BENGALBYTE.IN
ফিল্ম দুনিয়াকে কে জয় করার আগে সত্যজিৎ রায় একজন গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে কাজ করতেন। বহু বইয়ের কভার পেজ তিনি ডিজাইন করেছেন যার মধ্যে জিম করবেটের ম্যান ইটার সস কুমায়ুন ও জওহরলাল নেহেরুর , দ্য ডিসকভারি অফ ইন্ডিয়া বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য।
সত্যজিৎ রায় পরিচালিত, ১৯৬২ সালে তৈরি 'কাঞ্চনজঙ্ঘা' সিনেমাটি ছিল প্রথম রঙীন বাংলা ছবি। সত্যজিৎ রায়ের অবদান বাংলা সিনেমায় এতটাই যা বলে শেষ করা যাবে না।
সত্যজিতের রায়ের সিনেমার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডায়লগ তাঁর পিতা প্রখ্যাত কবি সুকুমার রায়ের থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে লেখা। লালমোহনবাবু ফেলুদাকে বলেছিলেন, "ছাতি ২৬, কোমর ২৬, গলা ২৬, আপনি কি মশায় শুয়োর? এই ডায়লগটি সুকুমার রায়ের বিখ্যাত উপন্যাস 'হযবরল' থেকে অনুপ্রাণিত ।
সর্বজনপ্রিয় অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন ও কাজ করেছিলেন সত্যজিৎ রায়ের সাথে । তবে মাত্র একটি ছবিতে! আর সেটি হল- শতরঞ্জ কি খিলাড়ি। সেই ছবিতে তাঁকে ভাষ্যকার হিসাবে ব্যবহার করেছিলেন সত্যজিৎ।
১৯৪৮ সালে তৈরি হয়েছিল ভিত্তোরিও ডি সিকা দ্বারা পরিচালিত ইতালিয়ান ছবি 'দ্য বাই সাইকেল থিভস'। এই ছবিটি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে সত্যজিৎ রায় তৈরি করেছিলেন পথের পাঁচালী চলচ্চিত্রটি যা তৈরি হতে তিন বছর সময় লেগেছিল এবং এর বাজেট ছিল 1 লক্ষ টাকা।
সত্যজিৎ রায় ও সৌমিত্রবাবু ছিলেন একে অপরের পরিপূরক। এই দুই বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব একসঙ্গে মোট ১৪টি সিনেমায় কাজ করেছেন আর সব কটি ছবি ই একেবারে সুপারহিট।
সত্যজিৎ রায়ের অনেক বিখ্যাত ছবির মধ্যে অন্যতম, যার নাম না করলেই নয় তা হল 'চারুলতা '। পৃথিবী বিখ্যাত সুরকার মোৎসার্ট এই ছবিটিকে প্রায়ই "নিখুঁত" বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। সত্যজিৎ নিজেও কখনো বলেছিলেন যে এই ছবিটিতে তার ভুলের সংখ্যা সবচেয়ে কম।
Thanks For Reading!
More Amazing Contents, Swipe Up ↑