BENGALBYTE.IN
এই ভ্রান্ত ধারণার কারণে মানুষ বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসার পরিবর্তে ওঝা, কবিরাজের কাছে গিয়ে মন্ত্র, ,তাবিজ নিয়ে থাকেন যা কখনোই উচিত নয়। মানসিক রোগের লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার পর এর সঠিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।
ব্যক্তিত্বের দুর্বলতার জন্য যে মানসিক রোগ হয় এটি সম্পূর্ণ একটি ভ্রান্ত ধারণা। অনেক ধরনের জৈবিক ও পরিবেশগত উপাদান,জিনগত উপাদান, শারীরিক অসুস্থতা, আঘাতজনিত কারণ, মানসিক রোগের জন্য দায়ী।
এটি সম্পূর্ণ একটি ভুল ধারণা। মানসিক রোগ যেকোনো বয়স, লিঙ্গ, শিক্ষা, জনগোষ্ঠী বা আর্থিক অবস্থার মানুষের মধ্যেই তৈরি হতে পারে।
মানসিক রোগের প্রাথমিক লক্ষণ অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা দেয় ১৪ বছর বয়সের আগে এবং এক–তৃতীয়াংশ রোগের শুরু হয় ২৪ বছর বয়সের আগে। দ্রুত মানসিক স্বাস্থ্যসেবা পেলে অন্যান্য বিকাশজনিত সমস্যা থেকে শিশুরা রক্ষা পেতে পারে।
শুধু কিছু গুরুতর মানসিক রোগে আক্রান্ত মানুষের মধ্যে ৩ থেকে ৫ শতাংশ আক্রমণাত্মক আচরণ করে থাকে যা চিকিৎসার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।
কর্মক্ষেত্রে এমন অনেক মানুষ আছে যারা মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত হয়েও স্বাভাবিকভাবেই কাজ করে যাচ্ছেন এবং অনেক সুস্থ ব্যক্তির থেকেও ভালো কাজ করছেন, চাপ মোকাবিলা করছেন সঠিক চিকিৎসাসেবা নেওয়ার মাধ্যমে।
মানসিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি ভালোভাবে জীবন যাপন করতে পারেন এবং অনেক ক্ষেত্রে সম্পূর্ণরূপে সুস্থ জীবন যাপন করতে পারেন কারণ মানসিক রোগ অন্যান্য শারীরিক রোগের মতোই। আর শারীরিক রোগের চিকিৎসার মতো মানসিক রোগেরও চিকিৎসা আছে।
Thanks For Reading!
More Amazing Contents, Swipe Up ↑