BENGALBYTE.IN
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এর ২০১৬ সালের তথ্য অনুসারে দেখা গেছে নারীদের গড় আয়ু ৭৪ বছর দুই মাস, অন্যদিকে পুরুষদের গড় আয়ু ৬৯ বছর আট মাস।
মানুষের মৃত্যুহারের তালিকায় বর্তমানে ৪০টি দেশের তথ্য অনুযায়ী দেখা গেছে যে, প্রতি বছর সব দেশেই নারীর গড় আয়ু পুরুষের গড় আয়ুকে ছাড়িয়ে গেছে আর এর প্রধান কারণ হিসেবে জেনেটিক গঠনকেই ধার্য করা হচ্ছে।
নারী ভ্রূণের চেয়ে পুরুষ ভ্রূণ বেশি হারে মারা যায় আর এর কারণটি নির্ভর করে লিঙ্গ নির্ধারণকারী ক্রোমোজোমগুলোর কার্যকলাপের ওপর। যদি আপনার এক্স ক্রোমোজোমে জেনেটিক ত্রুটি থাকে তাহলে একজন নারীর ব্যাকআপ হিসেবে আরেকটা এক্স ক্রোমোজোম থাকে। কিন্তু পুরুষের এক্স ক্রোমোজোম একটাই থাকে।
এর কারণে মেয়ে শিশুদের তুলনায় ছেলে শিশুর মৃত্যুর হার ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বেশি থাকে। এছাড়া নির্ধারিত সময়ের আগেই জন্ম নেয়ার হার ছেলে শিশুদের বেলায় ১৪ শতাংশ বেশি। ছেলে শিশুদের আকার সাধারণত বড় হয়ে থাকে এবং জন্মের সময় বেশি আঘাত পাওয়ার ঝুঁকিতে থাকে
পুরুষদের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোন হরমোন বেশি থাকার কারণে তারা উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে উৎসাহী হয়, যেমন লড়াই করা, খুব দ্রুত গতিতে মোটর সাইকেল বা গাড়ি ড্রাইভিং এমনকি আত্মহত্যার প্রবণতাও বাকি থাকে পুরুষের মধ্যে আর এই কারণেই পুরুষদের মৃত্যুর মুখে পড়ার হার বেশি।
যেসব এলাকা সংঘাতপূর্ণ, সেসব স্থানে পুরুষদের আয়ুষ্কালও কম হয়ে থাকে। এছাড়া ধূমপান, মদ্যপান ও অতিরিক্ত খাবার খাদ্য গ্রহণ করার ওপরও পুরুষদের আয়ু নির্ভর করে। রাশিয়ান পুরুষরা সে দেশের নারীদের চেয়ে ১৩ বছর আগে মারা যায় মদ্যপান করার ফলে।
নারীর আয়ু পুরুষ অপেক্ষা দীর্ঘতর হলেও সেটি সুস্থতার সাথে নয়। জীবনের এক পর্যায়ে এসে নারীরা নানা ধরণের শারীরিক অসুস্থতায় জর্জরিত থাকে যা কিনা পুরুষদের তুলনায় অনেক বেশি
Thanks For Reading!
More Amazing Contents, Swipe Up ↑