Alka Yagnik । শ্রবণশক্তি হারাতে পারেন অলকা! বিরল স্নায়ুর সমস্যায় ভুগছেন জনপ্রিয় গায়িকা!

Tuesday, June 18 2024, 11:48 am
highlightKey Highlights

এক বিরল স্নায়ুর সমস্যায় ভুগছেন জনপ্রিয় গায়িকা অলকা যাজ্ঞিক (Alka Yagnik)। যার কারণে হারাতে পারেন শ্রবণশক্তি! সম্প্রতি গায়িকা জানান, কয়েক সপ্তাহ আগে বিমান থেকে নামার সময়ে মনে হয়েছিল কানে শুনতে পাচ্ছেন না কিছু। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে জানতে পারেন ভাইরাসের আক্রমণের কারণে একটি বিরল স্নায়ুর সমস্যায় ভুগছেন তিনি। জানা গিয়েছে এই বিরল রোগের নাম ‘সাডেন সেনসারি নিউরাল হিয়ারিং লস’ (Sudden Sensorineural Hearing Loss)।


এক বিরল স্নায়ুর সমস্যায় ভুগছেন জনপ্রিয় গায়িকা অলকা যাজ্ঞিক (Alka Yagnik)। যার কারণে হারাতে পারেন শ্রবণশক্তি! সম্প্রতি গায়িকা জানান, কয়েক সপ্তাহ আগে বিমান থেকে নামার সময়ে মনে হয়েছিল কানে শুনতে পাচ্ছেন না কিছু। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে জানতে পারেন ভাইরাসের আক্রমণের কারণে একটি বিরল স্নায়ুর সমস্যায় ভুগছেন তিনি। জানা গিয়েছে এই বিরল রোগের নাম ‘সাডেন সেনসারি নিউরাল হিয়ারিং লস’ (Sudden Sensorineural Hearing Loss)।

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ‘সাডেন সেনসারি নিউরাল হিয়ারিং লস’ এই সমস্যায় ভুগলে রোগী  হঠাৎই একটি কানে শুনতে পান না। এমনকি এই সমস্যার ক্ষেত্রে রোগী একটি কানের শ্রবণশক্তি পুরোপুরি হারিয়েও ফেলতে পারেন। আবার কোনও কোনও ক্ষেত্রে আংশিক ভাবেও শ্রবণশক্তি হারাতে পারেন রোগী। কিন্তু কেন হয় এই রোগ? আসলে  শরীরে কোনও ভাইরাস আক্রমণ করলে শরীর তার বিরুদ্ধে যে অ্যান্টিবডিগুলি তৈরি করে, সেগুলি কখনও কখনও শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে আক্রমণ করে। এগুলি আক্রমণ করতে পারে কানের স্নায়ুগুলির উপরেও। সেই থেকেও রোগী এক কানে শ্রবণশক্তি হারাতে পারেন। এছাড়াও এটি কোনও মাইক্রো স্ট্রোকের কারণেও ঘটতে পারে। এই সমস্যা সাধারণত একটু বয়স্কদের হয়। তবে ঠিক কোন কারণে রোগীর ঠিক কোন কারণে ‘সাডেন সেনসারি নিউরাল হিয়ারিং লস’ যে হয়েছে, তা কোনও পরীক্ষা করে বলা সম্ভব নয়। খুব বিরল হলেও কখনও কখনও এই সমস্যা ব্রেন টিউমারের কারণেও হতে পারে। 

'এই রোগের ক্ষেত্রে সঠিক সময়ে চিকিৎসা না শুরু হলে কিন্তু এক কানের শ্রবণশক্তি পুরোপুরি চলে যেতে পারে। এই সমস্যার ক্ষেত্রে ২৪ ঘণ্টা থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসা শুরু না হলে কিন্তু এক কানের শ্রবণশক্তি একেবারেই চলে যেতে পারে। সাডেন সেনসারি নিউরাল হিয়ারিং লস’-এর ক্ষেত্রে ২৪ ঘণ্টা থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসা শুরু করতে পারলে মূলত ওরাল অ্যান্টিভাইরাল আর ওরাল স্টেরয়েড দিয়েই রোগী সুস্থ হয়ে যান। তবে ওরাল অ্যান্টিভাইরাল আর ওরাল স্টেরয়েড প্রয়োগের পরেও যদি রোগীর শ্রবণশক্তি না ফেরে সে ক্ষেত্রে কানে স্টেরয়েড ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। রোগী দেরিতে চিকিৎসকের কাছে এলে মূলত স্টেরয়েড ইঞ্জেকশনই একমাত্র ভরসা। কখনও একটি ইঞ্জেকশনেই কাজ হয়ে যায়, কখনও আবার ৩ থেকে ৪টি পর্যন্ত ইঞ্জেকশনের প্রয়োজন পড়তে পরে।

অনেকেই বুঝতে পারেন না যে, কেন কানে শুনতে পারছেন না। কেউ মনে করেন ঠান্ডা লেগেছে বলে হয়তো কান বন্ধ, কেউ আবার মনে করেন কানে হয়তো ময়লা জমেছে বলে কানে শুনতে পারছেন না, কেউ আবার ধরে নেন কানে জল ঢুকেছে বলে শুনতে সমস্যা হচ্ছে। তবে আসলে এটি অন্য রোগ। গায়িকা অলকা যাজ্ঞিক (Alka Yagnik) সোশ্যাল মাধ্যমে পোস্ট করে জানান, তিনি এই রোগে আক্রান্ত। শারীরিক অসুস্থতার কথা বলতে গিয়ে শ্রবণশক্তির বিশেষ যত্ন নেওয়ার কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন গায়িকা। বিশেষ করে এই প্রজন্মের উদ্দেশে তাঁর অনুরোধ, যেখানে জোরে আওয়াজ সেখান থেকে দূরে থাকাই বাঞ্ছনীয়। একই ভাবে দিনরাত কানে হেডফোন গুঁজে কাজ না করাই শ্রেয়। 




পিডিএফ ডাউনলোড | Print or Download PDF File