ব্যাপক আর্থিক বিপর্যয়! ভবিষ্যতে অন্ধকারে তলিয়ে যেতে চলেছে পাকিস্তান
বিদেশি ঋণের পরিমাণ একদিকে যেমন ক্রমেই বাড়ছে তেমনই অন্যদিকে আইএমএফের আর্থিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন না করলে চলতি অর্থবর্ষে পাকিস্তানের আর্থিক বিপর্যয়ের মুখে পড়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভান্ডার বা আইএমএফের আর্থিক কর্মসূচি চলতি অর্থবর্ষে মধ্যে বাস্তবায়িত হওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। তা না হলে জানুয়ারির শেষে কিংবা ফেব্রুয়ারির শুরুতেই আর্থিক সংকটে পড়তে হবে পাকিস্তানকে। সম্প্রতি পলিসি রিসার্চ গ্রুপ থেকে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে এমনটাই জানা গিয়েছে।
লক্ষ্মীর ভাঁড়ারে পড়লো টান! আর্থিক সংকটের মুখোমুখি পাকিস্তান
বিগত বেশ কিছু বছর ধরেই আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত হয়ে উঠেছে পাকিস্তান। আর্থিক পরিস্থিতি ঠিক রাখতে গত বছর সৌদি আরব থেকে তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ নেয় পাকিস্তান। এর পাশাপাশি আইএমএফ থেকেও দু বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি ঋণ নিয়েছিল ইমরান সরকার। তা সত্বেও ২০২১ এর ডিসেম্বরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ঘাটতি প্রকট হয়ে ওঠে।
পলিসি রিসার্চ গ্রুপের পক্ষ থেকে জানানো হয়, স্টেট ব্যাংকে থাকা বিদেশি মুদ্রা সত্বেও ছ বিলিয়ন ডলার বিদেশি ঋণ নিয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু বিদেশি ঋণ মিললেও চলতি অর্থবর্ষে প্রথম ছয় মাসে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ তৈরি করতে পারেনি ইসলামাবাদ। অন্যদিকে, এই আর্থিক পরিস্থিতিতে ঘরে-বাইরে দুদিক থেকেই ক্রমশই চাপ বাড়ছে ইমরান সরকারের।
পিপিপি ও পিএমএল-এন এর মতো দলগুলি এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ইস্তফা দাবি করেছেন । সোমবার লাহোরের এক জনসভায় জামাত-এ-ইসলামী প্রধান সিরাজুল হক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে 'আন্তর্জাতিক ভিখারি' বলে কটাক্ষপাত করে তীব্র আক্রমণ করেন ।
- Related topics -
- আন্তর্জাতিক
- পাকিস্তান
- আর্থিক সংকট
- ইমরান খান