WB Weather | ৪৮ ঘন্টার মধ্যে বর্ষা ঢুকবে উত্তরবঙ্গে! প্রাক বর্ষায় ভিজবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক অংশ!
উত্তর পূর্ব ভারতে ইতিমধ্যেই ঢুকেছে বর্ষা। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বর্ষা ঢুকবে দক্ষিণবঙ্গেও।
অবশেষে তীব্র গরম থেকে মুক্তি দিতে প্রায় চলেই এসেছে বর্ষাকাল (Monsoon)। আবহাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই উত্তরবঙ্গে ঢুকবে বর্ষা। ফলে দক্ষিণবঙ্গেও বর্ষা প্রবেশ করতে আর বেশি দেরি নেই।
ইতিমধ্যেই কেরলের (Kerala) পর উত্তর - পূর্ব ভারতে বর্ষা ঢুকেছে। পাশাপাশি আগামীকালের মধ্যে আংশিক উত্তরবঙ্গ (North Bengal), অসম (Asaai) ও সিকিমের (Sikim) একাংশে বর্ষা ঢুকতে চলেছে। এছাড়াও বাংলাদেশ (Bangladesh) মায়ানমার (Mayanmar) সাগরে একটি বজ্রগর্ভ মেঘের সৃষ্টি হয়েছে যা আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে নিকটবর্তী এলাকায় ঢুকে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটাবে।
আলিপুর আবহওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে উত্তরবঙ্গে বর্ষা ঢুকবে। যার ফলে প্রাক বর্ষার কারণে আজ অর্থাৎ ১১ই মে রবিবার ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি রয়েছে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri), কোচবিহার (Coochbehar) ও আলিপুরদুয়ারে (Alipirei)। পাশাপাশি আগামীকাল অর্থাৎ সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রায় ২০০মিলিমিটার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত হতে পরে বলে জানান আবহাওয়াবিদরা। দার্জিলিং (Darjeeling) ও কালিম্পং (Kalimpong) এও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত।
তবে এখন প্রশ্ন দক্ষিণবঙ্গে কবে বর্ষা ঢুকবে? এই ক্ষেত্রে হাওয়া অফিস জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গে ঠিক কবে বর্ষা ঢুকবে সেই নিয়ে এখনও নিশ্চিত কিছু জানা যায়নি। এমনকি পশ্চিমে তাপপ্রবাহ চলবে বলে খবর। মঙ্গলবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহ চলবে পুরুলিয়া (Purulia), বাঁকুড়া (Bankura), ঝাড়গ্রাম (Jhargram), পশ্চিম মেদিনীপুর (West Midnapore), পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে (East and West Burdwan)। বাকি জেলাতেও অসস্তিকর আবহাওয়া বজায় থাকবে। তবে পশ্চিমাঞ্চলের জেলা বাদে বাকি সব জেলাতেই মেঘলা বা আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে।
উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা (North and South 24 Parganas), কলকাতা (Kolkata), হাওড়া (Howrah), হুগলি (Hoogly), নদীয়া (Nadia), বীরভূম (Birbhum), মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলায় আজ অর্থাৎ রবিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতা - সহ উপকূলের জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হতে পারে বলে খবর। তবে বাতাসে জলীয় বাষ্প থাকায় অদ্রতাজনিত অসস্তি থাকবে। তিন দিন তাপমাত্রা বেশিই থাকবে, তারপর মিলবে বর্ষার সস্তি।