BENGALBYTE.IN
কাঁচা বা আধসেদ্ধ ডিম গর্ভবতী মহিলাদের কখনই খাওয়া উচিত না কারণ কারণ কাঁচা ডিমে ভাইরাসের সংক্রমণ হলে গর্ভবতী মায়ের ডায়েরিয়া, পেটে ব্যথা, বমি, জ্বর হতে পারে আর এর প্রভাব পড়বে গর্ভস্থ শিশুর উপরও। কাঁচা ডিম ব্যবহৃত হয়েছে এমন স্যালাডও বর্জন করুন এই সময়ে।
গর্ভাবস্থায় অর্ধসিদ্ধ মাংস কখনোই খাওয়া উচিত নয় কারণ এ ধরনের মাংসের মধ্যে থাকে নানান মাইক্রোঅর্গানিজম যার ফলে বিষক্রিয়ার সমস্যা হতে পারে যা গর্ভস্থ শিশুর পক্ষে মারাত্মক হানিকর
সাধারণত প্যারাসাইট বা পরজীবী ব্যাকটেরিয়া থাকে কাঁচা সবজিগুলিতে যা গর্ভবতী মা ও তার সন্তানের জন্য ক্ষতিকারক। অতএব বাজার থেকে এনে সবজিগুলি ভাল করে ধুয়ে রান্না করে খাওয়াই বাঞ্ছনীয়।
নন- পাস্তুরাইজড দুধে থাকে নানা রকম মাইক্রোবস যা গর্ভস্থ শিশুর ক্ষতি করতে পারে। দুধ যদিও এই সময়ে খুবই উপকারী একটি উপাদান তবে এটি ভালো করে ফুটিয়ে তবেই খাওয়া উচিত।
আনারসে রয়েছে ব্রোমিলিন নামক উৎসেচক যা গর্ভপাতের সম্ভাবনা বাড়ায় তাই গর্ভবতী মহিলাদের এই ফলটি খেতে বারণ করা হয়। আনারস খেলে নির্দিষ্ট সময়ের আগে প্রসব হওয়ার সম্ভাবনার ঝুঁকিও থাকে।
পেপ্সিন ও প্যাপাইন সমৃদ্ধ কাঁচা পেঁপে গর্ভস্থ শিশুর জন্য ক্ষতিকারক যা গর্ভপাতের সম্ভাবনাকে ত্বরান্বিত করে। তাই গর্ভাবস্থায় কাঁচা পেঁপে খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।
মুখশুদ্ধি হিসেবে অনেকে মৌরি খেয়ে থাকেন তবে অতিরিক্ত মৌরি বা মেথি খেলে সময়ের আগেই প্রসব এবং প্রিম্যাচিওরড্ বেবির জন্মের সম্ভাবনা প্রবল হয়ে যায়। রান্নায় অল্পবিস্তর মৌরি বা মেথি ব্যবহার করলেও বেশি পরিমাণে খাবেন না।
গর্ভাবস্থায় মদ্য পান ?? একদমই নয় !!! কারণ মায়ের রক্তের মাধ্যমে অ্যালকোহল শিশুর শরীরে পৌঁছে যায় যা থেকে শিশুর মস্তিষ্ক ও শিরদাঁড়ার হানি করতে পারে। এছাড়াও অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবনে গর্ভপাত পর্যন্ত ঘটতে পারে।
সহজপাচ্য খাদ্য যা কম তেলে রান্না করা রয়েছে সেরকম খাবারই গর্ভবতী মায়ের খাওয়া উচিত। এটি গর্ভবতী মায়ের সাথে সাথে গর্ভস্থ শিশুর পক্ষেও উপকারী।
Thanks For Reading!
More Amazing Contents, Swipe Up ↑