Farmers Protest | নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় প্রতিবাদ দেখাতে পারবেন কৃষকরা! নির্দেশ রাজ্যের হাইকোর্টের!

Tuesday, February 13 2024, 11:37 am
highlightKey Highlights

২০২০ সালের পর ২০২৪ এ একাধিক দাবিতে সরকারের কাছে অপূর্ণ দাবি নিয়ে কৃষক আন্দোলনের ডাক ২০০র বেশি কৃষক সংগঠনের। ১৩ই ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার, দিল্লি যাত্রার ডাক দিয়েছেন পঞ্জাব, হরিয়ানার হাজার হাজার কৃষক। আন্দোলন রুখতে তৈরী হরিয়ানায় দুটি স্টেডিয়ামে তৈরী 'অস্থায়ী জেল', দিল্লিতে ১ মাসের জন্য ১২ ই মার্চ পর্যন্ত জারি ১৪৪ ধারা, বন্ধ পঞ্জাব ও হরিয়ানা সীমান্ত।


নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় প্রতিবাদ দেখাতে পারবেন কৃষকরা! নির্দেশ রাজ্যের হাইকোর্টের!

নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় প্রতিবাদ-বিক্ষোভ দেখানোর সুযোগ করে দিতে হবে কৃষকদের। পঞ্জাব, হরিয়ানা এবং কেন্দ্র—তিন রাজ্যকে এই নির্দেশই দিল পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্ট।

ড্রোন থেকে কাঁদানে গ্যাসের সেল ছুড়ল পুলিশ! কৃষকদের ছত্রভঙ্গ করতে ব্যবহার করা হচ্ছে জলকামান!

Trending Updates

পঞ্জাব থেকে ব্যারিকেড ভেঙে হরিয়ানায় ঢোকার চেষ্টা আন্দোলনকারী কৃষকদের। পাথর ছোড়ারও অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। এরপরেই ড্রোনের মাধ্যমে প্রতিবাদী কৃষকদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাসের সেল ছুড়ল পুলিশ। সিমেন্টের ব্যারিকেডের মাধ্যমে কৃষকদের আটকানোর চেষ্টা করছে পুলিশ। প্রতিবাদী কৃষকদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামানও ব্যবহার করা হচ্ছে।

কৃষকদের আন্দোলনের পাশে রাকেশ টিকায়েত!

প্রথমে প্রতিবাদী কৃষকদের ‘দিল্লি চলো’ অভিযানে শামিল হয়নি তাঁর সংগঠন ভারতীয় কিসান ইউনিয়ন। তবে সেই রাকেশ টিকায়েতই মঙ্গলবার দুপুরে জানালেন, তিনি প্রতিবাদী কৃষকদের পাশে রয়েছেন। সরকার সমস্যা তৈরি করলে তিনি যে প্রতিবাদী কৃষকদের পাশে দাঁড়াবেন, তা-ও স্পষ্ট করে দিয়েছেন রাকেশ।

রাজধানীতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি! ১ কিমি রাস্তা সময় লাগছে পেরোতে এক ঘণ্টা!

কৃষকদের আন্দোলন রুখতে দিল্লিতে ঢোকার প্রায় সমস্ত প্রবেশপথকেই কার্যত দুর্গের চেহারা দিয়েছে পুলিশ। অধিকাংশ গাড়িকে বিকল্প পথে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে । ফলে মঙ্গলবার সকাল থেকেই যানজট শুরু হয় দিল্লির গাজিপুর এবং চিল্লা সীমানায়। দিল্লি থেকে হরিয়ানার মধ্যে সংযোগ রক্ষাকারী ৪৮ নম্বর জাতীয় সড়কেও যানজট শুরু হয়। জানা গিয়েছে, এক কিমি রাস্তা পেরোতে এক ঘণ্টা সময় লাগছে।

পঞ্জাব-হরিয়ানা সীমানায় ধুন্ধুমার পরিস্থিতি!

