারি ব্যয়ের তুলনামূলক হিসাব) উচ্ছন্নে গিয়েছে, ভারতীয় টাকার মূল্যমান কমেছে, সংস্থাগুলি আগের থেকে বেশি মাত্রায় সাবধানী হয়ে পড়েছে, বাজার এক রকমের শঙ্কিত অবস্থায় বিরাজ করছে, ভোক্তারা মূল্যবৃদ্ধির আঁচ খুব ভাল করেই অনুভব করছেন।
‘এনট্রপি’ বা কোনও ব্যবস্থার মধ্যে বিশৃঙ্খলা দিয়ে কিন্তু সর্বদা অর্থনৈতিক প্রবণতাসমূহকে বোঝা যায় না। তবে এর দ্বারা সাম্প্রতিক বিশৃঙ্খলার বিবরণ এবং খামখেয়ালি চরিত্রকে বোঝা যায়। যদিও সেই বিশ্লেষণে ঘটনাক্রমের দীর্ঘমেয়াদি চরিত্রকে খাপ খাওয়ানো সম্ভব নয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ‘এনট্রপি’ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে যদি বোধ হয়, যেখানে অর্থনৈতিক প্রবণতাগুলি চক্রাকারে আবর্তিত হয়।
‘দ্য গ্রেট গ্যাটসবি যুগ’ (যে কালে এক প্রজন্মের হাতে সম্পদের কেন্দ্রীভবন ঘটে এবং তার পরবর্তী প্রজন্ম অর্থনীতির সারণীতে পূর্ববর্তী প্রজন্মকে ছাপিয়ে উঠে আসে)-এর পুনরাগমনের সঙ্গে সঙ্গে প্রকট হয় সর্বময় বিজেতা (বা মঞ্চের) বাণিজ্যের এবং তাদের অনাগত স্টার্ট-আপ ব্যবসার উদ্ভব, অস্থিরমতি অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তার দ্বারা নিশ্চিত জীবিকাগুলির নিশ্চিহ্নকরণ এবং বাণিজ্যে মধ্যস্বত্বভোগীদের বিচ্ছিন্নকরণ।
উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, ডিজিটাইজেশন এবং তথ্যভারে নুয়ে পড়া প্রথাগত অর্থনীতি, কোনও রকম মধ্যস্থতা-বিহীন দূষিত বিষয়ে বৃহৎ প্রযুক্তি সংস্থার স্পনসরশিপের ফলে দীর্ণন গণমাধ্যম এবং ই-কমার্সের ফলে জন্ম নেওয়া খুচরো ব্যবসার রমরমা।
- Related topics -
- অর্থনৈতিক
- করোনা পরিস্থিতি
- লাইফস্টাইল