BENGALBYTE.IN
ভারতে বিলাসবহুল ট্রেনযাত্রায় নতুন মাত্রা যোগ হয়েছিল ‘প্যালেস অন হুইলস’ উদ্বোধনের পর। তবে সম্প্রতি আরও একটি ট্রেন তৈরি করেছে, যা বিলাসিতা ও আভিজাত্যে পিছনে ফেলে দিতে পারে পৃথিবীর অন্যান্য প্রথম সারির বিলাসবহুল ট্রেনকে।
বর্তমানে করা একটি সমীক্ষা বলছে, প্যালেস অন উইলস-এর ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে মহারাজা এক্সপ্রেস। শুধু ভারতেই নয়, এশিয়ার অন্যতম ব্যায়বহুল ট্রেন এখন মহারাজা এক্সপ্রেস।
বিভিন্ন প্যাকেজ অনুসারে ট্রেনটিতে সর্বোচ্চ ভাড়া ২৬ হাজার ডলার। সব খাওয়া এবং ড্রিঙ্কংস এই ভাড়ার মধ্যেই। ২৩টি বগির এই ট্রেনে ৮৮ যাত্রী সফর করতে পারবেন। ভারতের উত্তরাঞ্চলের রাজস্থান রাজ্যের রাজা মাহারাজাদের ভূমি এখন বিখ্যাত ‘মহারাজা এক্সপ্রেস’ এর কারণে।
হেরিটেজ অব ইন্ডিয়া’ প্যাকেজে ৭দিন ৬ রাতের দীর্ঘ ভ্রমণ শুরু হয় মুম্বেই স্টেশন থেকে। এরপর একেকদিন একেক শহড়ে গিয়ে থামে ট্রেনটি। উদয়পুর, যোধপুর, বিকানোর, জয়পুর, র্যানথম্বোরপুর এন্ড ফতেপুর সিক্রি ও সবশেষে আগ্রা।
দর্শনাথীদের বারবার ব্যাগ গোছানোর কোন চাপ নেই। শুধু নতুন নতুন স্টেশনে পৌঁছানো আর জায়গাগুলো আবিস্কার করা। বাকী সব দায়িত্ব দেখভাল করে ট্রেনের কর্মকর্তা, কর্মচারীরা।
মহারাজা ট্রেনের ভেতরে চারদিকের দেওয়ালগুলো অভিজাত, ঐহিত্যবাহী নকশা করা। ট্রেনে প্রতি চারজন অতিথির সেবায় তিনজন কর্মচারী নিয়োজিত থাকে। ট্রেনের পরিষেবার অংশ হিসেবে অতিথিদের হাতে তুলে দেওয়া হয় ভারতীয় ঐতিহ্যবাহী নন্দনতত্ত্বের নানা উপকরণ। আট দিনের ট্রেন যাত্রায় মনে হবে আপনি যেন রাজপারিবারেরই কেউ।
ট্রেনে অতিথিদের থাকার জন্য তৈরী কেবিনগুলো ১১২ স্কয়ার ফিটের, আধুনিক সকল সুযোগ সুবিধা সেখানে নিশ্চিত করা আছে। প্রেসিডেন্টিয়াল স্যুটে দুটো বেডরুম, ব্যক্তিগত লিভিং এরিয়া, বাথটাব, রাজকীয় সাজসজ্জা সবকিছুই আছে।
ঘরের ডাইনিং, বার, লাউঞ্জ, জেনারেটর এবং স্টোর কারের ব্যবস্থা আছে । প্রতিটি কেবিনে রয়েছে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার ব্যবস্থা, এলসিডি টিভি, ডিভিডি প্লেয়ার, টেলিফোন, লাইভ টিভি, ইন্টারনেট কানেকশন এবং সেফ-ডিপোজিট বক্স।
ময়ূরমহল’ এবং ‘রঙমহল’ নামে ভারতের স্থানীয় সব খাবারের আয়োজন নিয়ে আছে দুটি রেস্টুরেন্ট। ৪২ জন অতিথি একসঙ্গে খাবার খেতে পারেন সেখানে।
Thanks For Reading!
More Amazing Contents, Swipe Up ↑