Geoffrey Hinton Warn about AI | কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষকের মুখেই শোনা গেলো সাবধানবাণী!
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে সতর্কবার্তা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষক জিওফ্রে হিন্টনের। স্বাধীনভাবে এআই নিয়ে কথা বলার জন্যই ছেড়েছেন গুগল।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষকের মুখেই শোনা গেলো সাবধানবাণী! বিপদজনক হতে পারে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (Artificial Intelligence), এমনটাই জানালেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষক জিওফ্রে হিন্টন (Geoffrey Hinton)।
হিন্টন জানান, প্রযুক্তিগত উন্নতির শিখরে থাকলেও মানব জীবনের জন্য বিপদজনক হয়ে উঠতে পারে এআই (AI)। এমনকি স্বাধীনভাবে যাতে এআই নিয়ে কথা বলতে পারেন তার জন্যই গুগুল (Google) কোম্পানি ছেড়েছেন হিন্টন। তবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে গুগলের কাজকেও প্রশংসা করতে পিছু পা হননি ব্রিটিশ বিজ্ঞানী।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভয়ঙ্কর রূপ নিয়ে যাতে স্বাধীন ভাবে কথা বলতে পারি সেই কারণেই গুগল ছেড়েছি আমি। তবে গুগল খুব দায়িত্ব সহকারে এআই ক্ষেত্রে অগ্রসর হচ্ছে।
১৯৭৮ সালে এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে পিএইচডি করেন জিওফ্রে হিন্টন। ব্রিটিশ বিজ্ঞানীর জীবনের বহু বছর কেটেছে এআই নিয়ে গবেষণা করেই। ২০১৮ সালে এআই কাজে তাঁর অবদানের জন্য পেয়েছেন টুরিং অ্যাওয়ার্ড (Turing Award)। প্রায় এক দশক ধরে যুক্ত ছিলেন টেক জায়েন্ট গুগলের সঙ্গেও। কিন্তু পরবর্তীকালে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণেই গুগুল ছাড়েন হিন্টন। বিশ্ববিখ্যাত এই বিজ্ঞানীর মতে, এইআই যত বৃদ্ধি পাবে, যত জ্ঞান অর্জন করবে ততই তা মানব জীবনের জন্য ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে উৎসাহিত গোটা বিশ্ব। তবে মানব জীবনে কাজের সুবিধা করার থেকে এর কেউ প্রভাব নিয়ে বেশি চিন্তিত বিজ্ঞানীরা। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এআই মানুষের বুদ্ধির পরিধিকে ছাপিয়ে যেতে পারে। যা বড় প্রভাব ফেলতে পারে কর্মসংস্থান, সামাজিক মাধ্যমে। ইতিমধ্যেই বহু বড় বড় কোম্পানি কর্মী হিসেবে নিযুক্ত করেছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে। যার ফলে রীতিমতো চাকরি হারানোর চিন্তায় মানব সমাজ।
প্রসঙ্গত, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-র বাড়বাড়ন্ত রুখতে ইতিমধ্যে একজোট হয়েছেন অ্যাপেলের (Apple) সহ প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ ওয়াজনিক (Steve Woznik), টেসলা (Tesla) কর্ণধার এলন মাস্ক (Elon Musk) সহ হাজারেরও বেশি প্রযুক্তি কর্মী এবং গবেষক। সকলেই স্বাধীনভাবে মানব সমাজে সতর্কবার্তা দেন এআই নিয়ে। এক চিঠিতে আগামী ৬ মাসের জন্য আই ডেভেলপমেন্ট স্থগিত রাখার পরামর্শও দেওয়া হয়। তবে এবার এআই বিশেষজ্ঞ জিওফ্রে হিন্টনের একই বার্তা চিন্তায় ফেলে দিয়েছে গোটা সমাজকে।