BENGALBYTE.IN
ভুতুড়ে কার্যকালাপের কারণে এই লাইব্রেরির যথেষ্ট দুর্নাম রয়েছে। অনেকেই এখানে দিনদুপুরেই অশীরীর পদচারণার শব্দ পেয়েছেন। কানাঘুষো শোনা গেছে লর্ড মেটাকাফের স্ত্রীর আত্মাই নাকি ঘোরাফেরা করে এই লাইব্রেরিতে।
গভর্নর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংসের বাসস্থান ছিল এই বাড়িটি ; এখানকার আনেক ছাত্রীরা নাকি ঘোড়ায় চড়ে কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকতেও দেখেছে এক সুটেড-বুটেড ইংরেজ সাহেবকে। তারপর তিনি মিলিয়ে গিয়েছেন হাওয়ায়, কাগজপত্রের খসখসানি ও শোনা গেছে। মনে করা হয় যে হেস্টিং সাহেব স্বয়ং নাকি এই বাড়িতে বিরাজ করেন।
এখানকার ১৩ নম্বর কোর্ট রুম থেকে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে । অনেকে এও দাবি করেন এখনও গভীর রাতে রক্তাক্ত পা হেঁটে গিয়ে ঢোকে ওই কোর্ট রুমে
আকাশবাণীর পুরনো দফতর গারস্টিন প্লেসে বারবার দেখা গিয়েছে অশরীরী আত্মা। গভীর রাতে অনেকেই দেখেছেন সাহেবের ছায়া উবু হয়ে কাজ করছে অথবা মধ্যরাতে রেকর্ডিং রুমের বারান্দায় কে যেন গান শুনছেন। এখনো স্টুডিও থেকেই রাতে ভেসে আসে যান্ত্রিক সুর যা কোনো মানুষ বাজায় না।
রেসকোর্স ময়দানেও রয়েছে অশরীরী অস্তিত্ব। রাতে এখানে কে বা কারা যেন ঘোড়া নিয়ে ছুটে বেড়ান। স্পষ্ট দেখতে পাওয়া ঘোড়া নিমিষেই বাতাসে মিলিয়ে যায়। এই রহস্য অমীমাংসিতই থেকে গেছে
হুগলি নদীর তীরে অবস্থিত পুতুলবাড়ি এই শহরের অন্যতম একটি ভৌতিক জায়গা। ধনী বাবুদের হাতে দীর্ঘদিন ধরে যৌন অত্যাচারিতা হতেন যে মহিলারা, তাঁদের আত্মা এখনও এই বাড়িতে ঘুরে বেড়ায় বলে অনেকের বিশ্বাস।
কলকাতার গর্ব হাওড়া ব্রিজ কলকাতার ভুতুড়ে স্থানগুলির মধ্যে অন্যতম। বহু সময় বহু মানুষ হাওড়া ব্রিজের ওপর থেকে গঙ্গার জলে ঝাঁপিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ভোর ৩টে নাগাদে অনেকেই জলের ওপর ভাসমান একটা হাত দেখেছেন। যিনি সাহায্য করতে গিয়েছেন, তিনি নিজেও আর ফিরে আসেননি।
যাঁরাই শেষ মেট্রোতে সওয়ারি হয়ে রবীন্দ্র সরোবর স্টেশনে নেমেছেন, তাঁরা সাক্ষী থেকেছেন ভুতুড়ে কাণ্ডের। এই স্টেশনে নাকি যাত্রীরা বিভিন্ন ছায়ামূর্তিকে ঘুরে বেড়াতে দেখেছেন। যাত্রীদের মতে মেট্রোর লাইনে ঝাঁপ দিয়ে যাঁরা আত্মহত্যা করেন, তাঁদের অশীরীরি আত্মাই সন্ধ্যার পর এই স্টেশনে এসে মিলিত হন।
Thanks For Reading!
More Amazing Contents, Swipe Up ↑