পঞ্জাব এবং হরিয়ানার মধ্যবর্তী শম্ভু সীমানায় প্রতিবাদী কৃষকদের রুখতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ব্যবহার করে পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনী। ধাক্কাধাক্কি শুরু হয় পুলিশ এবং প্রতিবাদী কৃষকদের মধ্যে। এমনিতেই পঞ্জাব-হরিয়ানা সীমানা এবং দিল্লিতে ঢোকার সমস্ত রকম প্রবেশপথে ব্যারিকেড, কাঁটা দেওয়া তার জড়িয়ে কার্যত দুর্গের চেহারা দেওয়া হয়েছে। যদিও কৃষক সংগঠনগুলি হুঁশিয়ারির সুরে জানিয়েছে, তারা মাত্র আধ ঘণ্টার পরে সমস্ত ব্যারিকেড তুলে ফেলবে।

মঙ্গলবার কৃষকদের ‘দিল্লি চলো’ অভিযান!

মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে শুরু প্রতিবাদী কৃষকদের ‘দিল্লি চলো’ অভিযান। মিছিলে বিভিন্ন রাজ্যের কৃষকেরা থাকলেও নেতৃত্বে পঞ্জাবের  সাঙরুর কৃষকেরা। মিছিলে প্রায় আড়াই হাজার কালো ত্রিপলে ঢাকা ট্রাক্টর। কৃষকদের দু’টি বড় সংগঠন সংযুক্ত কিসান মোর্চা এবং কিসান মজদুর মোর্চা গত ডিসেম্বরেই দাবি আদায়ে ‘দিল্লি চলো’ অভিযানের ডাক দেয়। দু’টি সংগঠনের আওতায় মূলত পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশের সাড়ে তিনশোটি ছোট-বড় কৃষক সংগঠন রয়েছে। তবে ২০২০ সালের আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা দুই কৃষকনেতা রাকেশ টিকায়েত এবং গুরনাম সিংহ চারুনি মঙ্গলবারের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে নেই।

শেষ মুহূর্তে মধ্যরাতে কৃষকদের সঙ্গে বৈঠক!

সোমবার মধ্যরাতে চণ্ডীগড়ে কৃষকদের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা এবং কেন্দ্রীয় ক্রেতাসুরক্ষা মন্ত্রী পীযূষ গয়াল। শেষ মুহূর্তে প্রতিবাদী কৃষকদের বুঝিয়ে আন্দোলনের পথ থেকে সরিয়ে আনার চেষ্টা করেছিল কেন্দ্র। কিন্তু পাঁচ ঘণ্টার বৈঠকের শেষেও কোনও রফাসূত্র মেলেনি।

ফের কৃষক আন্দোলনের ডাক!

 সরকারের কাছে অপূর্ণ দাবি নিয়ে ফের দরবার করতে চলেছে কৃষকরা। এই কারণে ১৩ই ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার দিল্লি চলো অভিযানের ডাক দিয়েছে কৃষকরা। তবে তার আগেই কৃষকদের রুখতে একাধিক কড়া পদক্ষেপ নিলো হরিয়ানা সরকার। তড়িঘড়ি দু’টি বড় স্টেডিয়ামে অস্থায়ী জেল তৈরি করা হয়েছে হরিয়ানা সরকারের তরফে। অন্যদিকে, তৎপর ব্যবস্থা রাজধানী দিল্লিরও। আগামী ১ মাসের জন্য দিল্লিতে জারি করা হলো ১৪৪ ধারা (Section 144)! ১৬ই ফেব্রুয়ারি ভারত বনধের ডাক দিয়েছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা ও কিষাণ মজদুর মোর্চা-সহ ২৬টি কৃষক সংগঠন। এদিকে ১৩ই ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার দিল্লিতে পদযাত্রার ঘোষণা করেছেন কৃষকরা। মঙ্গলবার দিল্লি যাত্রার ডাক দিয়েছেন পঞ্জাব, হরিয়ানার হাজার হাজার কৃষক। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লি সীমান্তে অবস্থানে বসেছিলেন কৃষকেরা। পরে তিন আইনই বাতিল করা হয়। আর এই আন্দোলনে নামা কৃষকদের দাবি ফসলের ন্যায্য সহায়ক মূল্যের আইনি নিশ্চয়তা দিতে হবে সরকারকে। একই সঙ্গে সমস্ত কৃষিঋণ মকুব করতে হবে। স্বামীনাথন কমিশনের প্রস্তাব মেনে ফসলের ন্যায্য সহায়ক মূল্য দেওয়ারও দাবি জানানো হয়েছে। ২০২০-২১ সালের প্রতিবাদে কৃষকদের বিরুদ্ধে রুজু হওয়া মামলা খারিজের দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।




পিডিএফ ডাউনলোড | Print or Download PDF File